ইডেন-বদরুন্নেসার হলে হলে ঘাঁটি গেড়েছে শিবির- নেতাকর্মীসহ ১০ বহিরাগত মহিলা আটক, এক হাজার জিহাদী বই লিফলেট উদ্ধার
এবার শিবিরের জিহাদের নতুন কৌশল রাজধানীর নামকরা শিৰাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের মগজ দোলাইয়ে এরা মাঠে নেমেছে। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ ছাত্রীদের মাঝে জিহাদী বই, লিফলেট বিতরণ করছে।
হোস্টেলে হোস্টেলে রতভর গোপন বৈঠক করে শিৰাঙ্গনগুলোতে অসনত্মোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার ইডেন কলেজ ও বদরম্নন্নেসা কলেজের বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে শিবিরের প্রায় ১০ মহিলা নেতাকমর্ীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন বহিরাগত ছিল। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার জিহাদী বই, বিপুলসংখ্যক জিহাদী লিফলেট, সদস্য ফরমসহ নানা গুরম্নত্বপূর্ণ জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরে ইডেন কলেজ ও বদরম্নন্নেসা কলেজের ৮টি আবাসিক হলের কয়েকটি কৰে রাতভর গোপন বৈঠক করছিল জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থা। তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ ঘোষণা, সরকারের বিরম্নদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলাসহ সরকারের বিরম্নদ্ধে নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য সংবলিত লিফলেট, এমনকি জিহাদী বই সাধারণ ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করছিল। বুধবার রাতে বদরম্নন্নেসা কলেজের পুরনো ও নতুন হোস্টেল থেকে ময়না বেগম, মাদ্রিয়া তানিয়া, হোসনা বেগম রম্ননা, সুমাইয়া জাহান ও নতুন হল থেকে মারম্নফা আক্তার, রম্ননাকে সাধারণ ছাত্রীরা আটকে রাখে। তাদের কাছ থেকে ৩ শতাধিক জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে কলেজ কর্তৃপৰ ৬ ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দেয়। সাধারণ ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, বদরম্নন্নেসা কলেজে জিহাদী নেতৃত্ব দিচ্ছে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার তামান্না, ফেরদৌসী, রম্ননা, আলিকা, সুমী। এ ব্যাপারে তাঁরা কলেজ কর্তৃপৰের হসত্মৰেপ কামনা করেন। এদিকে বুধবার রাতে সাধারণ ছাত্রীদের অভিযানে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেতাকমর্ীরা হল থেকে গা-ঢাকা দেয়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ইডেন কলেজ কর্তৃপৰ ও সাধারণ ছাত্রীরা কলেজের ছাত্রী সংস্থার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত খোদেজা খাতুন হলসহ ৫টি হলে অভিযান চালায়। এ সময় আবাসিক হলের নামাজ রম্নম ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেতাকমর্ীদের কৰ থেকে ৭ শতাধিক জিহাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ইডেন কলেজের এক ছাত্রীসহ চার বহিরাগত মহিলাকে আটক করে কলেজ কর্তৃপৰ। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। সাধারণ ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, বেশ কয়েকদিন ধরে খোদেজা খাতুন হলে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেতাকমর্ীরা নামাজের কথা বলে গভীর রাতে কৰ থেকে বের হয়। এরপর নামাজ রম্নমে বহিরাগত মহিলাদের নিয়ে রাতভর বৈঠক করে। এরপর ইসলামের জন্য জিহাদ ঘোষণা, সরকারের বিরম্নদ্ধে নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য সংবলিত লিফলেট হলে হলে বিতরণ করে। এমনকি কলেজ করিডরের দেয়ালে এসব লিফলেট সেঁটে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম জনকণ্ঠকে জানান, ইসলাম একটি পবিত্র ধর্ম। এটি নিয়ে নানা উস্কানি দিয়ে সাধারণ ছাত্রীদের মগজ ধোলাই করছে জামায়াতের ছাত্রী সংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেতাকমর্ীরা। এ নিয়ে সাধারণ ছাত্রীদের ৰোভের মুখে কলেজ কতর্ৃপৰ ৫ জনকে আটক করে। এদের মধ্যে কলেজের এক ছাত্রী রয়েছে। বাকিরা বহিরাগত মহিলা। কলেজ কর্তৃপৰ ৭ শতাধিক বই থানা পুলিশে হসত্মানত্মর করে। একই কথা বলেন বদরম্নন্নেসা মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাসরিন সুলতানা। এ ব্যাপারে কলেজ কতর্ৃপৰ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে, ছাত্রীদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। জিহাদী বইগুলো পুলিশে হসত্মানত্মর করা হবে। রাত ৮টায় এ ব্যাপারে লালবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জনকণ্ঠকে জানান, দু'টি কলেজ কর্তৃপৰ হলগুলোয় তলস্নাশি চালিয়েছে। সন্দেহজনক কয়েক ছাত্রীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। হলের নামাজ কৰ ও কয়েকটি কৰ থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই, লিফলেটসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও কলেজ কর্তৃপৰ তাকে তা বুঝিয়ে দেয়নি।
No comments