২০২টি আইন প্রণয়ন ও সংশোধন-গতির চেয়ে বেড়েছে দুর্গতি by খোকন বড়ুয়া
সুশাসনের কথা বলে সরকার একের পর এক আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করলেও এর সুফল
কাজে আসছে না। বরং এতে সাধারণ মানুষের গতির চেয়ে দুর্গতি বেড়েছে।
আইনের যথাযথ প্রয়োগের চেয়ে অপপ্রয়োগ হচ্ছে বেশি। ফলে আইন মানার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মহাজোট সরকারের চার বছরে ২০২টি
আইন ও সংশোধনী জারি করা হয়েছে। এ সময়ে মন্ত্রণালয় ২৩টি অধ্যাদেশ, ৮১০টি
চুক্তি নিরীক্ষা এবং এসবের ওপর আইনগত মতামত প্রদান, ৪৬টি আইনগত দলিলের
অনুবাদ এবং এক হাজার ৪৫০টি এসআরো জারি করেছে। সামাজিক সুশাসন ও অর্থনৈতিক
মুক্তি অর্জন বা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এসব আইন ও অধ্যাদেশ জারি
করেছে।
এসব আইনের মধ্যে রয়েছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন প্রভৃতি।
এসব আইন প্রণয়ন ও সংশোধনকে সরকারের সাফল্য উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, সামাজিক সুশাসন ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ আইন প্রণয়ন করেছে। এতে জনগণ সুফল পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে ভিন্নমত পোষণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। নয়া দিগন্তকে তিনি বলেছেন, সরকার অনেক আইন করলেও কোনোটাই জনস্বার্থে কার্যকর হয়নি; বরং তাতে জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত না জনগণের দুর্ভোগ লাগবে সরকারের সদিচ্ছা হবে, তত দিন আইন প্রণয়ন কোনো কাজে আসবে না। তাই আইন প্রণয়নের আগে সরকারের অবশ্যই সদিচ্ছা থাকতে হ্েব। তিনি অপরাধ দমনে রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্যপ্রতিরোধ, তৎসংশ্লিষ্ট ও অন্যান্য বিষয়ে বিধানসহ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা হ্রাস এবং এসব বিষয়ে তদারকির জন্য পরিষদ গঠনের বিধান রেখে আইন মন্ত্রণালয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ প্রণয়ন করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল মিশ্রণের মাধ্যমে অসাধু পন্থা অবলম্বনপূর্বক অধিক মুনাফা অর্জনের প্রবণতা নিরসনের জন্য সারা দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠনের বিধান এ আইনে সন্নিবেশিত করা হলেও বাস্তবে তার বিপরীতটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষিত হচ্ছে না। নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ। এ ছাড়া ভেজাল মিশ্রণ ও ওজনে কম দেয়া যেন স্বাভাবিক রীতিতে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০-এ শিল্প, ব্যবসায় বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও একই চিত্র। জনগণকে শিল্প-ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না সরকার। এ ক্ষেত্রেও আইনের প্রয়োগ যথাযথ হচ্ছে না।
একইভাবে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সম্পর্কে বলা হয়েছে নিয়মবর্হিভূতভাবে বিদেশে অর্থ পাচার বা পাচারের চেষ্টা, এ ধরনের সম্পত্তি গ্রহণ, দখলে নেয়া, ভোগ করা বা এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ এবং তার শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রয়োজনের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বড় বড় রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাই এই আইন ভঙ্গ করছেন। তারা এ আইন ভঙ্গ করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন এমনও অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এসব আইনের মধ্যে রয়েছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন প্রভৃতি।
এসব আইন প্রণয়ন ও সংশোধনকে সরকারের সাফল্য উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, সামাজিক সুশাসন ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ আইন প্রণয়ন করেছে। এতে জনগণ সুফল পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে ভিন্নমত পোষণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। নয়া দিগন্তকে তিনি বলেছেন, সরকার অনেক আইন করলেও কোনোটাই জনস্বার্থে কার্যকর হয়নি; বরং তাতে জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত না জনগণের দুর্ভোগ লাগবে সরকারের সদিচ্ছা হবে, তত দিন আইন প্রণয়ন কোনো কাজে আসবে না। তাই আইন প্রণয়নের আগে সরকারের অবশ্যই সদিচ্ছা থাকতে হ্েব। তিনি অপরাধ দমনে রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্যপ্রতিরোধ, তৎসংশ্লিষ্ট ও অন্যান্য বিষয়ে বিধানসহ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা হ্রাস এবং এসব বিষয়ে তদারকির জন্য পরিষদ গঠনের বিধান রেখে আইন মন্ত্রণালয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ প্রণয়ন করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল মিশ্রণের মাধ্যমে অসাধু পন্থা অবলম্বনপূর্বক অধিক মুনাফা অর্জনের প্রবণতা নিরসনের জন্য সারা দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠনের বিধান এ আইনে সন্নিবেশিত করা হলেও বাস্তবে তার বিপরীতটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষিত হচ্ছে না। নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ। এ ছাড়া ভেজাল মিশ্রণ ও ওজনে কম দেয়া যেন স্বাভাবিক রীতিতে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০-এ শিল্প, ব্যবসায় বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও একই চিত্র। জনগণকে শিল্প-ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না সরকার। এ ক্ষেত্রেও আইনের প্রয়োগ যথাযথ হচ্ছে না।
একইভাবে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সম্পর্কে বলা হয়েছে নিয়মবর্হিভূতভাবে বিদেশে অর্থ পাচার বা পাচারের চেষ্টা, এ ধরনের সম্পত্তি গ্রহণ, দখলে নেয়া, ভোগ করা বা এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ এবং তার শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে বিধান প্রয়োজনের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বড় বড় রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাই এই আইন ভঙ্গ করছেন। তারা এ আইন ভঙ্গ করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন এমনও অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
No comments