আশ্রয়ের খোঁজে গিয়ে রোহিঙ্গারা পাচারকারীদের খপ্পরে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গত কয়েক মাসে কয়েক হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়েছে। তাদের অনেকের গন্তব্যস্থল ছিল আন্দামান সমুদ্রের পশ্চিম অঞ্চল হয়ে থাইল্যান্ড। কিন্তু সবাই তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
এর আগেই থাইল্যান্ড সীমান্তে আটক হতে হয়েছে পুলিশ ও নৌবাহিনীর হাতে। তারা এই রোহিঙ্গাদের আটকের পর বিক্রি করে দেয় মানবপাচারকারীদের কাছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে ভিটেহারা রোহিঙ্গাদের নির্মম কাহিনী।
পশ্চিম মিয়ানমারের বাসিন্দা আহমেদ। রাখাইনদের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তাঁকে মাছ ধরার নৌকাটি হারাতে হয়। এরপর গত নভেম্বরে স্ত্রী ও আট সন্তানকে রেখে জীবিকার সন্ধানে বাড়ি ছাড়েন তিনি। জরাজীর্ণ একটি কাঠের নৌকায় অন্য ৬০ রোহিঙ্গার সঙ্গে আন্দামান সমুদ্র পাড়ি দেন। ১৩ দিন পর তাঁরা পৌঁছান থাইল্যান্ড সীমান্তে।
সেখানে পুরো দলটি থাই নৌবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তখন আহমেদ ভেবেছিলেন, তাঁর কষ্টের দিন বুঝি শেষ হলো। কিন্তু আসলে তা ছিল কেবল শুরু!
সেই রাতেই একটি পুলিশ ভ্যানে তাঁদের থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী শহর রানংয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের একসঙ্গে বেঁধে জালের মধ্যে পেঁচিয়ে ছয়টি ছোট ছোট গাড়িতে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ার সামীন্তবর্তী সু নাগি কোলোক শহরে। আহমেদ বলেন, 'গাড়িতে নিজেদের জালে আটকা মাছ মনে হচ্ছিল।' আহমেদ তখনো জানতেন না তাঁদের ইতিমধ্যে মানবপাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে; যে কেনাবেচায় আহমেদের দাম পড়েছে এক হাজার ৩০০ ডলার।
সু নাগি কোলোকে পৌঁছানোর পর সবাই ঘটনা জানতে পারেন। আহমেদ বলেন, 'পাচারকারীরা জানায়, আমাদের তারা পুলিশের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে। আমরা যদি সেই টাকা না দিতে পারি তাহলে আমাদের মুক্তি মিলবে না।'
আহমেদ বাধ্য হয়ে বাড়িতে স্ত্রীর কাছে ফোন করেন। পাচারকারীরা তাঁকে এই সুযোগটা দিয়েছিল। পরে বাড়ির গরু বিক্রি ও ধারদেনা করে স্ত্রী একজনের হাতে থাইল্যান্ডে টাকা পাঠান। এক মাস পর মুক্তি মেলে আহমেদের।
ওই ৬১ জনই কেবল নয়, গত ২ জানুয়ারি আরো ৭৩ রোহিঙ্গাকে মোট ৫০ হাজার ডলারে বিক্রি করা হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ রকম বহু রোহিঙ্গাকে থাই পুলিশ ও নৌ সদস্যদের কবলে পড়তে হয়েছে।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সিহাসাক পুয়াংকেতকাউরি জানান, তাঁরা অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। সূত্র : বিবিসি।
পশ্চিম মিয়ানমারের বাসিন্দা আহমেদ। রাখাইনদের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তাঁকে মাছ ধরার নৌকাটি হারাতে হয়। এরপর গত নভেম্বরে স্ত্রী ও আট সন্তানকে রেখে জীবিকার সন্ধানে বাড়ি ছাড়েন তিনি। জরাজীর্ণ একটি কাঠের নৌকায় অন্য ৬০ রোহিঙ্গার সঙ্গে আন্দামান সমুদ্র পাড়ি দেন। ১৩ দিন পর তাঁরা পৌঁছান থাইল্যান্ড সীমান্তে।
সেখানে পুরো দলটি থাই নৌবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তখন আহমেদ ভেবেছিলেন, তাঁর কষ্টের দিন বুঝি শেষ হলো। কিন্তু আসলে তা ছিল কেবল শুরু!
সেই রাতেই একটি পুলিশ ভ্যানে তাঁদের থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী শহর রানংয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের একসঙ্গে বেঁধে জালের মধ্যে পেঁচিয়ে ছয়টি ছোট ছোট গাড়িতে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ার সামীন্তবর্তী সু নাগি কোলোক শহরে। আহমেদ বলেন, 'গাড়িতে নিজেদের জালে আটকা মাছ মনে হচ্ছিল।' আহমেদ তখনো জানতেন না তাঁদের ইতিমধ্যে মানবপাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে; যে কেনাবেচায় আহমেদের দাম পড়েছে এক হাজার ৩০০ ডলার।
সু নাগি কোলোকে পৌঁছানোর পর সবাই ঘটনা জানতে পারেন। আহমেদ বলেন, 'পাচারকারীরা জানায়, আমাদের তারা পুলিশের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে। আমরা যদি সেই টাকা না দিতে পারি তাহলে আমাদের মুক্তি মিলবে না।'
আহমেদ বাধ্য হয়ে বাড়িতে স্ত্রীর কাছে ফোন করেন। পাচারকারীরা তাঁকে এই সুযোগটা দিয়েছিল। পরে বাড়ির গরু বিক্রি ও ধারদেনা করে স্ত্রী একজনের হাতে থাইল্যান্ডে টাকা পাঠান। এক মাস পর মুক্তি মেলে আহমেদের।
ওই ৬১ জনই কেবল নয়, গত ২ জানুয়ারি আরো ৭৩ রোহিঙ্গাকে মোট ৫০ হাজার ডলারে বিক্রি করা হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ রকম বহু রোহিঙ্গাকে থাই পুলিশ ও নৌ সদস্যদের কবলে পড়তে হয়েছে।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সিহাসাক পুয়াংকেতকাউরি জানান, তাঁরা অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। সূত্র : বিবিসি।
No comments