জয়ের পর জোট গঠনের আলোচনায় নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সামান্য ব্যবধানে জয়ী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন লিকুদ-বেতেনু জোট। তবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে দর-কষাকষিতে নামতে হবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে।
যার অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ শিগগির নেতানিয়াহুকে নতুন সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ফিলিস্তিন মনে করে, এবারের নির্বাচন স্থবির হয়ে পড়া শান্তি আলোচনায় তেমন প্রভাব ফেলবে না। ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হানান আশরাবি বলেন, 'এ মুহূর্তে শান্তির লক্ষ্যে কোনো জোট বা শান্তি প্রচেষ্টার কোনো উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না আমি।'
ইসরায়েলে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয় গত মঙ্গলবার। গতকাল বুধবার সকালে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, সর্বাধিক ৩১টি আসনে জয়ী হয়েছে কট্টর ডানপন্থী লিকুদ-বেতেনু জোট। আগেরবারের তুলনায় তাদের আসন ১১টি কমেছে। নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রে বিষয়টিকে নেতানিয়াহুর জন্য আঘাত হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। আগের মতো পররাষ্ট্র বা অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নিজ ইচ্ছার বাস্তবায়ন খুব সহজেই আর করতে পারবেন না নেতানিয়াহু।
এ ছাড়া উগ্র-জাতীয়তাবাদী হাবায়িত হায়েহুদি এবং শাস পার্টি ১১টি করে আসন পেয়েছে। উগ্র ইহুদিবাদী গোষ্ঠী ইউনাইটেড তোরাহ জুদাইজম পার্টি পেয়েছে সাতটি আসন। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধী এসব দলই মূলত নেতানিয়াহুর জোটসঙ্গী। এ দলগুলোর সঙ্গে মিলেই তার জোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০-এ। ১২০ আসনের নেসেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৬১ আসন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওই 'জাদুর সংখ্যায়' পৌঁছতেই নেতানিয়াহু নবগঠিত মধ্য বামপন্থী দল ইয়েশ আদিত পার্টিকে জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। সাবেক সাংবাদিক ইয়াইর লাপিদের নেতৃত্বাধীন এ দল ১৯টি আসন পেয়েছে। এরই মধ্যে টেলিফোনে তার সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ সেরে ফেলেছেন নেতানিয়াহু। তবে লাপিদ জানিয়ে দিয়েছেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত সরকারে যোগ দেবেন না তিনি। সংকট হচ্ছে, নেতানিয়াহুর জোট ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও পশ্চিম তীরের অধিকৃত এলাকা থেকে ইহুদি বসতি প্রত্যাহারের ঘোর বিরোধী। এ ছাড়া লেবার পার্টি পেয়েছে ১৫টি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিপি লিভনির নেতৃত্বাধীন মধ্যপন্থী হাতনুয়া পার্টি পেয়েছে ছয়টি আসন। বামপন্থী মেরেজ পার্টিও তাই। এক সময়ের সবচেয়ে বড় দল কাদিমা পেয়েছে মাত্র দুটি আসন। অবশিষ্ট ১২টি আসন পেয়েছে আরব ইসরায়েলি দলগুলো। ঐতিহ্যগতভাবেই এই দলগুলো সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকে না। তাদের ডাকাও হয় না।
জয়ের ইঙ্গিত পাওয়ার পর নেতানিয়াহু বলেন, একটি সম্প্রসারিত সরকার গঠনে আগ্রহী তিনি। তিনি বলেন, পাঁচটি মূল নীতির ওপর ভিত্তি করে এবারের সরকার পরিচালিত হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে দেশের নিরাপত্তা। এ ছাড়া অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকার গঠনের জন্য ২৮ দিন সময় পাবেন নেতানিয়াহু। প্রয়োজনে সময় আরো দুই সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
এদিকে ফিলিস্তিন মনে করে, এবারের নির্বাচন স্থবির হয়ে পড়া শান্তি আলোচনায় তেমন প্রভাব ফেলবে না। ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হানান আশরাবি বলেন, 'এ মুহূর্তে শান্তির লক্ষ্যে কোনো জোট বা শান্তি প্রচেষ্টার কোনো উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না আমি।'
ইসরায়েলে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয় গত মঙ্গলবার। গতকাল বুধবার সকালে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, সর্বাধিক ৩১টি আসনে জয়ী হয়েছে কট্টর ডানপন্থী লিকুদ-বেতেনু জোট। আগেরবারের তুলনায় তাদের আসন ১১টি কমেছে। নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রে বিষয়টিকে নেতানিয়াহুর জন্য আঘাত হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। আগের মতো পররাষ্ট্র বা অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নিজ ইচ্ছার বাস্তবায়ন খুব সহজেই আর করতে পারবেন না নেতানিয়াহু।
এ ছাড়া উগ্র-জাতীয়তাবাদী হাবায়িত হায়েহুদি এবং শাস পার্টি ১১টি করে আসন পেয়েছে। উগ্র ইহুদিবাদী গোষ্ঠী ইউনাইটেড তোরাহ জুদাইজম পার্টি পেয়েছে সাতটি আসন। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধী এসব দলই মূলত নেতানিয়াহুর জোটসঙ্গী। এ দলগুলোর সঙ্গে মিলেই তার জোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০-এ। ১২০ আসনের নেসেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৬১ আসন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওই 'জাদুর সংখ্যায়' পৌঁছতেই নেতানিয়াহু নবগঠিত মধ্য বামপন্থী দল ইয়েশ আদিত পার্টিকে জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। সাবেক সাংবাদিক ইয়াইর লাপিদের নেতৃত্বাধীন এ দল ১৯টি আসন পেয়েছে। এরই মধ্যে টেলিফোনে তার সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ সেরে ফেলেছেন নেতানিয়াহু। তবে লাপিদ জানিয়ে দিয়েছেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত সরকারে যোগ দেবেন না তিনি। সংকট হচ্ছে, নেতানিয়াহুর জোট ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও পশ্চিম তীরের অধিকৃত এলাকা থেকে ইহুদি বসতি প্রত্যাহারের ঘোর বিরোধী। এ ছাড়া লেবার পার্টি পেয়েছে ১৫টি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিপি লিভনির নেতৃত্বাধীন মধ্যপন্থী হাতনুয়া পার্টি পেয়েছে ছয়টি আসন। বামপন্থী মেরেজ পার্টিও তাই। এক সময়ের সবচেয়ে বড় দল কাদিমা পেয়েছে মাত্র দুটি আসন। অবশিষ্ট ১২টি আসন পেয়েছে আরব ইসরায়েলি দলগুলো। ঐতিহ্যগতভাবেই এই দলগুলো সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকে না। তাদের ডাকাও হয় না।
জয়ের ইঙ্গিত পাওয়ার পর নেতানিয়াহু বলেন, একটি সম্প্রসারিত সরকার গঠনে আগ্রহী তিনি। তিনি বলেন, পাঁচটি মূল নীতির ওপর ভিত্তি করে এবারের সরকার পরিচালিত হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে দেশের নিরাপত্তা। এ ছাড়া অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকার গঠনের জন্য ২৮ দিন সময় পাবেন নেতানিয়াহু। প্রয়োজনে সময় আরো দুই সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments