রাবিতে ৭ শিক্ষকসহ ২০ মদদদাতা, নজরদারিতে ৫০
নাটোরে নাশকতামূলক কর্মকা-ের প্রস্তুতি গ্রহণের অভিযোগে শামসুল ইসলাম কল্লোল নামে এক জামায়াত নেতাকে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করেছে। কলেস্নাল জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি।
এ ছাড়া বগুড়ার সানত্মাহারে জামায়াত-শিবিরের ২ ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরম্নদ্ধে জঙ্গী কর্মকা- এবং রাবিতে শিবিরের নারকীয় তা-ব ও ছাত্রলীগ কমর্ী ফারম্নক হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এরা হলো শিবিরের হাফিজুর রহমান ও জামায়াতের আবু হানিফ।এদিকে রাবির ঘটনার নেপথ্যে মদদ দেয়ার অভিযোগে ৭ শিৰকসহ ২০ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর বাইরে আরও ৫০ জনকে সন্দেহজনকভাবে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে সিলেটে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটক জামায়াত-শিবিরের ৩১ নেতাকমর্ীকে হাইকোর্টের বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়ার বেঞ্চ বুধবার বিকেলে অনত্মর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে। একই সঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে আদালত তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এক জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে ৫টি হাতবোমা, একটি ছোরা উদ্ধার করেছে। এসবের সঙ্গে ছিল একটি খেলনা পিসত্মলও। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নাবিল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় শহরে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার।
জানা গেছে, নাটোরে গোপনে জমায়েত হয়ে বেআইনীভাবে মহাসড়ক অবরোধ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রৰায় বিঘ্ন সৃষ্টি করার অভিযোগে জামায়াত নেতা শামসুল ইসলাম কলেস্নালকে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের পুলিশ এখন খুঁজছে।
পুলিশ জানায়, জামায়াত-শিবির চক্র গত এক সপ্তাহ ধরে নানা অজুহাতে বিৰোভ মিছিল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির উদ্দেশ্যে নাশকতামূলক কর্মকা- করার অপচেষ্টা করছে। সকাল ৮টার দিকে তারা নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় জমায়েত হয় এবং কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করার অপচষ্টা চালাচ্ছিল।
শিবির ক্যাডারদের নেপথ্যে থেকে মদদের অভিযোগে ২০ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৭ জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক। অন্যরা জামায়াত নেতা। চিহ্নিত ওই ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিভিন্নভাবে ব্যাপক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। মামলা তদনত্মের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করবে পুলিশ। এছাড়া তা-বের নেপথ্যে আরও অনত্মত অর্ধশত বহিরাগত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী ও ক্যাডারকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ তথ্য পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রের।
সূত্র জানায়, মদদদাতা হিসেবে চিহ্নিত আবুল হাসেম, প্রফেসর বাসেদ আলী সরদার ও শামসুর রহমান, বেলাল হোসেন, নিজাম উদ্দিন, আব্দুর রহিম খান, আব্দুল ওহাব, আব্দুস সামাদ, সাজ্জাদ হোসেন, মান্নান মোলস্ন-া, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, মোশারফ হোসেন, অধ্যাপক তাসনিম আলম, হুমায়ন, সারোয়ার, অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, গ্রেফতারকৃত আতাউর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ এবং অধ্য সিদ্দিক হোসাইনের বিরম্নদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
No comments