ধর্ষণঃ মানিকগঞ্জের সড়কে দিল্লির দামিনী
দিল্লির বাসে সেই মেডিকেল ছাত্রীকে
গণধর্ষণের ঘটনা দুনিয়াবাসীর জানা। এ ঘটনার পর ধিক্কারে, ঘৃনায় দগ্ধ হয়েছে
ভারতের সমাজ এবং রাষ্ট্র। দিল্লির ‘দামিনী’ এখন ভারতের প্রতিবাদী নারীদের
কাছে সাহসিকা।
প্রতিবাদের দ্বীপ জ্বেলে দামিনী চলে গেছেন
না ফেরার দেশে। তাকে ভুলতে না ভুলতেই আরেক দামিনীকে রক্তাক্ত করেছে
নরপশুরা। এবার সেই লজ্জাকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে। মানিকগঞ্জের সড়কে।
মানুষ নামের নরপশুদের শিকার তরুণী গার্মেন্ট কর্মী। দিল্লির সেই মেয়েটির
মতোই তার গন্তব্য ছিল নিজের বাড়ি। বাসে উঠেছিলেন নিরাপদ যাত্রা ভেবেই।
কিন্তু এই বাসেই হলো তার সম্ভ্রমহানি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের
মানরা এলাকায় আজ বিকালে ঘটেছে এই ঘটনা। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এই ধর্ষণের
ঘটনাটি ঘটে।
আমাদের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানরা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এক গার্মেন্টকর্মীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করেছে বাসের চালক ও হেলপার। এ ঘটনায় চালক দিপু মিয়া (২৪) ও হেলপার আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল এএসপি কামরুল ইসলাম জানান, ওই গার্মেন্ট কর্মী ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় তৈরী পোশাক রপ্তানি কারখানায় কাজ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সাভারের নবীনগর থেকে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর যাওয়ার জন্য মানিকগঞ্জগামী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি লোকাল বাসে ওঠেন। বাসটি মানিকগঞ্জে পৌঁছলে চালক জানান, বাসটি বিকল হয়ে গেছে। এতে বাসের সব যাত্রী নেমে যান। ওই যুবতী বাসের হেলপারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে হেলপার ভাংতি নেই বলে মেয়েটিকে অপেক্ষা করতে বলে। এর কিছুক্ষণ পর বাসটি সচল হয়েছে বলে মেয়েটিকে গাড়িতে উঠতে বলে। মেয়েটি গাড়িতে উঠলে বাসটি ধীর গতিতে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর মানরা নামক স্থানে হেলপার বাসটি চালাতে থাকে আর চালক দিপু মিয়া মেয়েটিকে পেছনের সিটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় মানরা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে এক হকার (বাদাম বিক্রেতা) হান্নান মিয়া গাড়ির জানালা দিয়ে ধস্তাধস্তির বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য একটি বাসে চড়ে পিছু নেন। বাসটি মহাসড়কের মুলজান স্পিড ব্রেকারে গিয়ে ঘুরিয়ে পেছনের দিকে ফিরে আসে। ওই হকারও পেছনের গাড়ি থেকে নেমে অন্য আরেকটি গাড়িতে ওঠেন। এ সময় হেলপার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে মানরা নামক স্থানে ফেলে রাখে। ওই হকার তখন মেয়েটিকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এনে থানায় খবর দেন। এ সময় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাসের চালককে ধরে মারধর করে হকার। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে উদ্ধার ও চালককে গ্রেপ্তার করে। পরে র্যাব-৪ হেলপারকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে চালক স্বীকার করেছে। মেডিকেল টেস্টের জন্য মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমাদের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানরা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এক গার্মেন্টকর্মীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করেছে বাসের চালক ও হেলপার। এ ঘটনায় চালক দিপু মিয়া (২৪) ও হেলপার আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল এএসপি কামরুল ইসলাম জানান, ওই গার্মেন্ট কর্মী ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় তৈরী পোশাক রপ্তানি কারখানায় কাজ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সাভারের নবীনগর থেকে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর যাওয়ার জন্য মানিকগঞ্জগামী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি লোকাল বাসে ওঠেন। বাসটি মানিকগঞ্জে পৌঁছলে চালক জানান, বাসটি বিকল হয়ে গেছে। এতে বাসের সব যাত্রী নেমে যান। ওই যুবতী বাসের হেলপারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে হেলপার ভাংতি নেই বলে মেয়েটিকে অপেক্ষা করতে বলে। এর কিছুক্ষণ পর বাসটি সচল হয়েছে বলে মেয়েটিকে গাড়িতে উঠতে বলে। মেয়েটি গাড়িতে উঠলে বাসটি ধীর গতিতে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর মানরা নামক স্থানে হেলপার বাসটি চালাতে থাকে আর চালক দিপু মিয়া মেয়েটিকে পেছনের সিটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় মানরা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে এক হকার (বাদাম বিক্রেতা) হান্নান মিয়া গাড়ির জানালা দিয়ে ধস্তাধস্তির বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য একটি বাসে চড়ে পিছু নেন। বাসটি মহাসড়কের মুলজান স্পিড ব্রেকারে গিয়ে ঘুরিয়ে পেছনের দিকে ফিরে আসে। ওই হকারও পেছনের গাড়ি থেকে নেমে অন্য আরেকটি গাড়িতে ওঠেন। এ সময় হেলপার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে মানরা নামক স্থানে ফেলে রাখে। ওই হকার তখন মেয়েটিকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এনে থানায় খবর দেন। এ সময় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাসের চালককে ধরে মারধর করে হকার। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে উদ্ধার ও চালককে গ্রেপ্তার করে। পরে র্যাব-৪ হেলপারকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে চালক স্বীকার করেছে। মেডিকেল টেস্টের জন্য মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
No comments