সাংবাদিকদের জে এস বার্মা-সুশাসনের অভাবই নারী নির্যাতনের জন্য দায়ী-সুপারিশ জমা দিয়েছে বার্মা কমিটি
ভারতে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ-সংক্রান্ত আইনের সংস্কারে গঠিত বিচারপতি জে এস বার্মা কমিটি গতকাল বুধবার তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি জে এস বার্মার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যদের কমিটির এ প্রতিবেদনে যৌন হয়রানি ও লিঙ্গবৈষম্য_এ দুটি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা দুই খণ্ডের প্রতিবেদনে আরো বেশি নারীবান্ধব আইন প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছে কমিটি।
গত ১৬ ডিসেম্বর দিলি্লতে বাসে সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। এ অবস্থায় নারী সুরক্ষায় বিদ্যমান আইনগুলোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বার্মা কমিটি গঠন করে সরকার। ওই গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের তরুণী ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিচারপতি বার্মাসহ হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি লেইলা সেথ ও সাবেক সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রামনিয়ামকে নিয়ে এ কমিটি গঠনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের বাধ্যবাধকতা ছিল। গতকাল ছিল কমিটি গঠনের ২৯তম দিন।
বিচারপতি বার্মা, সেথ ও সুব্রামনিয়ামের প্যানেল আশা প্রকাশ করেছে, সরকার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাদের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে। নারীর প্রতি সহিংসতার মামলার বিচারকাজে অবশ্যই নারী বিচারক নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে কমিটি। কমিটি মনে করে, নারীকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে পুলিশকে অন্তত দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। পুলিশ সংস্কারে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ এখনো কেন বাস্তবায়িত হয়নি_সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি বার্মা সাংবাদিকদের বলেন, 'ভারতের যুবসমাজের কাছে কমিটি ঋণী... তারা আন্দোলনে না নামলে বিষয়টি (নারীর প্রতি সহিংসতা) সামনে আসত না।' তিনি জানান, কমিটি কেবল দেশের অভ্যন্তর থেকে নয়, দেশের বাইরে থেকেও প্রচুর সুপারিশ পেয়েছে। প্রায় ৮০ হাজার সুপারিশের মধ্যে অঙ্ফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়ার বিচারক ও কানাডার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সুপারিশও ছিল বলে জানান বার্মা। তাঁর মতে, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার জন্য সরকারব্যবস্থার ব্যর্থতাই দায়ী। 'আইন দিয়ে লিঙ্গবৈষম্য দূর করা যাবে না_এর জন্য দরকার সুশাসন।' দিলি্লর গণধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের ব্যর্থতার সমালোচনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও সমালোচনা করেন বার্মা। জনগণের এগিয়ে না যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জনগণ হিসেবে 'আমাদের' বিরুদ্ধে এটি অভিযোগ।" যৌন হয়রানি ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
গত ১৬ ডিসেম্বর দিলি্লতে বাসে সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। এ অবস্থায় নারী সুরক্ষায় বিদ্যমান আইনগুলোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বার্মা কমিটি গঠন করে সরকার। ওই গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের তরুণী ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিচারপতি বার্মাসহ হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি লেইলা সেথ ও সাবেক সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রামনিয়ামকে নিয়ে এ কমিটি গঠনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের বাধ্যবাধকতা ছিল। গতকাল ছিল কমিটি গঠনের ২৯তম দিন।
বিচারপতি বার্মা, সেথ ও সুব্রামনিয়ামের প্যানেল আশা প্রকাশ করেছে, সরকার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাদের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে। নারীর প্রতি সহিংসতার মামলার বিচারকাজে অবশ্যই নারী বিচারক নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে কমিটি। কমিটি মনে করে, নারীকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে পুলিশকে অন্তত দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। পুলিশ সংস্কারে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ এখনো কেন বাস্তবায়িত হয়নি_সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি বার্মা সাংবাদিকদের বলেন, 'ভারতের যুবসমাজের কাছে কমিটি ঋণী... তারা আন্দোলনে না নামলে বিষয়টি (নারীর প্রতি সহিংসতা) সামনে আসত না।' তিনি জানান, কমিটি কেবল দেশের অভ্যন্তর থেকে নয়, দেশের বাইরে থেকেও প্রচুর সুপারিশ পেয়েছে। প্রায় ৮০ হাজার সুপারিশের মধ্যে অঙ্ফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়ার বিচারক ও কানাডার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সুপারিশও ছিল বলে জানান বার্মা। তাঁর মতে, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার জন্য সরকারব্যবস্থার ব্যর্থতাই দায়ী। 'আইন দিয়ে লিঙ্গবৈষম্য দূর করা যাবে না_এর জন্য দরকার সুশাসন।' দিলি্লর গণধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের ব্যর্থতার সমালোচনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও সমালোচনা করেন বার্মা। জনগণের এগিয়ে না যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জনগণ হিসেবে 'আমাদের' বিরুদ্ধে এটি অভিযোগ।" যৌন হয়রানি ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments