হাকালুকি হাওরপাড়ে নয়ন জুড়ানো বকবাড়ি by জালাল আহমদ,
এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি পাখির সবচেয়ে বড় সমাগমস্থল হিসেবে পরিচিত। এখানে দেশী-বিদেশী অসংখ্য পাখির সমাগম ঘটে।
এর মধ্যে দেশীয় প্রজাতির বক সবার নজর কাড়ে অনায়াসে। অন্তত ছয় প্রজাতির
বকের দেখা মেলে হাকালুকি হাওরে। শীতকালে হাওর তীরের অনেক বাড়িকে
বকেরবাড়ি বলা হয়। কেননা প্রতি শীতকালে এখানে পাখিগুলো নিরাপদ আশ্রয়
হিসেবে বাসা বাঁধে।
ছোট-বড় ২৩৮টি বিল বেষ্টিত সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিস্তৃত দেশের বৃহত্তম এ হাওরের প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন জাতের জলচর পাখি। এসব পাখির একটি বড় অংশ হলো নানা জাতের বক। বক আমাদের দেশী পাখি হওয়া সত্ত্বেও সারা বছর হাওর এলাকায় দেখা যায় না। হাওরে বর্ষার চেয়ে শীতকালে বকের দেখা মেলে বেশি।
পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা পাখি বিশেষজ্ঞ বশির আহমদ বলেন, বর্ষা মওসুমে হাওরভরা পানিতে ভাসমান কচুরিপানার ওপরে সামান্য কিছু কানিবককে খাবার খুঁজতে দেখা যায়। ধানতে আর কম পানির ডোবা-নালার আশপাশেই তখন বেশির ভাগ বকের বিচরণ। গো বগা তার খাবার খোঁজে গরু-মহিষের পিঠে। বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস বকের প্রজনন মওসুম। এ সময় হাওর এলাকার বাঁশঝাড় আর অন্যান্য গাছগাছালিতে এরা বাসা বাঁধে।
হাকালুকি হাওরে যেসব বকের দেখা মেলে সেগুলো হলো দেশী কানিবক, কালামাথা নিশিবক, গো বগা, ছোট বগা, মাঝলা বগা, বড় বগা। এসব বকের বাসা করার জন্য পছন্দের গাছ হচ্ছে বাঁশঝাড়, করচ, জারুল ও আম। সেখানে তারা কলোনি আকারে গাদাগাদি করে বাসা তৈরি করে। যেসব বাড়ির পাশের বাগানে বকের দল বাসা বাঁধে গায়ের লোক তার নাম দিয়ে থাকে ‘বকবাড়ি’।
সরেজমিন গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে হাকালুকি হাওর এলাকার কুইয়ারকোনা বিলের পাশের বাড়ি মনোহর আলী মাস্টার, বাদে-ভুকশিমইল গ্রামের হাজী মুসাদ্দেক হোসেন ও আবদুর রহমান, জালালপুর গ্রামের ঘোষবাড়ি ও আবদুল হেকিম, নওয়াগাঁও গ্রামের মজিদ মিয়া এবং সালদিঘা গ্রামের হাফিজ মিয়ার বাড়ির পাশের বাঁশ ও গাছবাগানে বিভিন্ন জাতের বকের বাসা দেখা গেছে।
সড়ক পথে বড়লেখা থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে আজিমগঞ্জবাজার। সেখান থেকে দণি-পশ্চিমে সালদিঘা গ্রামের হাফিজ মিয়ার বাড়িতে আম, হিজল ও করচ গাছে রয়েছে অন্তত হাজারের মতো কানিবক, গো বগা, ছোট বগা ও মাঝলা বগার বাসা। শীতের সন্ধ্যায় কইয়ারকোনা বিলপারের হাললা গ্রামের মনোহর আলী মাস্টারের বাগান থেকে ‘ওয়াক..ওয়াক’ ডাক দিয়ে বের হয় একদল কালামাথা নিশিবক। সংখ্যায় দেড় হাজারের কম হবে না। সারা রাত বিলের পানিতে মাছ শিকারের পর ভোরের আলো ফোটার আগেই তারা ফিরে আসে এই হিজল-করচ-জারুল বনে। যদিও বর্ষা মওসুমে সেখানে একটি নিশিবকও চোখে পড়বে না। এ সময় তারা আশ্রয় নিয়ে থাকে অপোকৃত উঁচু এলাকাতে যেখানে খাবার মেলে সহজে।
