ডেভিড ক্যামেরনের ভাষণ-ইইউতে থাকা না-থাকার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য থাকা না-থাকার সিদ্ধান্ত ব্রিটেনের নাগরিকদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় গেলে ২০১৭ সালের মধ্যেই এ ব্যাপারে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার লন্ডনে দেওয়া ভাষণে ক্যামেরন এসব কথা বলেন। ইইউ কর্তৃপক্ষ ক্যামেরনের ঘোষণা মেনে নিয়েছে।
গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইইউতে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন ক্যামেরন। তিনি বলেন, গণভোটের ডাক দেওয়ার আগে ব্রিটেনের সদস্যপদের শর্ত নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি। ক্যামেরন মনে করেন, ব্রিটিশদের সামনে দুটি পথই খোলা থাকবে। হয় তারা আলোচনার ফলাফল মেনে নেবে। অথবা ইইউয়ের সদস্যপদ ছেড়ে দেবে।
ইইউ নিয়ে ক্যামেরনের এই ভাষণের খবর প্রায় ছয় মাস আগে প্রকাশিত হয়।
ধারণা করা হচ্ছিল, গত অক্টোবরে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে ক্যামেরন এ ভাষণ দিতে পারেন। কিন্তু নির্ধারিত ভাষণ দেওয়া হয়নি। গত বড়দিনের সময় ভাষণের কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে যায়। সর্বশেষ, আলজেরিয়ায় গ্যাসক্ষেত্রে অন্য অনেক বিদেশির সঙ্গে ব্রিটিশ নাগরিকরা জিম্মি হওয়ার পর গত শুক্রবার ভাষণ পিছিয়ে দেন ক্যামেরন। অবশেষে ২০১৭ সালে ইইউ প্রশ্নে গণভোটের ঘোষণা দিলেন তিনি। ইইউ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণায় কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ব্রিটেনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ক্যামেরন বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ব্রিটেন এখন ইইউয়ের ব্যাপারে বেশি মোহমুক্ত অবস্থায় আছে। 'ব্রিটেন যেভাবে চায়, সেভাবেই সংস্কার আনতে হবে। ইউরোজোনের (ইউরো ব্যবহারকারী দেশগুলো) বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ইইউ হিমশিম খাচ্ছে। এর কারণে ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও ইইউয়ের সঙ্গে এর নাগরিকদের দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা যদি এখনই এসব সমস্য নিয়ে উদ্যোগ নিতে না পারি, তাহলে ইউরোপের পতন হবে এবং ব্রিটিশরাও পতনের দিকেই যেতে থাকবে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইইউতে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন ক্যামেরন। তিনি বলেন, গণভোটের ডাক দেওয়ার আগে ব্রিটেনের সদস্যপদের শর্ত নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি। ক্যামেরন মনে করেন, ব্রিটিশদের সামনে দুটি পথই খোলা থাকবে। হয় তারা আলোচনার ফলাফল মেনে নেবে। অথবা ইইউয়ের সদস্যপদ ছেড়ে দেবে।
ইইউ নিয়ে ক্যামেরনের এই ভাষণের খবর প্রায় ছয় মাস আগে প্রকাশিত হয়।
ধারণা করা হচ্ছিল, গত অক্টোবরে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে ক্যামেরন এ ভাষণ দিতে পারেন। কিন্তু নির্ধারিত ভাষণ দেওয়া হয়নি। গত বড়দিনের সময় ভাষণের কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে যায়। সর্বশেষ, আলজেরিয়ায় গ্যাসক্ষেত্রে অন্য অনেক বিদেশির সঙ্গে ব্রিটিশ নাগরিকরা জিম্মি হওয়ার পর গত শুক্রবার ভাষণ পিছিয়ে দেন ক্যামেরন। অবশেষে ২০১৭ সালে ইইউ প্রশ্নে গণভোটের ঘোষণা দিলেন তিনি। ইইউ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণায় কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ব্রিটেনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ক্যামেরন বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ব্রিটেন এখন ইইউয়ের ব্যাপারে বেশি মোহমুক্ত অবস্থায় আছে। 'ব্রিটেন যেভাবে চায়, সেভাবেই সংস্কার আনতে হবে। ইউরোজোনের (ইউরো ব্যবহারকারী দেশগুলো) বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ইইউ হিমশিম খাচ্ছে। এর কারণে ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও ইইউয়ের সঙ্গে এর নাগরিকদের দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা যদি এখনই এসব সমস্য নিয়ে উদ্যোগ নিতে না পারি, তাহলে ইউরোপের পতন হবে এবং ব্রিটিশরাও পতনের দিকেই যেতে থাকবে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments