চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ by নূরুল মোস্তফা কাজী
চট্টগ্রাম বন্দরের নিম্ন বহিঃসহকারী ও জুনিয়র স্টোরম্যান নিয়োগে
ব্যাপক নিয়োগবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মেধার পরিবর্তে নিয়োগে মোটা অঙ্কের
আর্থিক লেনদেন এবং মতার দাপটই প্রাধান্য পেয়েছে বলে বন্দর ভবনে আলোচনা
চলছে।
খোদ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেও এ বিষয়ে
সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ
ঝুলে রয়েছে বলে বন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিম্ন বহিঃসহকারী ও জুনিয়র স্টোরম্যান নিয়োগে ব্যাপক নিয়োগবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মেধার পরিবর্তে নিয়োগে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন এবং মতার দাপটই প্রাধান্য পেয়েছে বলে বন্দর ভবনে আলোচনা চলছে। খোদ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেও এ বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ ঝুলে রয়েছে বলে বন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আট বছর পর গত বছরের ১৫ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নিয়োগ পরীা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পদের জন্য এইচএসসি পাস চাওয়া হলেও প্রার্থীদের বেশির ভাগই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ২৮৯টি পদের বিপরীতে প্রতিটিতে পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ৫০ জন। বন্দর সূত্র জানায়, বন্দর পরিবহন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর এই পদে নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০০৪ সালে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই সরকার সব ধরনের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলে বন্দরের নিয়োগপ্রক্রিয়াও স্থগিত করা হয়। পরে উল্লিখিত পদের ছাড়পত্র পেলে ২০১০ সালে আবার নতুন করে দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরই ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীায় অনেকেই ভালো নম্বর পেলেও মৌখিক পরীায় তাদের অপোকৃত কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৭৫ নম্বরের লিখিত পরীায় ৫০ নম্বর পেয়েও ভাইভাতে একেবারে কম নম্বর দিয়ে অনেককেই বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ দাবি করেছেন। তাদের মতে, এখানে মেধার জোর নয়, টাকার জোরই প্রাধান্য পেয়েছে। এ েেত্র সরকারি দলের প্রভাব এবং দেশের একটি বিশেষ অঞ্চলের লোকজনকেই নিয়োগে প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। তা ছাড়া জেলা কোটাসহ বিভিন্ন কোটা অনুসরণ না করারও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে নিয়োগপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার েেত্র। নিয়োগ কমিটির সদস্য ছাড়াও নিয়োগবাণিজ্যে সরকারি দলের লোকজনের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ মিলেছে। প্রায় সব পদের নিয়োগ কমিটিতে আছেন চট্টগ্রাম বন্দরের এমন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অভিযোগের তীর সবচেয়ে বেশি।
নিম্ন বহিঃসহকারীর মতো জুনিয়র স্টোরম্যান, লস্কর, খালাসি ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের েেত্রও একটি চক্র মোটা অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেছে এবং করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নিয়োগ কমিটির সুপারিশকৃত তালিকা নিয়ে খোদ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই তালিকা এখন পর্যন্ত ছাড় করা হচ্ছে না বলে সূত্র জানায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে পরিচালক (প্রশাসন) মুহিবুল হক এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, নিম্ন বহিঃসহকারীর নিয়োগ কমিটিতে আমি ছিলাম না, কাজেই অনিয়ম সম্পর্কে বলতে পারব না। তবে এ ধরনের কিছু হলে সেটা দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে চিফ পার্সোনেল অফিসার আলাউদ্দিন মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অনিয়মের অভিযোগ উঠতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে সদস্য (প্রশাসন) নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, লিখিত পরীায় ভালো করার পরও ভাইভায় কেন কম নম্বর পেল সেটি ভাইভা বোর্ডের এখতিয়ার। তা ছাড়া এটি প্রমাণসাপে বিষয়। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
বন্দর সূত্র জানায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আট বছর পর গত বছরের ১৫ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নিয়োগ পরীা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পদের জন্য এইচএসসি পাস চাওয়া হলেও প্রার্থীদের বেশির ভাগই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ২৮৯টি পদের বিপরীতে প্রতিটিতে পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ৫০ জন। বন্দর সূত্র জানায়, বন্দর পরিবহন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর এই পদে নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০০৪ সালে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই সরকার সব ধরনের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলে বন্দরের নিয়োগপ্রক্রিয়াও স্থগিত করা হয়। পরে উল্লিখিত পদের ছাড়পত্র পেলে ২০১০ সালে আবার নতুন করে দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরই ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীায় অনেকেই ভালো নম্বর পেলেও মৌখিক পরীায় তাদের অপোকৃত কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৭৫ নম্বরের লিখিত পরীায় ৫০ নম্বর পেয়েও ভাইভাতে একেবারে কম নম্বর দিয়ে অনেককেই বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ দাবি করেছেন। তাদের মতে, এখানে মেধার জোর নয়, টাকার জোরই প্রাধান্য পেয়েছে। এ েেত্র সরকারি দলের প্রভাব এবং দেশের একটি বিশেষ অঞ্চলের লোকজনকেই নিয়োগে প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। তা ছাড়া জেলা কোটাসহ বিভিন্ন কোটা অনুসরণ না করারও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে নিয়োগপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার েেত্র। নিয়োগ কমিটির সদস্য ছাড়াও নিয়োগবাণিজ্যে সরকারি দলের লোকজনের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ মিলেছে। প্রায় সব পদের নিয়োগ কমিটিতে আছেন চট্টগ্রাম বন্দরের এমন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অভিযোগের তীর সবচেয়ে বেশি।
নিম্ন বহিঃসহকারীর মতো জুনিয়র স্টোরম্যান, লস্কর, খালাসি ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের েেত্রও একটি চক্র মোটা অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেছে এবং করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নিয়োগ কমিটির সুপারিশকৃত তালিকা নিয়ে খোদ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই তালিকা এখন পর্যন্ত ছাড় করা হচ্ছে না বলে সূত্র জানায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে পরিচালক (প্রশাসন) মুহিবুল হক এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, নিম্ন বহিঃসহকারীর নিয়োগ কমিটিতে আমি ছিলাম না, কাজেই অনিয়ম সম্পর্কে বলতে পারব না। তবে এ ধরনের কিছু হলে সেটা দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে চিফ পার্সোনেল অফিসার আলাউদ্দিন মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অনিয়মের অভিযোগ উঠতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে সদস্য (প্রশাসন) নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, লিখিত পরীায় ভালো করার পরও ভাইভায় কেন কম নম্বর পেল সেটি ভাইভা বোর্ডের এখতিয়ার। তা ছাড়া এটি প্রমাণসাপে বিষয়। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিম্ন বহিঃসহকারী ও জুনিয়র স্টোরম্যান নিয়োগে ব্যাপক নিয়োগবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মেধার পরিবর্তে নিয়োগে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন এবং মতার দাপটই প্রাধান্য পেয়েছে বলে বন্দর ভবনে আলোচনা চলছে। খোদ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেও এ বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ ঝুলে রয়েছে বলে বন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আট বছর পর গত বছরের ১৫ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নিয়োগ পরীা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পদের জন্য এইচএসসি পাস চাওয়া হলেও প্রার্থীদের বেশির ভাগই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ২৮৯টি পদের বিপরীতে প্রতিটিতে পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ৫০ জন। বন্দর সূত্র জানায়, বন্দর পরিবহন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর এই পদে নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০০৪ সালে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই সরকার সব ধরনের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলে বন্দরের নিয়োগপ্রক্রিয়াও স্থগিত করা হয়। পরে উল্লিখিত পদের ছাড়পত্র পেলে ২০১০ সালে আবার নতুন করে দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরই ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীায় অনেকেই ভালো নম্বর পেলেও মৌখিক পরীায় তাদের অপোকৃত কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৭৫ নম্বরের লিখিত পরীায় ৫০ নম্বর পেয়েও ভাইভাতে একেবারে কম নম্বর দিয়ে অনেককেই বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ দাবি করেছেন। তাদের মতে, এখানে মেধার জোর নয়, টাকার জোরই প্রাধান্য পেয়েছে। এ েেত্র সরকারি দলের প্রভাব এবং দেশের একটি বিশেষ অঞ্চলের লোকজনকেই নিয়োগে প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। তা ছাড়া জেলা কোটাসহ বিভিন্ন কোটা অনুসরণ না করারও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে নিয়োগপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার েেত্র। নিয়োগ কমিটির সদস্য ছাড়াও নিয়োগবাণিজ্যে সরকারি দলের লোকজনের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ মিলেছে। প্রায় সব পদের নিয়োগ কমিটিতে আছেন চট্টগ্রাম বন্দরের এমন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অভিযোগের তীর সবচেয়ে বেশি।
নিম্ন বহিঃসহকারীর মতো জুনিয়র স্টোরম্যান, লস্কর, খালাসি ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের েেত্রও একটি চক্র মোটা অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেছে এবং করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নিয়োগ কমিটির সুপারিশকৃত তালিকা নিয়ে খোদ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই তালিকা এখন পর্যন্ত ছাড় করা হচ্ছে না বলে সূত্র জানায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে পরিচালক (প্রশাসন) মুহিবুল হক এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, নিম্ন বহিঃসহকারীর নিয়োগ কমিটিতে আমি ছিলাম না, কাজেই অনিয়ম সম্পর্কে বলতে পারব না। তবে এ ধরনের কিছু হলে সেটা দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে চিফ পার্সোনেল অফিসার আলাউদ্দিন মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অনিয়মের অভিযোগ উঠতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে সদস্য (প্রশাসন) নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, লিখিত পরীায় ভালো করার পরও ভাইভায় কেন কম নম্বর পেল সেটি ভাইভা বোর্ডের এখতিয়ার। তা ছাড়া এটি প্রমাণসাপে বিষয়। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
বন্দর সূত্র জানায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আট বছর পর গত বছরের ১৫ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নিয়োগ পরীা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পদের জন্য এইচএসসি পাস চাওয়া হলেও প্রার্থীদের বেশির ভাগই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ২৮৯টি পদের বিপরীতে প্রতিটিতে পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ৫০ জন। বন্দর সূত্র জানায়, বন্দর পরিবহন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর এই পদে নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০০৪ সালে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই সরকার সব ধরনের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলে বন্দরের নিয়োগপ্রক্রিয়াও স্থগিত করা হয়। পরে উল্লিখিত পদের ছাড়পত্র পেলে ২০১০ সালে আবার নতুন করে দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরই ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীায় অনেকেই ভালো নম্বর পেলেও মৌখিক পরীায় তাদের অপোকৃত কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৭৫ নম্বরের লিখিত পরীায় ৫০ নম্বর পেয়েও ভাইভাতে একেবারে কম নম্বর দিয়ে অনেককেই বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ দাবি করেছেন। তাদের মতে, এখানে মেধার জোর নয়, টাকার জোরই প্রাধান্য পেয়েছে। এ েেত্র সরকারি দলের প্রভাব এবং দেশের একটি বিশেষ অঞ্চলের লোকজনকেই নিয়োগে প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। তা ছাড়া জেলা কোটাসহ বিভিন্ন কোটা অনুসরণ না করারও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে নিয়োগপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার েেত্র। নিয়োগ কমিটির সদস্য ছাড়াও নিয়োগবাণিজ্যে সরকারি দলের লোকজনের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ মিলেছে। প্রায় সব পদের নিয়োগ কমিটিতে আছেন চট্টগ্রাম বন্দরের এমন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অভিযোগের তীর সবচেয়ে বেশি।
নিম্ন বহিঃসহকারীর মতো জুনিয়র স্টোরম্যান, লস্কর, খালাসি ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের েেত্রও একটি চক্র মোটা অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেছে এবং করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিম্ন বহিঃসহকারী পদে নিয়োগ কমিটির সুপারিশকৃত তালিকা নিয়ে খোদ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই তালিকা এখন পর্যন্ত ছাড় করা হচ্ছে না বলে সূত্র জানায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে পরিচালক (প্রশাসন) মুহিবুল হক এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, নিম্ন বহিঃসহকারীর নিয়োগ কমিটিতে আমি ছিলাম না, কাজেই অনিয়ম সম্পর্কে বলতে পারব না। তবে এ ধরনের কিছু হলে সেটা দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে চিফ পার্সোনেল অফিসার আলাউদ্দিন মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অনিয়মের অভিযোগ উঠতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে সদস্য (প্রশাসন) নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, লিখিত পরীায় ভালো করার পরও ভাইভায় কেন কম নম্বর পেল সেটি ভাইভা বোর্ডের এখতিয়ার। তা ছাড়া এটি প্রমাণসাপে বিষয়। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
No comments