রায়বেরেলিতে প্রিয়াঙ্কাকে চান সোনিয়া
রাহুলের অভিষেক হয়ে গেছে। এ বার প্রিয়ঙ্কার পালা। মা সোনিয়া গান্ধী শারীরিক অসুস্থতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন। কংগ্রেস দলনেত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন না।
কংগ্রেস সূত্রের খবর অনুযায়ী, পারিবারিক সিদ্ধান্ত হলো, সোনিয়ার জায়গায় উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসন থেকে ভোটে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
রাহুল গান্ধী দলের সহ-সভাপতি হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার কমিটির তিনিই প্রধান কাণ্ডারি। এটা এখন স্পষ্ট, ২০১৪ সালে ভোটে জিতলে মনমোহন সিং নয়, রাহুলই প্রধানমন্ত্রী হবেন। রাহুলের অভিষেকের পরই কমল নাথ, গোলাম নবি আজাদের মতো একাধিক নেতা এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। জয়পুরে দলীয় অধিবেশন শেষে আপাতত 'নতুন ভারত' গড়ার কথা মাথায় রেখে রাজ্যওয়ারি সফর শুরু করার পরিকল্পনা করছেন রাহুল। কংগ্রেসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে গতকাল তিনি বৈঠকও করেন। বিকেলে দিলি্লতে দলীয় সদরদপ্তরে এ বৈঠক হয়।
তবে রাজ্যওয়ারি রাহুলের সর্বভারতীয় প্রচারে প্রিয়াঙ্কা অংশ নেবেন না। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কার ভূমিকা হবে সীমাবদ্ধ। তিনি এত দিন ধরে মায়ের রায়বেরেলি ও ভাইয়ের আমেথি আসন দেখাশোনা করেছেন। বাবা রাজীব গান্ধী যখন বেঁচে ছিলেন, তখন থেকে প্রিয়াঙ্কা আমেথি-রায়বেরেলি যাচ্ছেন। এ বার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলে রায়বেরেলি হবে তাঁরই কেন্দ্র। জিতলে ভাইয়ের সঙ্গী হবেন তিনি।
কংগ্রেস সূত্র বলছে, নেহরু-গান্ধী পরিবারের সিদ্ধান্ত হলো, ৭০ বছর বয়সে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন সোনিয়া। অনেকটা ইউরোপীয় কায়দায় সোনিয়া তাঁদের দলের সতীর্থদের এ অবসরের কথা আগাম জানিয়েছেন। জয়পুরের অধিবেশনের বেশ কয়েক মাস আগেই সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা তাঁদের কয়েকজন পারিবারিক উপদেষ্টার সঙ্গে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবার এক দিকে রাহুল হবেন কংগ্রেসের প্রধান মুখ, অন্য দিকে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রিয়াঙ্কা।
২০১৪ সালে সোনিয়া গান্ধীর বয়স হবে ৬৮ বছর। আবেগজনিত ভয় থাকলেও তিনি চাইছেন, এ বার তাঁর ছেলে দল ও সরকার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক। আবার প্রিয়াঙ্কা পার্লামেন্ট সদস্য হলেও কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেবেন না। বাবার মৃত্যুর পর প্রিয়াঙ্কা প্যারিস গিয়েছিলেন পড়াশোনার জন্য। তখন এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সোনিয়া বলেছিলেন, 'ওরা প্রাপ্তবয়স্ক। ওরা আসবে কি না, সেটা ওরাই ঠিক করবে।' তার পর বহু বছর কেটে গেছে। রাহুল এখন দলের অন্যতম প্রধান মুখ। তবে প্রিয়াঙ্কা এখনো সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি। যদিও কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ২০১৪ সালে প্রিয়াঙ্কাকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব আগাম জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা প্রার্থী হলে ওই আসনে সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী দেবে না। ভাইবোনের সমীকরণ কংগ্রেসের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র : আনন্দবাজার।
রাহুল গান্ধী দলের সহ-সভাপতি হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার কমিটির তিনিই প্রধান কাণ্ডারি। এটা এখন স্পষ্ট, ২০১৪ সালে ভোটে জিতলে মনমোহন সিং নয়, রাহুলই প্রধানমন্ত্রী হবেন। রাহুলের অভিষেকের পরই কমল নাথ, গোলাম নবি আজাদের মতো একাধিক নেতা এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। জয়পুরে দলীয় অধিবেশন শেষে আপাতত 'নতুন ভারত' গড়ার কথা মাথায় রেখে রাজ্যওয়ারি সফর শুরু করার পরিকল্পনা করছেন রাহুল। কংগ্রেসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে গতকাল তিনি বৈঠকও করেন। বিকেলে দিলি্লতে দলীয় সদরদপ্তরে এ বৈঠক হয়।
তবে রাজ্যওয়ারি রাহুলের সর্বভারতীয় প্রচারে প্রিয়াঙ্কা অংশ নেবেন না। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কার ভূমিকা হবে সীমাবদ্ধ। তিনি এত দিন ধরে মায়ের রায়বেরেলি ও ভাইয়ের আমেথি আসন দেখাশোনা করেছেন। বাবা রাজীব গান্ধী যখন বেঁচে ছিলেন, তখন থেকে প্রিয়াঙ্কা আমেথি-রায়বেরেলি যাচ্ছেন। এ বার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলে রায়বেরেলি হবে তাঁরই কেন্দ্র। জিতলে ভাইয়ের সঙ্গী হবেন তিনি।
কংগ্রেস সূত্র বলছে, নেহরু-গান্ধী পরিবারের সিদ্ধান্ত হলো, ৭০ বছর বয়সে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন সোনিয়া। অনেকটা ইউরোপীয় কায়দায় সোনিয়া তাঁদের দলের সতীর্থদের এ অবসরের কথা আগাম জানিয়েছেন। জয়পুরের অধিবেশনের বেশ কয়েক মাস আগেই সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা তাঁদের কয়েকজন পারিবারিক উপদেষ্টার সঙ্গে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবার এক দিকে রাহুল হবেন কংগ্রেসের প্রধান মুখ, অন্য দিকে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রিয়াঙ্কা।
২০১৪ সালে সোনিয়া গান্ধীর বয়স হবে ৬৮ বছর। আবেগজনিত ভয় থাকলেও তিনি চাইছেন, এ বার তাঁর ছেলে দল ও সরকার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক। আবার প্রিয়াঙ্কা পার্লামেন্ট সদস্য হলেও কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেবেন না। বাবার মৃত্যুর পর প্রিয়াঙ্কা প্যারিস গিয়েছিলেন পড়াশোনার জন্য। তখন এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সোনিয়া বলেছিলেন, 'ওরা প্রাপ্তবয়স্ক। ওরা আসবে কি না, সেটা ওরাই ঠিক করবে।' তার পর বহু বছর কেটে গেছে। রাহুল এখন দলের অন্যতম প্রধান মুখ। তবে প্রিয়াঙ্কা এখনো সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি। যদিও কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ২০১৪ সালে প্রিয়াঙ্কাকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব আগাম জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা প্রার্থী হলে ওই আসনে সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী দেবে না। ভাইবোনের সমীকরণ কংগ্রেসের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র : আনন্দবাজার।
No comments