বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে জাটকা নিধন চলছেই by খালিদ সাইফুল্লাহ
বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে জাটকা নিধন, আহরণ, পরিবহন ও বিপণন চলছেই। ইলিশের
উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাটকা নিধন বন্ধে চলমান প্রকল্পটি চলতি বছরের ৩০
জুন শেষ হয়ে যাবে।
এর মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধির
প্রস্তাবটি এখনো অনুমোদিত হয়নি বা নুতন কোনো প্রকল্পও নেয়া হয়নি। জাটকা
সংরক্ষণে যে অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার, তার উৎপাদন ও
বিপণন আজ পর্যন্ত বন্ধ করা যায়নি আইনি জটিলতায়।
মৎস্যসম্পদে একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। জিডিপিতে এর একক অবদান ১ শতাংশেরও বেশি। জাটকা সংরক্ষণের ফলে ২০০৮সালে প্রায় ৩৯ শতাংশ প্রজননোত্তর ইলিশ মাছ পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা। ২০০২ সালের তুলনায় ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ইলিশের প্রাকৃতিক প্রজনন সাফল্যের হার যথাক্রমে ১১ গুণ ও ৭৭ গুণ বেশি ছিল বলে এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে। ২০০২ সালের পর থেকে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এ সুফল পাওয়া গেছে।
জাটকা সংরক্ষণে ২০০৪ সালে প্রথমপর্যায়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জাটকা আহরণকারী মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসন/বিকল্প কর্মসংস্থানবিষয়ক উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। ২০০৭-১০ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির দ্বিতীয়পর্যায়ে আরো ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কিছু জেলেদের পুনর্বাসন করা হয়। ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ সাল পার্যন্ত প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জাটকা সংরণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণা প্রকল্প’ নামে অপর একটি কর্মসূচি আগামী জুনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এ প্রকল্পটি শুরুর প্রথম বছরে কোনো প্রকল্প পরিচালকই নিয়োগ করা হয়নি। ফলে মূলত প্রথম বছরে এর তেমন কোনো বাস্তব কার্যক্রমই ছিল না। তাই প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৪-এর ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ করে মৎস্য অধিদফতর।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য বিজ্ঞানীদের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার দিন এর আগের ও পরের পাঁচ দিন করে মোট ১১ দিন উপকূলের সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি সারা দেশেই ইলিশের বিপণন ও পরিবহনকেও ওই সময়কালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমায় অভিপ্রায়ণী মাছÑ ইলিশ, উপকূলীয় প্রজননস্থলে ডিম ছেড়ে সাগরে ফিরে যায়। অক্টোবরের শেষে ডিম থেকে পোনা হতে শুরু করে। আর তা ক্রমে জাটকায় রূপান্তরিত হয়ে মে মাস নাগাদ পরিপক্ব ইলিশে রূপ নেয়। এরই নিরিখে ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশেই ইলিশ পোনা-জাটকা আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ। তা ছাড়া দেশের উপকূলীয় কয়েকটি এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সেখানে সব ধরনের মৎস আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
মৎস্য বিজ্ঞানীদের সুপারিশ অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি প্রতি বছরই পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীতে নভেম্বর-জানুয়ারি এবং নিম্ন মেঘনা নদী, শাহবাজপুর চ্যানেল ও তেঁতুলিয়া নদীতে মার্চ ও এপ্রিল মাসের সময়কালকে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও দেিণ চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবিস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকায়ও প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসকে অভয় আশ্রম ঘোষণা করে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে এখনো জাটকা আহরণ বন্ধ রাখা ও অভয়াশ্রমগুলোর ওপর নির্ভরশীল জেলে ও তাদের পরিবারের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই দুর্বল। এ কারণেও অনেক জেলে পরিবার জাটকা আহরণসহ নিষিদ্ধ সময়কালে অভয়াশ্রমগুলোতে মৎস্য আহরণে বাধ্য হচ্ছে। এক হিসেবে দেখা গেছে, শুধু বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার দুই লাখ পাঁচ হাজার জেলে পরিবারের মধ্যে এক লাখ পাঁচ হাজার পরিবারের জন্য জাটকা আহরণ বন্ধের সাত মাসের মধ্যে চার মাস ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে।
চলতি বছর এখনো জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান ও খাদ্যসহায়তার কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে জাটকা সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ বি এম জাহিদ হাবিব জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। চলতি বছর জেলেদের পুনর্বাসনে মাত্র ১.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মাধ্যমে মাত্র এক হাজার ৭০০ জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের বিভিন্ন উপকরণ সরবারহ করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে দুই লাখ ৮৭ হাজার জেলেকে মাসে ৫০ কেজি করে চার মাস চাল সরবরাহ করা হবে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে। এ জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
২০০২-০৩ সাল থেকে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১-১২ সালে ৩.৪০ লাখ টনে উন্নীত হয়। তবে গত অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদনের এ ধারা ব্যাহত হয়েছে নানা কারণে। বিষয়টি এখনো সমীক্ষাপর্যায়ে থাকলেও গত অর্থবছরে ৩.৬০ লাখ টন সহনীয় মাত্রায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৩.৪৬ লাখ টন। দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর নাব্যতা ভয়াবহ মাত্রায় হ্রাসসহ শিল্প বর্জের কারণে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায়ও ব্যাপকহারে পলি পড়ার কারণে ইলিশ অনেকটা ভাটি এলাকায় সরে যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মৎস্য বিজ্ঞানীরা।
