‘অস্ত্র কেনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন আছে’
স্টাফ রিপোর্টার: রাশিয়া থেকে অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন। প্
রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর নিয়ে মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের মতো রাষ্ট্রের জন্য যত বেশি বন্ধু থকবে ততই ভাল। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, মানবসম্পদ রপ্তানির ক্ষেত্রে এ ধরণের বৈদেশিক সম্পর্কগুলো অবশ্যই ইতিবাচক। এটা এক ধরণের এনগেজমেন্ট। যেমন আমেরিকা আমাদেরকে জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে। এভাবে এই সম্পর্কের মাধ্যমে যার কাছ থেকে যতটা সুবিধা নেয়া যায় ততই ভাল। তবে সফরে রাশিয়ার সঙ্গে যে চুক্তি হতে যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে আমার যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। এতগুলো টাকার অস্ত্র কেন কিনতে হবে এই মুহুর্তে। আমাদের নিরাপত্তার জন্য এই মুহুর্তে কোন সামরিক শত্রু আছে বলেতো মনে হয় না। এই মুহুর্তে ‘মানব নিরাপত্তা’র বিষয়টি অর্থাৎ সেবামূলক খাত সমূহে মনোযোগ দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন এই সরকারের আমলে শিক্ষা খাতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হলেও শিক্ষকরা এমপিও’র দাবিতে রাস্তায় ঘুরছে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এসব খাতে আরও মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের বিমান নিয়ে কতো সংশয় আছে। গবেষণার মতো বিষয়গুলোতে বরাদ্ধ খুবই কম। অবকাঠামো নিয়ে নানা সমস্যা। ব্রীজ ভেঙে পড়ছে। এই খাতগুলোকে সেবামূলক করে তুলতে পারেনি সরকার। এগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়ে পড়েছে। এত সমস্যার মাঝেও আট হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমার যথেষ্ট প্রশ্ন আছে।রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়বে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় ভারতও বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করবে। তবে নেতিবাচক মনে করি না। পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, পারমাণবিক শক্তির তো শান্তিপূর্ণ ব্যবহার আছে। এটা আমরা আগেও বলেছি। তাই এ বিষয়টি ভালই। কিন্তু এর পারিপার্শ্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি একটু নিশ্চিত হওয়া দরকার। আমরা আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরকেই নিরাপত্তা দিতে পারিনি। পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে কি না সেটা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এটা খুবই জরুরি। জাপানের মতো দেশ পারমাণবিক চুল্লীর বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। আমরা কিভাবে পারবো। এসব বিষয় ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।
No comments