প্রবাসে সজ্জন বাঙালি কামরুল চৌধুরী by নাহিদ খান
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে একটি সুপরিচিত নাম কামরুল চৌধুরী। সেখানকার সব প্রবাসী বাংলাদেশির ‘কামরুল ভাই’। বাংলাদেশিদের যেকোনো অনুষ্ঠানে তাঁর দেখা পাওয়া যাবে।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও কোনো না কোনোভাবে তিনি ও তাঁর স্ত্রী লায়লা চৌধুরী পৌঁছে যাবেন শোকে সহানুভূতি, আনন্দে উৎসাহ আর যাবতীয় অনুষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। ব্যবসায়ী হিসেবে সফল হয়েছেন মেলবোর্নে। সেখানে তিনি গড়ে তুলেছেন পিএনএস গ্রাফিকস অস্ট্রেলিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামের মুদ্রণযন্ত্রের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন-পুরোনো মুদ্রণযন্ত্র তিনি সরবরাহ করেন বিশ্বব্যাপী। কামরুল চৌধুরী হয়ে উঠেছেন সে দেশের সরকারের একজন নির্বাচিত বিশিষ্ট রপ্তানিকারক। বাংলাদেশেও তাঁর পিএনএস গ্রুপের অধীনে আছে একাধিক শিল্প-উদ্যোগ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৭৭ সালে মেলবোর্নে এসেছিলেন ছাত্র হিসেবে। লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে তিনি একটু একটু করে জড়িয়ে গেলেন মুদ্রণ যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে। এ অভিজ্ঞতা রপ্ত করেছিলেন ছেলেবেলা থেকেই। কারণ, ঢাকায় থাকার সময় বাবার প্রিন্টিং প্রেসের সঙ্গে ছিল তাঁর সরাসরি যোগাযোগ।
কামরুল চৌধুরী বললেন, ‘প্রথমে শুরু করেছিলাম অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রিন্টিং মেশিন বাংলাদেশে পাঠানোর কাজ। এরপর ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয় এ ব্যবসা।’ এখন এ ব্যবসায় বাংলাদেশ, ভারত, চীন থেকে ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের আরও অনেক দেশে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকাতেও নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্রপাতি।
অস্ট্রেলিয়ায় নিজের কোম্পানিসহ অন্যান্য অংশীদারি কোম্পানিতে রয়েছে ১১৬ জনের কর্মসংস্থান। পুরো অস্ট্রেলিয়ায় কোনো বাংলাদেশি প্রবাসীর ব্যবসায়িক সাফল্য এতটা প্রসার পাওয়া সত্যিই এক বিস্ময়ের ব্যাপার।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল পাবনার ৭ নম্বর সেক্টরে। সেই চেতনা তিনি হূদয়ে লালন করেন সব সময়। ৩৫ বছর আগে যখন বাংলাদেশের খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষ থাকতেন মেলবোর্নে, তখন থেকেই সেখানে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন কামরুল চৌধুরী।
কামরুল চৌধুরীর সবচেয়ে সাফল্য হলো, তিনি মেলবোর্নে প্রবাসী সব বাংলাদেশির আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। নতুন কোনো প্রবাসী সেখানে গেলে, ন্যূনতম যোগ্যতা থাকলে কামরুল তাঁর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। কারও কোনো কাজে গ্যারান্টারের প্রয়োজন হলে সেটাও তিনি হয়ে যান নির্দ্বিধায়। আর রোগ-শোকে কামরুল চৌধুরীর সহযোগিতা তো অব্যাহত আছেই।
কামরুল চৌধুরীর ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বিস্তৃত হয়েছে বাংলাদেশেও। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেগুলো পিএনএস নামে পরিচিত। পিএনএস গ্রুপের কৃষিপণ্য, ঘরগেরস্থালি পণ্য, যোগাযোগ, নির্মাণ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন প্রায় সাত শ নারী-পুরুষ।
ঢাকায় ১৯৫২ সালে জন্ম কামরুল চৌধুরীর। তাঁর বাবা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও মা আকলিমা চৌধুরী। শুধু কর্মসংস্থান নয়, বরং দেশে-বিদেশে অগণিত নিঃশর্ত সেবামূলক কাজের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। কারও বিপদে এসে পাশে দাঁড়াবেন, এই বিভুঁইয়ে কেউ মারা গেলে মৃতের সৎকার এবং তার পরিবারের কাছে থাকবেন, এমনকি উৎসব আয়োজনেও দাঁড়িয়ে যাবেন তিনি। কামরুল বলেন, ‘কাউকে একটু সাহায্য করতে পারলে ভালো লাগে, এই আরকি!’
