ভারতের রাজনীতি-রাহুল কংগ্রেসকে নির্বাচনে জেতাতে পারবেন? by এম জে আকবর
রাজনৈতিক ডিএনএর মধ্যে যথার্থ জিন হলো উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকলে কোনো রাজনীতিবিদই এত ঝক্কিঝামেলা সয়ে তার মূল্যবান সময় ব্যয় করতে উৎসাহী হতেন না। কারণ একজন রাজনীতিবিদ তো আর ধর্মযাজক নন।
দৃষ্টি আকর্ষণের মোহিনী ক্ষমতা এবং ক্ষমতার ভোগসুখ রাজনীতিবিদের জন্য মাত্র ১০ ভাগ প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে উচ্চাকাঙ্ক্ষাই তাকে এর প্রতি আবিষ্ট রাখে। তবে দুনিয়া উলঙ্গ আকাঙ্ক্ষা আবার পছন্দ করে না। কারণ, এটা দেখতে বিশ্রী লাগে। আসলে উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ঢেকে রাখার জন্য একজন টেইলর লাগে, যিনি মুখোশ তৈরিতে সিদ্ধহস্ত।
বর্তমান অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম নিকট ভবিষ্যতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন_ এমন একটি খবর গত তিন মাস থেকেই মিডিয়ায় চাউর হয়ে গিয়েছিল। এমনকি অতিশয় বিজ্ঞ আন্তর্জাতিক দি ইকোনমিস্ট সাময়িকী তো চিদাম্বরমের প্রার্থিতা পুশ করা উচিত বলে রায়ও দিয়ে দিয়েছে। এর অর্থ হলো, তারা মনমোহন সিংয়ের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে খুশি নয়। চিদাম্বরমের চিয়ার লিডাররা মনে করে থাকতে পারেন যে, মনমোহন সিং তাদের প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক সংস্কার সাধন করতে পারেননি এবং এ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বর্তমান অর্থমন্ত্রী যোগ্য ব্যক্তি হতে পারেন।
এ ধরনের চিন্তার আরও একটি কারণ থাকতে পারে। অনেকের কাছে মনে হতে পারে, নমিনেটেড উত্তরাধিকারী রাহুল গান্ধী প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজের অবস্থানকে উন্নত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। নীতি-কৌশল নিয়ে তর্কবিতর্কের ক্ষেত্রে বা উপস্থাপনের বেলায় তার অনুপস্থিতির কারণেই এ ধরনের হতাশার জম্ম নিতে পারে।
চিদাম্বরমের প্রতি আস্থার অর্থই হলো, প্রচ্ছন্নভাবে রাহুলের ওপর অনাস্থা। দিলি্লতে যখন ধর্ষণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তরুণ শক্তির ঐতিহাসিক আন্দোলন চলছিল, তখন রাহুল ওই আন্দোলনের সামনে এসে দঁাঁড়িয়ে নিজের যোগ্যতার যথার্থতা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। ওই সময় তিনি দীর্ঘ অবকাশে ছিলেন।
কোনো খবর রটিয়ে দেওয়া বা এ নিয়ে নানা ধরনের গালগল্প ফাদায় দিলি্লকে সম্ভবত আর কোনো শহরই টেক্কা দিতে পারবে না। এ নিয়ে এখানকার স্বঘোষিত পণ্ডিতরা একটা ফর্মুলা আবিষ্কার করে ফেললেন। বলা হলো, রাহুল গান্ধী চিদাম্বরমকেই মনমোহন সিংয়ের স্থলে প্রধানমন্ত্রী করবেন। তার মা সোনিয়া গান্ধীর মতো রাহুলও রাজনৈতিক ক্ষমতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পার্শ্বচরিত্রে থাকবেন। আসল ক্ষমতার রজ্জুটা তার হাতেই থাকবে। কিন্তু জয়পুরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের চিন্তন শিবির বা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সম্মেলন এ ধরনের একটা আমুদে প্রচারণায় জল ঢেলে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী কে হবেন_ এ নিয়ে আরও জল ঘোলা হোক কংগ্রেস চায়নি। তারা রাহুলকেই বেছে নিয়েছে। এখন থেকে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ইতি ঘটল।
চিন্তন শিবিরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাহুল গান্ধী আগামী নির্বাচনেও দলকে নেতৃত্ব দেবেন এবং নির্বাচনে তার দল সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেলে তিনিই হবেন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আর সম্মেলনে বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যাতে আলোচনা-সমালোচনার অবকাশই ছিল না। আর এই বার্তাটি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এসেছে। মিসেস গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা, যিনি তার অনুমোদন ছাড়া কোনো সাক্ষাৎকার পর্যন্ত দেন না; তিনিই এ কথাটি প্রথম পাড়েন। তিনিই বলেন, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নেতা রাহুল গান্ধীই। এটা হয়তো দলের উচ্চাসনে আসীন এক-দু'জনের আশাভঙ্গের কারণ হতে পারে। তবে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মীরা এতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
পরিবার চায় বলেই কংগ্রেস যে একটি পরিবারের ওপর নির্ভরশীল দলে পরিণত হয়েছে_ তা নয়। আসলে দল স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবেই তাদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের কথা বিস্মৃত হয়েছে। তারা তাদের পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে এমন ধরনের ককাসের অস্তিত্বও দলেই নেই। কংগ্রেস নেতারা নির্দিষ্ট পরিবারটির বাইরে কোনো পরামর্শকে অবমাননা দৃষ্টিতে দেখে। তাদের যুক্তি হলো, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার একমাত্র ফ্যাক্টরই হলো এই পরিবার। নরসীমা রাওয়ের আমলে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত দলে এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে।
এ সময়ে জয়পুর সম্মেলন অনুষ্ঠান অন্য প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। আগামী গ্রীষ্ম-শীত মৌসুমে অনুষ্ঠেয় রাজ্য বিধানসভাগুলোর নির্বাচনের সঙ্গে কি কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচনও সেরে ফেলতে চাইছে?
