মালিতে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
মালির সেনাপ্রধান জেনারেল ইব্রাহিমা দাহিরাও দেমবেলে গত মঙ্গলবার বলেছেন, ফরাসি সেনাদের সহযোগিতায় তাঁরা হয়তো আগামী এক মাসের মধ্যেই ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হটিয়ে গাও ও তিমবুকতু শহরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
মালিতে ফরাসি সরকারের 'সাহসী' হস্তক্ষেপের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তবে তিনি এ অভিযানের ফলে মালিতে কর্মরত মানবাধিকারকর্মী ও শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মালিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে জাতিসংঘের ওপর চাপ রয়েছে। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার তিনি এ উদ্বেগের কথা জানান। তবে মালির অভিযানের প্রতি তাঁর সরাসরি সমর্থনের কথাও জানান মহাসচিব।
এদিকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সাময়িকভাবে মালির দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। জাপানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, দিন দিন মালির নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এ কারণে রাজধানী বামাকোর দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করবে জাপান। যত দ্রুত সম্ভব দূতাবাসের কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সম্ভাব্য সময়সীমা ২৯ জানুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
জেনারেল দেমবেলে ফরাসি রেডিও আরএফআইকে বলেন, যদি সহযোগিতা অব্যাহত থাকে তবে গাও ও তিমবুকতু শহরের দখল নিতে কোনোভাবেই এক মাসের বেশি সময় লাগবে না। আফ্রিকার নেতৃত্বাধীন মালিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মিশনের (আফ্রিকম) মুখপাত্র চাক প্রিচার্ডও আশা করেন, অভিযান হয়তো আগামী কয়েক দিন স্থায়ী হবে। দেশটির জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ক্রমে বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানের স্থায়িত্ব কমার আশা করা হচ্ছে।
মালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায়, তিমবুকতু শহরে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরেবের (একিউআইএম) প্রধান ঘাঁটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ফরাসি বাহিনী। এদিকে মালির জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আন্তর্জাতিক সাহায্য বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র সোমবার জানিয়েছে, এ দিন থেকে তাদের একটি পণ্যবাহী বিমান ও বিমানচালকদের একটি ছোট দল মালিতে কাজ শুরু করেছে। ইতালি ঘোষণা দিয়েছে, তিনটি বিমান পাঠাবে তারা। ব্রিটেনও সাহায্য বাড়ানোর ব্যাপারে 'ইতিবাচক' চিন্তাভাবনা করছে। এরই মধ্যে তারা দুটি পরিবহন বিমান পাঠিয়েছে। তবে দ্য সান পত্রিকা জানিয়েছে, আরো বেশি গোয়েন্দা বিমান, চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) ও পরিবহন বিমান দিয়ে ব্রিটেনের মালি অভিযানে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সায় নেই প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের। বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছে মালিতে। এ ছাড়া আইভোরি কোস্ট ৫০০ সেনা পাঠাবে। টোগো সেনাসংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ৭৩৩ করবে। চাদ পাঠাচ্ছে দুই হাজার সেনা। এ অবস্থায় আঞ্চলিক সেনাসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ছয় হাজারে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
এদিকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সাময়িকভাবে মালির দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। জাপানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, দিন দিন মালির নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এ কারণে রাজধানী বামাকোর দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করবে জাপান। যত দ্রুত সম্ভব দূতাবাসের কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সম্ভাব্য সময়সীমা ২৯ জানুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
জেনারেল দেমবেলে ফরাসি রেডিও আরএফআইকে বলেন, যদি সহযোগিতা অব্যাহত থাকে তবে গাও ও তিমবুকতু শহরের দখল নিতে কোনোভাবেই এক মাসের বেশি সময় লাগবে না। আফ্রিকার নেতৃত্বাধীন মালিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মিশনের (আফ্রিকম) মুখপাত্র চাক প্রিচার্ডও আশা করেন, অভিযান হয়তো আগামী কয়েক দিন স্থায়ী হবে। দেশটির জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ক্রমে বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানের স্থায়িত্ব কমার আশা করা হচ্ছে।
মালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায়, তিমবুকতু শহরে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরেবের (একিউআইএম) প্রধান ঘাঁটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ফরাসি বাহিনী। এদিকে মালির জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আন্তর্জাতিক সাহায্য বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র সোমবার জানিয়েছে, এ দিন থেকে তাদের একটি পণ্যবাহী বিমান ও বিমানচালকদের একটি ছোট দল মালিতে কাজ শুরু করেছে। ইতালি ঘোষণা দিয়েছে, তিনটি বিমান পাঠাবে তারা। ব্রিটেনও সাহায্য বাড়ানোর ব্যাপারে 'ইতিবাচক' চিন্তাভাবনা করছে। এরই মধ্যে তারা দুটি পরিবহন বিমান পাঠিয়েছে। তবে দ্য সান পত্রিকা জানিয়েছে, আরো বেশি গোয়েন্দা বিমান, চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) ও পরিবহন বিমান দিয়ে ব্রিটেনের মালি অভিযানে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সায় নেই প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের। বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছে মালিতে। এ ছাড়া আইভোরি কোস্ট ৫০০ সেনা পাঠাবে। টোগো সেনাসংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ৭৩৩ করবে। চাদ পাঠাচ্ছে দুই হাজার সেনা। এ অবস্থায় আঞ্চলিক সেনাসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ছয় হাজারে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments