আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি মানুষকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। সামান্য কারণে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অস্থিরতা থেকে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠছে। সমাজে অপরাধ বাড়ছে।
অপরাধপ্রবণতায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মাত্রা। সন্ত্রাস বিস্তৃত হচ্ছে। বাড়ছে মানুষের নিরাপত্তাহীনতা। প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে এসব খবর। প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, সামান্য কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে। কাউকে প্রেমের বলি হতে হয়েছে। রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করে ফেলে রাখা হচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্রই যেন ফুটে উঠছে প্রতিদিন।
যে চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা এক দিনে হয়নি। মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও এক দিনে বাড়েনি। সময়মতো অপরাধ দমন করা না গেলে এ প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। এক সময় অনেকটা সংক্রমণের মতো ঘটে যাবে। মানুষের চাহিদা অন্তহীন; কিন্তু যখন নূ্যনতম চাহিদা পূরণ হয় না, তখন মানুষ একটু একটু করে অপরাধের দিকে ঝুঁকতে থাকে। এ প্রবণতা রোধ করতে হলে সমাজকে একটি সুস্থ অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য সমাজের সর্বস্তর থেকে চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, অপরাধ করার পরও রাজনৈতিক কারণে একটি মহলকে সুবিধা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তো অনেক পুরনো। অন্যদিকে অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ার ঘটনা অহরহই ঘটে। আইনের ফাঁক গলে অপরাধীদের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। ফলে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। নতুন নতুন অপরাধী জন্ম নেয়। বাড়ে অপরাধের মাত্রা।
প্রেমের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খুন হওয়ার মতো ঘটনা কিংবা মোবাইল ফোনে কথা বলা বা স্বামীর অমতে চাকরি করার অপরাধে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা ঘটে দেশে। সামান্য কারণে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর। এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হতে হয় অসহায় নারীদের। এসবই সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে ঘটছে। সামাজিক মূল্যবোধ উপেক্ষিত হচ্ছে। এরই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজে। হানাহানি বাড়ছে। বাড়ছে খুনের ঘটনা।
অন্যান্য ঘটনার মতো সুবীর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। সিংগাইরে যে দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে, সে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি। আমরা আশা করব, এসব ঘটনার মূল হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
একটি অপরাধীচক্র যে দেশে সক্রিয়, তা এখন স্পষ্ট। এ চক্রকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এই অবনতিশীল অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে। একটি স্থিতিশীল সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকে।
যে চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা এক দিনে হয়নি। মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও এক দিনে বাড়েনি। সময়মতো অপরাধ দমন করা না গেলে এ প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। এক সময় অনেকটা সংক্রমণের মতো ঘটে যাবে। মানুষের চাহিদা অন্তহীন; কিন্তু যখন নূ্যনতম চাহিদা পূরণ হয় না, তখন মানুষ একটু একটু করে অপরাধের দিকে ঝুঁকতে থাকে। এ প্রবণতা রোধ করতে হলে সমাজকে একটি সুস্থ অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য সমাজের সর্বস্তর থেকে চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, অপরাধ করার পরও রাজনৈতিক কারণে একটি মহলকে সুবিধা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তো অনেক পুরনো। অন্যদিকে অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ার ঘটনা অহরহই ঘটে। আইনের ফাঁক গলে অপরাধীদের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। ফলে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। নতুন নতুন অপরাধী জন্ম নেয়। বাড়ে অপরাধের মাত্রা।
প্রেমের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খুন হওয়ার মতো ঘটনা কিংবা মোবাইল ফোনে কথা বলা বা স্বামীর অমতে চাকরি করার অপরাধে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা ঘটে দেশে। সামান্য কারণে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর। এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হতে হয় অসহায় নারীদের। এসবই সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে ঘটছে। সামাজিক মূল্যবোধ উপেক্ষিত হচ্ছে। এরই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজে। হানাহানি বাড়ছে। বাড়ছে খুনের ঘটনা।
অন্যান্য ঘটনার মতো সুবীর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। সিংগাইরে যে দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে, সে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি। আমরা আশা করব, এসব ঘটনার মূল হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
একটি অপরাধীচক্র যে দেশে সক্রিয়, তা এখন স্পষ্ট। এ চক্রকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এই অবনতিশীল অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে। একটি স্থিতিশীল সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকে।
No comments