আসলে মোমেন্টাম থাকতে থাকতেই কাজ সেরে ফেলা ভালো। নচেৎ দেখা যাবে, প্রকৃত পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় আপনার ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। আর রাহুল গান্ধীর এভাবে হঠাৎ করে রাজনৈতিক কাজকর্মে অনুপস্থিত থাকা বা অনেক দিনের জন্য অবকাশে থাকা আর যা-ই হোক; একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য মানানসই নয়। নির্বাচনের পর তাকে এসব নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ ক্ষমতা এ ধরনের বিলাসিতা পছন্দ করে না।
সোনিয়া দলকে তরুণ মধ্যবিত্তদের নির্বাচনে মুখ্য গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে কার্যত রাহুলের ওপরই আগামী নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই শ্রেণীর ভোটাররাই তার বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রাহুল গান্ধী যদি এই তরুণ মধ্যবিত্তদের ভোট না জিততে পারেন, তাহলে তার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন স্থবির, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বর্গতি, দুর্নীতি এবং দিলি্লতে অপরাধী ও ধর্ষকদের দ্বারা চরম আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টির মতো অবস্থাও কংগ্রেসের ভোট কমিয়ে দিতে পারে।
কংগ্রেস মনে করে, রাহুল গান্ধী কোনো না কোনোভাবে জনগণের এই প্রচণ্ড ক্রোধকে প্রশমিত করতে পারবেন। এ জন্য অবশ্য জাদুর কাঠি লাগবে। কংগ্রেসের ঝুড়িতে কি সে ধরনের কোনো জাদু আছে?
আমরা এ বিষয়টি আগামী ছয় মাসের মধ্যেই নিশ্চিত হতে পারব। ততক্ষণ পর্যন্ত রাজনীতি নিয়ে বকবকানি চলতে থাকুক।
এম জে আকবর :নয়াদিলি্ল থেকে প্রকাশিত দি সানডে গার্ডিয়ান এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত ইন্ডিয়া অন সানডের সম্পাদক
ডন থেকে ভাষান্তর
সুভাষ সাহা
বর্তমান অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম নিকট ভবিষ্যতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন_ এমন একটি খবর গত তিন মাস থেকেই মিডিয়ায় চাউর হয়ে গিয়েছিল। এমনকি অতিশয় বিজ্ঞ আন্তর্জাতিক দি ইকোনমিস্ট সাময়িকী তো চিদাম্বরমের প্রার্থিতা পুশ করা উচিত বলে রায়ও দিয়ে দিয়েছে। এর অর্থ হলো, তারা মনমোহন সিংয়ের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে খুশি নয়। চিদাম্বরমের চিয়ার লিডাররা মনে করে থাকতে পারেন যে, মনমোহন সিং তাদের প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক সংস্কার সাধন করতে পারেননি এবং এ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বর্তমান অর্থমন্ত্রী যোগ্য ব্যক্তি হতে পারেন।
এ ধরনের চিন্তার আরও একটি কারণ থাকতে পারে। অনেকের কাছে মনে হতে পারে, নমিনেটেড উত্তরাধিকারী রাহুল গান্ধী প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজের অবস্থানকে উন্নত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। নীতি-কৌশল নিয়ে তর্কবিতর্কের ক্ষেত্রে বা উপস্থাপনের বেলায় তার অনুপস্থিতির কারণেই এ ধরনের হতাশার জম্ম নিতে পারে।
চিদাম্বরমের প্রতি আস্থার অর্থই হলো, প্রচ্ছন্নভাবে রাহুলের ওপর অনাস্থা। দিলি্লতে যখন ধর্ষণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তরুণ শক্তির ঐতিহাসিক আন্দোলন চলছিল, তখন রাহুল ওই আন্দোলনের সামনে এসে দঁাঁড়িয়ে নিজের যোগ্যতার যথার্থতা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। ওই সময় তিনি দীর্ঘ অবকাশে ছিলেন।
কোনো খবর রটিয়ে দেওয়া বা এ নিয়ে নানা ধরনের গালগল্প ফাদায় দিলি্লকে সম্ভবত আর কোনো শহরই টেক্কা দিতে পারবে না। এ নিয়ে এখানকার স্বঘোষিত পণ্ডিতরা একটা ফর্মুলা আবিষ্কার করে ফেললেন। বলা হলো, রাহুল গান্ধী চিদাম্বরমকেই মনমোহন সিংয়ের স্থলে প্রধানমন্ত্রী করবেন। তার মা সোনিয়া গান্ধীর মতো রাহুলও রাজনৈতিক ক্ষমতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পার্শ্বচরিত্রে থাকবেন। আসল ক্ষমতার রজ্জুটা তার হাতেই থাকবে। কিন্তু জয়পুরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের চিন্তন শিবির বা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সম্মেলন এ ধরনের একটা আমুদে প্রচারণায় জল ঢেলে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী কে হবেন_ এ নিয়ে আরও জল ঘোলা হোক কংগ্রেস চায়নি। তারা রাহুলকেই বেছে নিয়েছে। এখন থেকে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ইতি ঘটল।