আমিই বাংলাদেশ নিয়ে পরামর্শ ও তথ্য যোগাযোগ: ab@prothom-alo.info
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৭৭ সালে মেলবোর্নে এসেছিলেন ছাত্র হিসেবে। লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে তিনি একটু একটু করে জড়িয়ে গেলেন মুদ্রণ যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে। এ অভিজ্ঞতা রপ্ত করেছিলেন ছেলেবেলা থেকেই। কারণ, ঢাকায় থাকার সময় বাবার প্রিন্টিং প্রেসের সঙ্গে ছিল তাঁর সরাসরি যোগাযোগ।
কামরুল চৌধুরী বললেন, ‘প্রথমে শুরু করেছিলাম অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রিন্টিং মেশিন বাংলাদেশে পাঠানোর কাজ। এরপর ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয় এ ব্যবসা।’ এখন এ ব্যবসায় বাংলাদেশ, ভারত, চীন থেকে ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের আরও অনেক দেশে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকাতেও নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্রপাতি।
অস্ট্রেলিয়ায় নিজের কোম্পানিসহ অন্যান্য অংশীদারি কোম্পানিতে রয়েছে ১১৬ জনের কর্মসংস্থান। পুরো অস্ট্রেলিয়ায় কোনো বাংলাদেশি প্রবাসীর ব্যবসায়িক সাফল্য এতটা প্রসার পাওয়া সত্যিই এক বিস্ময়ের ব্যাপার।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল পাবনার ৭ নম্বর সেক্টরে। সেই চেতনা তিনি হূদয়ে লালন করেন সব সময়। ৩৫ বছর আগে যখন বাংলাদেশের খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষ থাকতেন মেলবোর্নে, তখন থেকেই সেখানে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন কামরুল চৌধুরী।
কামরুল চৌধুরীর সবচেয়ে সাফল্য হলো, তিনি মেলবোর্নে প্রবাসী সব বাংলাদেশির আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। নতুন কোনো প্রবাসী সেখানে গেলে, ন্যূনতম যোগ্যতা থাকলে কামরুল তাঁর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। কারও কোনো কাজে গ্যারান্টারের প্রয়োজন হলে সেটাও তিনি হয়ে যান নির্দ্বিধায়। আর রোগ-শোকে কামরুল চৌধুরীর সহযোগিতা তো অব্যাহত আছেই।
কামরুল চৌধুরীর ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বিস্তৃত হয়েছে বাংলাদেশেও। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেগুলো পিএনএস নামে পরিচিত। পিএনএস গ্রুপের কৃষিপণ্য, ঘরগেরস্থালি পণ্য, যোগাযোগ, নির্মাণ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন প্রায় সাত শ নারী-পুরুষ।
ঢাকায় ১৯৫২ সালে জন্ম কামরুল চৌধুরীর। তাঁর বাবা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও মা আকলিমা চৌধুরী। শুধু কর্মসংস্থান নয়, বরং দেশে-বিদেশে অগণিত নিঃশর্ত সেবামূলক কাজের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। কারও বিপদে এসে পাশে দাঁড়াবেন, এই বিভুঁইয়ে কেউ মারা গেলে মৃতের সৎকার এবং তার পরিবারের কাছে থাকবেন, এমনকি উৎসব আয়োজনেও দাঁড়িয়ে যাবেন তিনি। কামরুল বলেন, ‘কাউকে একটু সাহায্য করতে পারলে ভালো লাগে, এই আরকি!’
আমিই বাংলাদেশ নিয়ে পরামর্শ ও তথ্য যোগাযোগ: ab@prothom-alo.info
No comments