একটি বিশেষ দল ক্ষমতায় এলে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকে
ফ্রি থিংকার্স ফোরামের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের
সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের নাম বিডিআর
থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে।
এমন
পরিস্থিতি চলতে থাকলে ফালানীদের লাশ পড়তেই থাকবে। তারা বলেন, দেশে বিশেষ
একটি দল যখন ক্ষমতায় আসে তখনই সীমান্তে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকে। ইতিহাস
সাক্ষী, ভারত বাংলাদেশের সাথে করা কোনো চুক্তিই মানেনি। প্রতিবেশী রাষ্ট্র
হলেও ভারত কখনো বাংলাদেশের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করেনি।
ফ্রি থিংকার্স ফোরাম আয়োজিত ‘সীমান্তে ভারতীয় বর্বরতা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফাই : স্তম্ভিত জাতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল জাতীয় প্রেস কাবে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও গবেষক প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন নয়া দিগন্ত’র সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন। এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবিদ রাজা, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, দেশরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি সানোয়ার হোসেন, তাঁতি দলের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, জিয়া সেনার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফ্রি থিংকার্স ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী।
মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, শুনেছি বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে লাঠি নিয়ে পাহারা দেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ফালানীদের লাশ পড়তেই থাকবে। আর তা ঠেকানোর সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে এই সরকারের পরিবর্তন। সে জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।
আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। নীতি-নৈতিকতা, জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকায় তার পক্ষে এ রকম বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মোনায়েম খান ও জিয়াউর রহমানের সাথে সম্পর্ক ছিল। আর এখন তিনি আওয়ামী লীগ করেন। এভাবে যিনি বিভিন্ন জায়গায় সম্পর্ক রাখেন, তাকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা গাছের আগারটাও খায়, আবার গোড়ারটাও খেতে চায়। তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ দেখে মনে হচ্ছে তিনি স্যাডিস্ট। মানুষকে অত্যাচার করে আনন্দ পান। তিনি বলেন, ভারত সব সময় তাদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। আমাদের স্বার্থ তাদের কাছে প্রাধান্য পায় না। সীমান্তে ভারত গত ৪১ বছরে সাড়ে চার হাজার বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। শুধু ২০১২ সালেই ৩১৯ জনকে হত্যা করেছে। এসব হত্যার একটিও পাকিস্তান আমলে হয়নি, যা হয়েছে সব বাংলাদেশ আমলে। যারা পাখির মতো মানুষ হত্যা করছে তারা আমাদের কেমন বন্ধু? প্রতিবেশী দেশ হলেও ভারত কখনোই বন্ধুসুলভ আচরণ করেনি।
গ্রিক উইজডোমের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সরকারের যখন পতনের সময় হয়, তখন তারা পাগলের মতো আচরণ করে। এ সরকারেরও তাই হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার হিটলারের মতো বড় বড় মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতারিত করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনই একটি কথা বলতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেছেন। কারণ জনগণও মিথ্যাচার ধরতে পারে। তিনি বলেন, দেশে সত্য কথা বললে এখন ধরে নিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু তারপরও সত্য বলতে হবে। জনগণের কাছে সঠিক সত্য পৌঁছাতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে সরকারের মিথ্যাচার ও অত্যাচার নির্যাতনের জবাব দেয়া যাবে।
ব্যারিস্টার হায়দার আলী বলেন, ভারতের আগ্রাসন বন্ধ করতে হলে সেনাবাহিনীকে সুসজ্জিত ও পাঁচ লাখে উন্নীত করতে হবে। ধাপে ধাপে সেনাবাহিনীতে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে।
অ্যাডভোকেট আবিদ রাজা বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি আর ভারত নিজেদের স্বার্থে সে যুদ্ধে নিজেদের জড়িয়েছে। তারা আমাদের বন্ধু হতে পারে না। তারা বাংলার সত্যিই স্বাধীনতা চাইলে অতীতে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে এত আন্দোলন করত না। যারা আমাদের নদী শুকিয়ে মারতে চায়, সীমান্তে ফালানীকে ধর্ষণ করে হত্যা করে, কাঁটাতারের বেড়া দেয় তারা আমাদের কিসের বন্ধু? আওয়ামী লীগ ভারতের তল্পিবাহক। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতার রাজনীতির পরিবর্তে ধর্মযুক্ত জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, ভারত তার অন্য সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তের মতো বর্বরতা চালায় না। আমাদের চাটুকার সরকার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারায় আমরা এ ক্ষতির শিকার। এ জন্য সীমান্তে ভারতের আগ্রাসন বন্ধে আগে পদলেহী সরকারকে হটাতে হবে।
