'বাংলা প্রয়োগের ৰেত্রে দুর্বলতা ভাষার নয়, জ্ঞানের'
সরকারী-বেসরকারী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি ভালভাবে আয়ত্ত করার তাগিদ দিয়ে বক্তারা বলেছেন, নিজের দেশের ভাষা, সংষ্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভালভাবে না জানলে, গভীরভাবে অনুভব না করলে কারও প েপূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া সম্ভব নয়।
আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস উপল েবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আয়োজিত 'বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা ভাষার ব্যবহার' শীর্ষক সেমিনারে বৃহস্পতিবার বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন লিবারেটস আর্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রফিকুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান নজরম্নল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল খালেক। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক শফি আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল বাকির, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সানজিদা আক্তার এবং ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকিমুন রহমান।মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক আবদুল খালেক বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় তথা উচ্চ শিার েেত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে এখনও আমরা সংশয়মুক্ত হতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চ শিা দেয়ার মতো শক্তি এবং শব্দসম্ভার বাংলা ভাষার আছে কি না তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন ওঠে।' বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা প্রয়োগের েেত্র বাংলা ভাষার যে দুর্বলতার কথা বলা হচ্ছে, সে দুর্বলতা ভাষার নয়, জ্ঞানের। তিনি বলেন, একটি উন্নত ভাষার প্রাণশক্তি তাঁর বর্ণমালা। বাংলা ভাষায় উন্নতমানের বর্ণমালা আছে। স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের মাধ্যমে পৃথিবীর সব শব্দ বাংলাভাষায় লেখা সম্ভব। বাংলা ভাষার গ্রহণ মতাও অসাধারণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে শিার্থীরা ভুল বাংলা শিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে। অনেক শিকও শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ করতে পারনে না। যে যেই বিভাগেই লেখাপড়া করুক বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে একটি কোর্স থাকা উচিত। বাংলার বিকল্প হিসেবে নয়, পরিপূরক বা সম্পূরক ভাষা হিসেবে ইংরেজী শিখতে হবে।
নজরুল ইসলাম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও বাংলায় পাঠদানের কথা বলা আছে। পাশাপাশি প্রয়োজনে ইংরেজীতে পড়ানো যাবে এমন কথাও বলা আছে। কিন্তু এখন ইংরেজীই বেশিরভাগ জায়গায় পাঠদানের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
No comments