চিন্তন শিবিরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাহুল গান্ধী আগামী নির্বাচনেও দলকে নেতৃত্ব দেবেন এবং নির্বাচনে তার দল সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেলে তিনিই হবেন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আর সম্মেলনে বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যাতে আলোচনা-সমালোচনার অবকাশই ছিল না। আর এই বার্তাটি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এসেছে। মিসেস গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা, যিনি তার অনুমোদন ছাড়া কোনো সাক্ষাৎকার পর্যন্ত দেন না; তিনিই এ কথাটি প্রথম পাড়েন। তিনিই বলেন, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নেতা রাহুল গান্ধীই। এটা হয়তো দলের উচ্চাসনে আসীন এক-দু'জনের আশাভঙ্গের কারণ হতে পারে। তবে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মীরা এতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
পরিবার চায় বলেই কংগ্রেস যে একটি পরিবারের ওপর নির্ভরশীল দলে পরিণত হয়েছে_ তা নয়। আসলে দল স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবেই তাদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের কথা বিস্মৃত হয়েছে। তারা তাদের পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে এমন ধরনের ককাসের অস্তিত্বও দলেই নেই। কংগ্রেস নেতারা নির্দিষ্ট পরিবারটির বাইরে কোনো পরামর্শকে অবমাননা দৃষ্টিতে দেখে। তাদের যুক্তি হলো, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার একমাত্র ফ্যাক্টরই হলো এই পরিবার। নরসীমা রাওয়ের আমলে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত দলে এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে।
এ সময়ে জয়পুর সম্মেলন অনুষ্ঠান অন্য প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। আগামী গ্রীষ্ম-শীত মৌসুমে অনুষ্ঠেয় রাজ্য বিধানসভাগুলোর নির্বাচনের সঙ্গে কি কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচনও সেরে ফেলতে চাইছে?
আসলে মোমেন্টাম থাকতে থাকতেই কাজ সেরে ফেলা ভালো। নচেৎ দেখা যাবে, প্রকৃত পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় আপনার ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। আর রাহুল গান্ধীর এভাবে হঠাৎ করে রাজনৈতিক কাজকর্মে অনুপস্থিত থাকা বা অনেক দিনের জন্য অবকাশে থাকা আর যা-ই হোক; একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য মানানসই নয়। নির্বাচনের পর তাকে এসব নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ ক্ষমতা এ ধরনের বিলাসিতা পছন্দ করে না।
সোনিয়া দলকে তরুণ মধ্যবিত্তদের নির্বাচনে মুখ্য গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে কার্যত রাহুলের ওপরই আগামী নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই শ্রেণীর ভোটাররাই তার বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রাহুল গান্ধী যদি এই তরুণ মধ্যবিত্তদের ভোট না জিততে পারেন, তাহলে তার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন স্থবির, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বর্গতি, দুর্নীতি এবং দিলি্লতে অপরাধী ও ধর্ষকদের দ্বারা চরম আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টির মতো অবস্থাও কংগ্রেসের ভোট কমিয়ে দিতে পারে।
কংগ্রেস মনে করে, রাহুল গান্ধী কোনো না কোনোভাবে জনগণের এই প্রচণ্ড ক্রোধকে প্রশমিত করতে পারবেন। এ জন্য অবশ্য জাদুর কাঠি লাগবে। কংগ্রেসের ঝুড়িতে কি সে ধরনের কোনো জাদু আছে?
আমরা এ বিষয়টি আগামী ছয় মাসের মধ্যেই নিশ্চিত হতে পারব। ততক্ষণ পর্যন্ত রাজনীতি নিয়ে বকবকানি চলতে থাকুক।
এম জে আকবর :নয়াদিলি্ল থেকে প্রকাশিত দি সানডে গার্ডিয়ান এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত ইন্ডিয়া অন সানডের সম্পাদক
ডন থেকে ভাষান্তর
সুভাষ সাহা
No comments