বিন লাদেন হত্যারহস্য উন্মোচন করবেন সাজাপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আলি খান by ড. মনির আহমেদ করাচি
ব্রিগেডিয়ার আলি খান কারাগার থেকে লাহোর হাইকোর্টের কাছে এক আবেদনে
জানিয়েছেন, তিনি আদালতে হাজির হয়ে ওসামা বিন লাদেন হত্যার নেপথ্য কাহিনী
বয়ান করতে চান। আবেদনটি কোর্টের মঞ্জুরি পেয়েছে।
সন্ত্রাসী
সংগঠন হিজবুত তাহিরের সাথে সম্পর্কের অভিযোগে ব্রিগেডিয়ার আলিসহ আরো
চারজনকে কোর্ট মার্শালে সাজা দেয়া হয়। সংগঠনটি আফগানিস্তানে মার্কিন ও
ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক কর্মে লিপ্ত।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মে মাসে বিন লাদেনের বাসস্থানের ওপর অতর্কিত হামলার পর ব্রিগেডিয়ার আলি প্রেসিডেন্ট জারদারি ও সামরিক প্রধান জেনারেল আসফাক কিয়ানিকে এক চিঠি পাঠান যাতে মার্কিন ও ন্যাটো হামলার নিন্দা করা হয় ও ভবিষ্যতে কী ধরনের পথ পাকিস্তানের স্বার্থে অবলম্বন করা উচিত তার ইঙ্গিত দেয়া হয়।
ব্রিগেডিয়ার আলির পক্ষে কর্নেল (অব:) ইনামুর রহিম লাহোর হাইকোর্টে আর্জি পেশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ ছাড়া তার কাছে বিন লাদেন হামলাসংক্রান্ত নতুন বক্তব্য আছে যা তিনি সরাসরি আদালতকে জানাতে চান। তিনি যে চিঠি প্রেসিডেন্ট জারদারি ও সামরিক প্রধানকে লিখেছিলেন তার খসড়াও কোর্টকে প্রদান করা হবে বলে আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার আলির আইনবিদ বলেন, তার মক্কেল অ্যাবোটাবাদ কমিশনকে এ ব্যাপারে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কমিশন এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। অ্যাবোটাবাদ অপারেশনের অব্যহিত পরই তাকে আটক করা হয়। কারণ তিনি দুর্ঘটনাটির ওপর প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার আলির লেখা চিঠির বক্তব্য হলো, পাকিস্তানের অধিবাসীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেখা গেছে চরম বিপদ, যার পেছনে রয়েছে সন্ত্রাস নিধন ও অভিযান। এই অভিযানে মার্কিনিদের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে পাকিস্তানিরা মার্কিনিদের গোলাম হয়ে বসেছে। তাতে আরো বলা হয়েছে, মার্কিনিরা এমন চাল চালিয়েছে যাতে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক তিক্ততায় পর্যবসিত হয়েছে। বিশেষ করে আফগানিস্তান ও ইরানের সাথে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। দেশগুলোর সীমান্ত ঘিরে নিরাপত্তার অভাব বিরাজ করছে। এমনকি দেশের অভ্যন্তরে সামরিক বাহিনীর সাথে জনগণের মনোমালিন্য দিন দিন চরমে উঠেছে। চিঠিতে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী চক্র থেকে বেরিয়ে আসার উপদেশ দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যেন সরকার মার্কিনি ও ন্যাটো বাহিনীকে বোঝাতে চেষ্টা করে যে শান্তির লক্ষ্যে আফগানিস্তানে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে শান্তিবাহিনী গঠন করা সমীচীন হবে। ওই বাহিনীতে মুসলমান দেশ থেকে লোক নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিন লাদেন হত্যার কাহিনী কতটা সত্যভিত্তিক এ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। সাবেক সিআইএ চরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বিন লাদেন বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন। ওই চর নিজেই তার প্রত্যক্ষদর্শী। তাই পাকিস্তানের মাটিতে তার হত্যার কাহিনী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয় অনেকের কাছে।
লাহোর আদালতে তাই ব্রিগেডিয়ার আলির বক্তব্য শুনতে অনেকেই পথ চেয়ে বসে আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মে মাসে বিন লাদেনের বাসস্থানের ওপর অতর্কিত হামলার পর ব্রিগেডিয়ার আলি প্রেসিডেন্ট জারদারি ও সামরিক প্রধান জেনারেল আসফাক কিয়ানিকে এক চিঠি পাঠান যাতে মার্কিন ও ন্যাটো হামলার নিন্দা করা হয় ও ভবিষ্যতে কী ধরনের পথ পাকিস্তানের স্বার্থে অবলম্বন করা উচিত তার ইঙ্গিত দেয়া হয়।
ব্রিগেডিয়ার আলির পক্ষে কর্নেল (অব:) ইনামুর রহিম লাহোর হাইকোর্টে আর্জি পেশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ ছাড়া তার কাছে বিন লাদেন হামলাসংক্রান্ত নতুন বক্তব্য আছে যা তিনি সরাসরি আদালতকে জানাতে চান। তিনি যে চিঠি প্রেসিডেন্ট জারদারি ও সামরিক প্রধানকে লিখেছিলেন তার খসড়াও কোর্টকে প্রদান করা হবে বলে আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার আলির আইনবিদ বলেন, তার মক্কেল অ্যাবোটাবাদ কমিশনকে এ ব্যাপারে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কমিশন এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। অ্যাবোটাবাদ অপারেশনের অব্যহিত পরই তাকে আটক করা হয়। কারণ তিনি দুর্ঘটনাটির ওপর প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার আলির লেখা চিঠির বক্তব্য হলো, পাকিস্তানের অধিবাসীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেখা গেছে চরম বিপদ, যার পেছনে রয়েছে সন্ত্রাস নিধন ও অভিযান। এই অভিযানে মার্কিনিদের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে পাকিস্তানিরা মার্কিনিদের গোলাম হয়ে বসেছে। তাতে আরো বলা হয়েছে, মার্কিনিরা এমন চাল চালিয়েছে যাতে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক তিক্ততায় পর্যবসিত হয়েছে। বিশেষ করে আফগানিস্তান ও ইরানের সাথে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। দেশগুলোর সীমান্ত ঘিরে নিরাপত্তার অভাব বিরাজ করছে। এমনকি দেশের অভ্যন্তরে সামরিক বাহিনীর সাথে জনগণের মনোমালিন্য দিন দিন চরমে উঠেছে। চিঠিতে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী চক্র থেকে বেরিয়ে আসার উপদেশ দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যেন সরকার মার্কিনি ও ন্যাটো বাহিনীকে বোঝাতে চেষ্টা করে যে শান্তির লক্ষ্যে আফগানিস্তানে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে শান্তিবাহিনী গঠন করা সমীচীন হবে। ওই বাহিনীতে মুসলমান দেশ থেকে লোক নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিন লাদেন হত্যার কাহিনী কতটা সত্যভিত্তিক এ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। সাবেক সিআইএ চরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বিন লাদেন বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন। ওই চর নিজেই তার প্রত্যক্ষদর্শী। তাই পাকিস্তানের মাটিতে তার হত্যার কাহিনী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয় অনেকের কাছে।
লাহোর আদালতে তাই ব্রিগেডিয়ার আলির বক্তব্য শুনতে অনেকেই পথ চেয়ে বসে আছেন।
No comments