ফ্রি থিংকার্স ফোরাম আয়োজিত ‘সীমান্তে ভারতীয় বর্বরতা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফাই : স্তম্ভিত জাতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল জাতীয় প্রেস কাবে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও গবেষক প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন নয়া দিগন্ত’র সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন। এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবিদ রাজা, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, দেশরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি সানোয়ার হোসেন, তাঁতি দলের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, জিয়া সেনার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফ্রি থিংকার্স ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী।
মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, শুনেছি বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে লাঠি নিয়ে পাহারা দেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ফালানীদের লাশ পড়তেই থাকবে। আর তা ঠেকানোর সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে এই সরকারের পরিবর্তন। সে জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।
আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। নীতি-নৈতিকতা, জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকায় তার পক্ষে এ রকম বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মোনায়েম খান ও জিয়াউর রহমানের সাথে সম্পর্ক ছিল। আর এখন তিনি আওয়ামী লীগ করেন। এভাবে যিনি বিভিন্ন জায়গায় সম্পর্ক রাখেন, তাকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা গাছের আগারটাও খায়, আবার গোড়ারটাও খেতে চায়। তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ দেখে মনে হচ্ছে তিনি স্যাডিস্ট। মানুষকে অত্যাচার করে আনন্দ পান। তিনি বলেন, ভারত সব সময় তাদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। আমাদের স্বার্থ তাদের কাছে প্রাধান্য পায় না। সীমান্তে ভারত গত ৪১ বছরে সাড়ে চার হাজার বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। শুধু ২০১২ সালেই ৩১৯ জনকে হত্যা করেছে। এসব হত্যার একটিও পাকিস্তান আমলে হয়নি, যা হয়েছে সব বাংলাদেশ আমলে। যারা পাখির মতো মানুষ হত্যা করছে তারা আমাদের কেমন বন্ধু? প্রতিবেশী দেশ হলেও ভারত কখনোই বন্ধুসুলভ আচরণ করেনি।
গ্রিক উইজডোমের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সরকারের যখন পতনের সময় হয়, তখন তারা পাগলের মতো আচরণ করে। এ সরকারেরও তাই হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার হিটলারের মতো বড় বড় মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতারিত করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনই একটি কথা বলতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেছেন। কারণ জনগণও মিথ্যাচার ধরতে পারে। তিনি বলেন, দেশে সত্য কথা বললে এখন ধরে নিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু তারপরও সত্য বলতে হবে। জনগণের কাছে সঠিক সত্য পৌঁছাতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে সরকারের মিথ্যাচার ও অত্যাচার নির্যাতনের জবাব দেয়া যাবে।
ব্যারিস্টার হায়দার আলী বলেন, ভারতের আগ্রাসন বন্ধ করতে হলে সেনাবাহিনীকে সুসজ্জিত ও পাঁচ লাখে উন্নীত করতে হবে। ধাপে ধাপে সেনাবাহিনীতে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে।
অ্যাডভোকেট আবিদ রাজা বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি আর ভারত নিজেদের স্বার্থে সে যুদ্ধে নিজেদের জড়িয়েছে। তারা আমাদের বন্ধু হতে পারে না। তারা বাংলার সত্যিই স্বাধীনতা চাইলে অতীতে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে এত আন্দোলন করত না। যারা আমাদের নদী শুকিয়ে মারতে চায়, সীমান্তে ফালানীকে ধর্ষণ করে হত্যা করে, কাঁটাতারের বেড়া দেয় তারা আমাদের কিসের বন্ধু? আওয়ামী লীগ ভারতের তল্পিবাহক। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতার রাজনীতির পরিবর্তে ধর্মযুক্ত জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, ভারত তার অন্য সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তের মতো বর্বরতা চালায় না। আমাদের চাটুকার সরকার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারায় আমরা এ ক্ষতির শিকার। এ জন্য সীমান্তে ভারতের আগ্রাসন বন্ধে আগে পদলেহী সরকারকে হটাতে হবে।
No comments