বড়লেখা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের এই মনোহর আলী মাস্টারের বাড়িতে সারা বছরই পাখির সমাগম থাকে। তবে শীতকালে পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বাড়িটি। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র। বিকেল তখন ৫টা। সারা দিন খাবার শেষে কইয়ারকোনা বিলে একটু বিশ্রাম নিলো হাজার হাজার বিভিন্ন জাতের পাখি। এদের মধ্যে বকের সংখ্যাই বেশি। এরপর সবাই আকাশের চারদিকে একাধিকবার ঘুরতে ঘুরতে ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৬টা বাজতেই গিয়ে বসলো মনোহর আলীর বাঁশ ও গাছবাগানে। পাখির ডানার শব্দে মনে হবে ওপর দিয়ে বিমান উড়ে গেল। এই বাড়িতে বসবাসকারী হাললা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ফাহমিদা এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলল, প্রতিদিন এখানে নিশিবক, সাদাবক, লালবক, হাঁসপাখি, ঝাটিংগা, পানকৌড়ি, শুকরাজ, সরালি, দুগদুগি প্রজাতির পাখি ওড়ার দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
হাকালুকি হাওরে পাখি অভয়াশ্রমের কাজে নিয়োজিত এনজিও সংস্থা সিএনআরএসের লেখা সংবলিত সাইনবোর্ডে মনোহর আলী মাস্টারের খালিবাড়ি উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপে এখানে পাঁচটি পরিবার আপন মমতায় পাখিদের সাথে বসবাস করে আসছে বলে জানালেন মনোহর আলী মাস্টারের ছেলে স্বপন আহমদ। স্বপন আহমদ জানালেন, তার জন্মের আগে থেকে তাদের বাড়িতে পাখির নিরাপদ আবাসস্থল। শীতকালে দেশী পাখির সাথে পরিয়ায়ী পাখিরাও বাস করে এখানে। তারা পাখিদের পরিবারের সদস্যদের মতো মনে করেন।
একই বাড়ির বাসিন্দা ছয়দুল ইসলাম জানান, এখানে পাখি আসায় অনেক সময় পাখি শিকারিদের কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। রাতের আঁধারে বন্দুক দিয়ে গুলি করে পাখি শিকারের চেষ্টা করলে প্রতি বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পাখি দেখে অভিভূত বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমিনুর রহমান জানান, অচিরেই পাখির অভয়াশ্রমে স্থায়ীভাবে একজন পাহারাদার নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া পাখি বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে পাখিদের নিরাপদ বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় পদপে নেয়া হবে।
এ দিকে হাকালুকি হাওরের সীমা ছাড়িয়ে খানিকটা দূরে রাজনগর উপজেলার হরিপাশা গ্রাম। সেখানে রয়েছে এলাকার সবচেয়ে বড় বকবাড়ি। বড় ছেলে আরক আলীর নামে সবাই বাড়িটিকে ‘আরক আলীর বকবাড়ি’ বলেই চেনে। মরা মনু নদীর পাড়ঘেঁষা ফাঁকা মাঠের ভেতরে দেড় একর জায়গায় বাঁশঝাড়, আম, কাঁঠাল, শিমুল, কড়ই, কালাগুজা, মালিয়া, নারকেল, কুলগাছবেষ্টিত এই বাড়িতে হরেক জাতের বক, বগলা ও পানকৌড়ি একসাথে বাসা করে। বড় রাস্তার ধারে ডান দিকে বক, কগা ও পানকৌড়ির উড্ডয়নের দৃশ্য দেখলেই বোঝা যাবে এটি আরক আলীর বকবাড়ি।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাখিরা একটু স্বাচ্ছন্দ্যভাবে বসবাস করতে চায়। তবে লোক সমাগম বেশি হলে ওরা বসবাসকারী স্থানটি অনিরাপদ মনে করে। হাকালুকি হাওর এলাকার পাখি বাড়িগুলো কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সংরণ করা যেতে পারে। যাতে দর্শনার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করতে না পারেন। এ ছাড়া পাখিদের বসার জন্য বিকল্প হিসেবে বাঁশ দিয়ে খাঁচা অথবা মাঁচা তৈরি করে দেয়া যেতে পারে। সর্বোপরি পাখি শিকারিদের তান্ডব বন্ধ না করতে পারলে শীতকালের পরিযায়ী পাখি ছাড়াও সৌন্দর্যবর্ধনের অন্যান্য পাখি একদিন স্থান ছেড়ে চলে যাবে দূরে বহুদূরে। তাই প্রকৃতির এই সন্তানদের রায় ও পর্যটকদের দেখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
ছোট-বড় ২৩৮টি বিল বেষ্টিত সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিস্তৃত দেশের বৃহত্তম এ হাওরের প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন জাতের জলচর পাখি। এসব পাখির একটি বড় অংশ হলো নানা জাতের বক। বক আমাদের দেশী পাখি হওয়া সত্ত্বেও সারা বছর হাওর এলাকায় দেখা যায় না। হাওরে বর্ষার চেয়ে শীতকালে বকের দেখা মেলে বেশি।
পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা পাখি বিশেষজ্ঞ বশির আহমদ বলেন, বর্ষা মওসুমে হাওরভরা পানিতে ভাসমান কচুরিপানার ওপরে সামান্য কিছু কানিবককে খাবার খুঁজতে দেখা যায়। ধানতে আর কম পানির ডোবা-নালার আশপাশেই তখন বেশির ভাগ বকের বিচরণ। গো বগা তার খাবার খোঁজে গরু-মহিষের পিঠে। বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস বকের প্রজনন মওসুম। এ সময় হাওর এলাকার বাঁশঝাড় আর অন্যান্য গাছগাছালিতে এরা বাসা বাঁধে।
হাকালুকি হাওরে যেসব বকের দেখা মেলে সেগুলো হলো দেশী কানিবক, কালামাথা নিশিবক, গো বগা, ছোট বগা, মাঝলা বগা, বড় বগা। এসব বকের বাসা করার জন্য পছন্দের গাছ হচ্ছে বাঁশঝাড়, করচ, জারুল ও আম। সেখানে তারা কলোনি আকারে গাদাগাদি করে বাসা তৈরি করে। যেসব বাড়ির পাশের বাগানে বকের দল বাসা বাঁধে গায়ের লোক তার নাম দিয়ে থাকে ‘বকবাড়ি’।
সরেজমিন গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে হাকালুকি হাওর এলাকার কুইয়ারকোনা বিলের পাশের বাড়ি মনোহর আলী মাস্টার, বাদে-ভুকশিমইল গ্রামের হাজী মুসাদ্দেক হোসেন ও আবদুর রহমান, জালালপুর গ্রামের ঘোষবাড়ি ও আবদুল হেকিম, নওয়াগাঁও গ্রামের মজিদ মিয়া এবং সালদিঘা গ্রামের হাফিজ মিয়ার বাড়ির পাশের বাঁশ ও গাছবাগানে বিভিন্ন জাতের বকের বাসা দেখা গেছে।
সড়ক পথে বড়লেখা থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে আজিমগঞ্জবাজার। সেখান থেকে দণি-পশ্চিমে সালদিঘা গ্রামের হাফিজ মিয়ার বাড়িতে আম, হিজল ও করচ গাছে রয়েছে অন্তত হাজারের মতো কানিবক, গো বগা, ছোট বগা ও মাঝলা বগার বাসা। শীতের সন্ধ্যায় কইয়ারকোনা বিলপারের হাললা গ্রামের মনোহর আলী মাস্টারের বাগান থেকে ‘ওয়াক..ওয়াক’ ডাক দিয়ে বের হয় একদল কালামাথা নিশিবক। সংখ্যায় দেড় হাজারের কম হবে না। সারা রাত বিলের পানিতে মাছ শিকারের পর ভোরের আলো ফোটার আগেই তারা ফিরে আসে এই হিজল-করচ-জারুল বনে। যদিও বর্ষা মওসুমে সেখানে একটি নিশিবকও চোখে পড়বে না। এ সময় তারা আশ্রয় নিয়ে থাকে অপোকৃত উঁচু এলাকাতে যেখানে খাবার মেলে সহজে।
বড়লেখা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের এই মনোহর আলী মাস্টারের বাড়িতে সারা বছরই পাখির সমাগম থাকে। তবে শীতকালে পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বাড়িটি। