বর্ধিত বাসভাড়া-যাত্রী হয়রানিতে নতুন ইন্ধন
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে অস্বাভাবিক হারে বাসভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে বাস মালিক কর্তৃপক্ষ। অথচ মালিকপক্ষ সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দূরপাল্লার বাসের জন্য নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে কিলোমিটারপ্রতি এক টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের ভাড়ার চেয়ে কিলোমিটারপ্রতি ১০ পয়সা বেশি।
যেহেতু নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি, তাই গ্যাসচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে এই বাড়তি ভাড়া প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সব বাসই এখন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সরকার ও বাস মালিকপক্ষ যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়ে এই ভাড়া নির্ধারণ করে তা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর করলেও এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার তালিকা কোথাও দেখা যাচ্ছে না। বাসযাত্রীদের অনুসন্ধানে মালিকপক্ষ সদুত্তরও দিতে পারছে না।
টাউন সার্ভিস বাসগুলো স্টেশন থেকে স্টেশনের দূরত্বে ভাড়া আদায় না করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে কোনো যাত্রী হয়তো নিজ স্টেশনের পেছনে দু-এক কিলোমিটার এবং গন্তব্যস্থলের পরবর্তী এক-দুই কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগই আমলে নেওয়া হয় না। এই হয়রানি বন্ধ করার জন্য কোনো সরকারি উদ্যোগও চোখে পড়ে না।
এই অনিয়ম বাসভাড়ার ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়। আগে যখন ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল তখনো দেখা গেছে, নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত তারা আগে থেকেই আদায় করতে শুরু করে। এ প্রবণতা টাউন সার্ভিসগুলোয় মাত্রাতিরিক্ত। যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী তারা ভাড়ার কোনো তালিকাই প্রদর্শন করে না। এ নিয়ে যাত্রী ও বাসচালকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা, কোথাও কোথাও মারামারির মতো ঘটনাও ঘটেছে আগে। কিন্তু সরকার এ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করে থাকে। কয়েক দিন হয়তো ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু স্বল্পসময়ের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অমান্যের কারণে কোনো বাস মালিককে জরিমানা করলেও তাদের নিবৃত্ত করা যায় না। কারণ জরিমানার পরিমাণ খুবই কম। এতে একদিকে জরিমানা করা, অন্যদিকে আইন অমান্য করা সমানে চলতে থাকে।
এবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নিয়মমাফিক ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করা হতে পারে। কিন্তু জরিমানাসংক্রান্ত আইনে জরিমানার হার কম হওয়ার কারণে এবারও যে আগের মতো অবস্থা হবে না, তা কেউ বলতে পারছে না।
যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারকেই ভূমিকা নিতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা থেকে বাস মালিকদের নিরুৎসাহিত করার জন্য আইন পরিবর্তন করা জরুরি। একই সঙ্গে স্টেশন থেকে স্টেশনের দূরত্ব হিসাব করে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
টাউন সার্ভিস বাসগুলো স্টেশন থেকে স্টেশনের দূরত্বে ভাড়া আদায় না করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে কোনো যাত্রী হয়তো নিজ স্টেশনের পেছনে দু-এক কিলোমিটার এবং গন্তব্যস্থলের পরবর্তী এক-দুই কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগই আমলে নেওয়া হয় না। এই হয়রানি বন্ধ করার জন্য কোনো সরকারি উদ্যোগও চোখে পড়ে না।
এই অনিয়ম বাসভাড়ার ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়। আগে যখন ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল তখনো দেখা গেছে, নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত তারা আগে থেকেই আদায় করতে শুরু করে। এ প্রবণতা টাউন সার্ভিসগুলোয় মাত্রাতিরিক্ত। যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী তারা ভাড়ার কোনো তালিকাই প্রদর্শন করে না। এ নিয়ে যাত্রী ও বাসচালকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা, কোথাও কোথাও মারামারির মতো ঘটনাও ঘটেছে আগে। কিন্তু সরকার এ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করে থাকে। কয়েক দিন হয়তো ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু স্বল্পসময়ের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অমান্যের কারণে কোনো বাস মালিককে জরিমানা করলেও তাদের নিবৃত্ত করা যায় না। কারণ জরিমানার পরিমাণ খুবই কম। এতে একদিকে জরিমানা করা, অন্যদিকে আইন অমান্য করা সমানে চলতে থাকে।
এবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নিয়মমাফিক ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করা হতে পারে। কিন্তু জরিমানাসংক্রান্ত আইনে জরিমানার হার কম হওয়ার কারণে এবারও যে আগের মতো অবস্থা হবে না, তা কেউ বলতে পারছে না।
যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারকেই ভূমিকা নিতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা থেকে বাস মালিকদের নিরুৎসাহিত করার জন্য আইন পরিবর্তন করা জরুরি। একই সঙ্গে স্টেশন থেকে স্টেশনের দূরত্ব হিসাব করে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
No comments