মৎস্যসম্পদে একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। জিডিপিতে এর একক অবদান ১ শতাংশেরও বেশি। জাটকা সংরক্ষণের ফলে ২০০৮সালে প্রায় ৩৯ শতাংশ প্রজননোত্তর ইলিশ মাছ পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা। ২০০২ সালের তুলনায় ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ইলিশের প্রাকৃতিক প্রজনন সাফল্যের হার যথাক্রমে ১১ গুণ ও ৭৭ গুণ বেশি ছিল বলে এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে। ২০০২ সালের পর থেকে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এ সুফল পাওয়া গেছে।
জাটকা সংরক্ষণে ২০০৪ সালে প্রথমপর্যায়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জাটকা আহরণকারী মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসন/বিকল্প কর্মসংস্থানবিষয়ক উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। ২০০৭-১০ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির দ্বিতীয়পর্যায়ে আরো ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কিছু জেলেদের পুনর্বাসন করা হয়। ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ সাল পার্যন্ত প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জাটকা সংরণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণা প্রকল্প’ নামে অপর একটি কর্মসূচি আগামী জুনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এ প্রকল্পটি শুরুর প্রথম বছরে কোনো প্রকল্প পরিচালকই নিয়োগ করা হয়নি। ফলে মূলত প্রথম বছরে এর তেমন কোনো বাস্তব কার্যক্রমই ছিল না। তাই প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৪-এর ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ করে মৎস্য অধিদফতর।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য বিজ্ঞানীদের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার দিন এর আগের ও পরের পাঁচ দিন করে মোট ১১ দিন উপকূলের সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি সারা দেশেই ইলিশের বিপণন ও পরিবহনকেও ওই সময়কালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমায় অভিপ্রায়ণী মাছÑ ইলিশ, উপকূলীয় প্রজননস্থলে ডিম ছেড়ে সাগরে ফিরে যায়। অক্টোবরের শেষে ডিম থেকে পোনা হতে শুরু করে। আর তা ক্রমে জাটকায় রূপান্তরিত হয়ে মে মাস নাগাদ পরিপক্ব ইলিশে রূপ নেয়। এরই নিরিখে ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশেই ইলিশ পোনা-জাটকা আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ। তা ছাড়া দেশের উপকূলীয় কয়েকটি এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সেখানে সব ধরনের মৎস আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
মৎস্য বিজ্ঞানীদের সুপারিশ অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি প্রতি বছরই পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীতে নভেম্বর-জানুয়ারি এবং নিম্ন মেঘনা নদী, শাহবাজপুর চ্যানেল ও তেঁতুলিয়া নদীতে মার্চ ও এপ্রিল মাসের সময়কালকে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও দেিণ চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবিস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকায়ও প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসকে অভয় আশ্রম ঘোষণা করে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে এখনো জাটকা আহরণ বন্ধ রাখা ও অভয়াশ্রমগুলোর ওপর নির্ভরশীল জেলে ও তাদের পরিবারের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই দুর্বল। এ কারণেও অনেক জেলে পরিবার জাটকা আহরণসহ নিষিদ্ধ সময়কালে অভয়াশ্রমগুলোতে মৎস্য আহরণে বাধ্য হচ্ছে। এক হিসেবে দেখা গেছে, শুধু বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার দুই লাখ পাঁচ হাজার জেলে পরিবারের মধ্যে এক লাখ পাঁচ হাজার পরিবারের জন্য জাটকা আহরণ বন্ধের সাত মাসের মধ্যে চার মাস ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে।
চলতি বছর এখনো জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান ও খাদ্যসহায়তার কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে জাটকা সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ বি এম জাহিদ হাবিব জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। চলতি বছর জেলেদের পুনর্বাসনে মাত্র ১.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মাধ্যমে মাত্র এক হাজার ৭০০ জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের বিভিন্ন উপকরণ সরবারহ করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে দুই লাখ ৮৭ হাজার জেলেকে মাসে ৫০ কেজি করে চার মাস চাল সরবরাহ করা হবে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে। এ জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
২০০২-০৩ সাল থেকে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১-১২ সালে ৩.৪০ লাখ টনে উন্নীত হয়। তবে গত অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদনের এ ধারা ব্যাহত হয়েছে নানা কারণে। বিষয়টি এখনো সমীক্ষাপর্যায়ে থাকলেও গত অর্থবছরে ৩.৬০ লাখ টন সহনীয় মাত্রায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৩.৪৬ লাখ টন। দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর নাব্যতা ভয়াবহ মাত্রায় হ্রাসসহ শিল্প বর্জের কারণে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায়ও ব্যাপকহারে পলি পড়ার কারণে ইলিশ অনেকটা ভাটি এলাকায় সরে যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মৎস্য বিজ্ঞানীরা।
No comments