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র। বিকেল তখন ৫টা। সারা দিন খাবার শেষে কইয়ারকোনা বিলে একটু বিশ্রাম নিলো হাজার হাজার বিভিন্ন জাতের পাখি। এদের মধ্যে বকের সংখ্যাই বেশি। এরপর সবাই আকাশের চারদিকে একাধিকবার ঘুরতে ঘুরতে ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৬টা বাজতেই গিয়ে বসলো মনোহর আলীর বাঁশ ও গাছবাগানে। পাখির ডানার শব্দে মনে হবে ওপর দিয়ে বিমান উড়ে গেল। এই বাড়িতে বসবাসকারী হাললা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ফাহমিদা এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলল, প্রতিদিন এখানে নিশিবক, সাদাবক, লালবক, হাঁসপাখি, ঝাটিংগা, পানকৌড়ি, শুকরাজ, সরালি, দুগদুগি প্রজাতির পাখি ওড়ার দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
হাকালুকি হাওরে পাখি অভয়াশ্রমের কাজে নিয়োজিত এনজিও সংস্থা সিএনআরএসের লেখা সংবলিত সাইনবোর্ডে মনোহর আলী মাস্টারের খালিবাড়ি উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপে এখানে পাঁচটি পরিবার আপন মমতায় পাখিদের সাথে বসবাস করে আসছে বলে জানালেন মনোহর আলী মাস্টারের ছেলে স্বপন আহমদ। স্বপন আহমদ জানালেন, তার জন্মের আগে থেকে তাদের বাড়িতে পাখির নিরাপদ আবাসস্থল। শীতকালে দেশী পাখির সাথে পরিয়ায়ী পাখিরাও বাস করে এখানে। তারা পাখিদের পরিবারের সদস্যদের মতো মনে করেন।
একই বাড়ির বাসিন্দা ছয়দুল ইসলাম জানান, এখানে পাখি আসায় অনেক সময় পাখি শিকারিদের কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। রাতের আঁধারে বন্দুক দিয়ে গুলি করে পাখি শিকারের চেষ্টা করলে প্রতি বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পাখি দেখে অভিভূত বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমিনুর রহমান জানান, অচিরেই পাখির অভয়াশ্রমে স্থায়ীভাবে একজন পাহারাদার নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া পাখি বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে পাখিদের নিরাপদ বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় পদপে নেয়া হবে।
এ দিকে হাকালুকি হাওরের সীমা ছাড়িয়ে খানিকটা দূরে রাজনগর উপজেলার হরিপাশা গ্রাম। সেখানে রয়েছে এলাকার সবচেয়ে বড় বকবাড়ি। বড় ছেলে আরক আলীর নামে সবাই বাড়িটিকে ‘আরক আলীর বকবাড়ি’ বলেই চেনে। মরা মনু নদীর পাড়ঘেঁষা ফাঁকা মাঠের ভেতরে দেড় একর জায়গায় বাঁশঝাড়, আম, কাঁঠাল, শিমুল, কড়ই, কালাগুজা, মালিয়া, নারকেল, কুলগাছবেষ্টিত এই বাড়িতে হরেক জাতের বক, বগলা ও পানকৌড়ি একসাথে বাসা করে। বড় রাস্তার ধারে ডান দিকে বক, কগা ও পানকৌড়ির উড্ডয়নের দৃশ্য দেখলেই বোঝা যাবে এটি আরক আলীর বকবাড়ি।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাখিরা একটু স্বাচ্ছন্দ্যভাবে বসবাস করতে চায়। তবে লোক সমাগম বেশি হলে ওরা বসবাসকারী স্থানটি অনিরাপদ মনে করে। হাকালুকি হাওর এলাকার পাখি বাড়িগুলো কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সংরণ করা যেতে পারে। যাতে দর্শনার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করতে না পারেন। এ ছাড়া পাখিদের বসার জন্য বিকল্প হিসেবে বাঁশ দিয়ে খাঁচা অথবা মাঁচা তৈরি করে দেয়া যেতে পারে। সর্বোপরি পাখি শিকারিদের তান্ডব বন্ধ না করতে পারলে শীতকালের পরিযায়ী পাখি ছাড়াও সৌন্দর্যবর্ধনের অন্যান্য পাখি একদিন স্থান ছেড়ে চলে যাবে দূরে বহুদূরে। তাই প্রকৃতির এই সন্তানদের রায় ও পর্যটকদের দেখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
No comments