রাতভর শ্রম দিয়েও কম মজুরি পান নারীরা by আবু তালহা
কেবলমাত্র নারী হওয়ার কারণে ১শ’ টাকা কম পান মোমেনা বেগম। যদিও শীতের রাতে পুরুষের চেয়ে কোনো অংশে কম কাজ করেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে সংস্কার কাজের ফাঁকে এ অভিযোগ জানালেন তিনি।
রাজধানীর
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মৎস ভবন মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত ফুটপাত
সংস্কারের কাজের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন যাত্রাবাড়ী নিবাসী হাতেম আলী।
১০ শ্রমিক নিয়ে ফুটপাত সংস্কার করাচ্ছেন তিনি।
মোমেনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “শুধু শুনি নারীদের সমান অধিকার, এক রাতের জন্য পুরুষ শ্রমিক পায় ৪শ’ আর আমরা নারী হওয়ায় পাই ৩শ’ টাকা। কাবিটা প্রকল্পে কাজ করেই শুধু সমান টাকা পেয়েছিলাম।”
মোমেনা বেগম আরো বলেন, “আগে গার্মেন্টেসে কাজ করতাম সেখানেও এমন ছিল। শ্রমিকের কাজ করতে এসেও দেখি একই রকম অবস্থা। আমরা একই কাজ করি তারপরও টাকা পাই কম।”
শুধু মোমেনা বেগম নন, সংস্কার কাজে অংশ নেওয়া অন্য নারীরাও একই অভিযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গে হাতেম আলী বলেন, “নারীরা পুরুষের তুলনায় কম কাজ করে তাই তাদের টাকা কিছু কম দেওয়া হয়। শুধুমাত্র এখানে নয়, সব জায়গায় এভাবেই কাজ হয়।”
নারী-পুরুষ বৈষম্যের পাশাপাশি রয়েছে শিশু শ্রমও।
বুলবুল (১৬) বলল, “আমার বয়স যখন ১০ তখন মা মারা যায়। দেখার কেউ নাই। লেখাপড়া জানি না তাই দিনে রিকশা চালাই আর রাতে এই কাজ করি।”
সবকিছুর পরেও তাদের মনে অনেক আনন্দ। তাদের ভাষায়, তারপরও আয়ের তো একটা পথ আছে। সারা রাত কাজ করে ভোরে আবারও ফিরে যাবেন মানিকগঞ্জ।
মোমেনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “শুধু শুনি নারীদের সমান অধিকার, এক রাতের জন্য পুরুষ শ্রমিক পায় ৪শ’ আর আমরা নারী হওয়ায় পাই ৩শ’ টাকা। কাবিটা প্রকল্পে কাজ করেই শুধু সমান টাকা পেয়েছিলাম।”
মোমেনা বেগম আরো বলেন, “আগে গার্মেন্টেসে কাজ করতাম সেখানেও এমন ছিল। শ্রমিকের কাজ করতে এসেও দেখি একই রকম অবস্থা। আমরা একই কাজ করি তারপরও টাকা পাই কম।”
শুধু মোমেনা বেগম নন, সংস্কার কাজে অংশ নেওয়া অন্য নারীরাও একই অভিযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গে হাতেম আলী বলেন, “নারীরা পুরুষের তুলনায় কম কাজ করে তাই তাদের টাকা কিছু কম দেওয়া হয়। শুধুমাত্র এখানে নয়, সব জায়গায় এভাবেই কাজ হয়।”
নারী-পুরুষ বৈষম্যের পাশাপাশি রয়েছে শিশু শ্রমও।
বুলবুল (১৬) বলল, “আমার বয়স যখন ১০ তখন মা মারা যায়। দেখার কেউ নাই। লেখাপড়া জানি না তাই দিনে রিকশা চালাই আর রাতে এই কাজ করি।”
সবকিছুর পরেও তাদের মনে অনেক আনন্দ। তাদের ভাষায়, তারপরও আয়ের তো একটা পথ আছে। সারা রাত কাজ করে ভোরে আবারও ফিরে যাবেন মানিকগঞ্জ।
No comments