গণতন্ত্রে ছুরিকাঘাতের পুনরাবৃত্তি! by কাজী সাইদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন আমলের দুর্নীতি সম্পর্কে বিখ্যাত সাংবাদিক লরেন্স লিফট শুলজ বিখ্যাত “Far Eastern Economic Review”-Gi 30 AvM÷ 1974 msL¨vq wj‡LwQ‡jb, “Corruption and malpractices are nothing new.
But people ofDhakathinks the way the corruption and malpractices and plunder of national wealth that had taken place during Sheikh Mujibur Rahman’s regime is unprecedented.”  অর্থাৎ দুর্নীতি এবং অনিয়ম নতুন কিছু নয়। তবে, ঢাকার জনগণ মনে করে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে যে পদ্ধতিতে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং জাতীয় সম্পদ নিয়ে জালিয়াতি হচ্ছে তা তুলনাহীন।

লরেন্স লিফট শুলজ কেন সে দিন এ কথা বলেছিলেন সেটি সে সময়কার পত্রিকা দেখলে এক রকম ধারণা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পত্রিকার খবরাখবরের ব্যাপারে অনেকে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন। এ জন্য সে সময়ের পরিবেশ-পরিস্থিতি কেমন ছিল তার একটি পরিচয় বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাষণে পাওয়া যায়। এ চিত্রের সবচেয়ে উত্তম পরিচয়টি পাওয়া যায় সংসদে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণে। এর মধ্যে চতুর্থ সংশোধনীর ভাষণটি ছিল উল্লেখযোগ্য। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫ বাংলাদেশের প্রথম সংসদে সংবিধানের ‘চতুর্থ সংশোধনী’ গৃহীত হয়। এ সংশোধনী পাসের প্রাক্কালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসদে এ ভাষণ দিয়েছিলেন। এ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার প্রধান কারণ হিসেবে তিনি দেশে স্বাধীনতা-উত্তর এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিকে বিশেষভাবে দায়ী করেছিলেন। আজকের বাস্তবতায় সে দিনের অবস্থা আবার স্মরণে আনার কিছুটা গুরুত্ব নিশ্চয়ই আছে।

হত্যা ও নৈরাজ্য : বঙ্গবন্ধু সে দিন তার ভাষণে বলেন, ‘স্পিকার সাহেব, দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, আপনার এই অ্যাসেম্বলি বা সংসদের চারজন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের আগে হত্যা করা হয়েছে, যারা কনস্টিটিইউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি মেম্বার ছিলেন। হত্যা করা হয়েছে গাজী ফজলুর রহমানকে, হত্যা করা হয়েছে নুরুল হককে, হত্যা করা হয়েছে মোহাহের মাস্টারকে। এমনকি নামাজে- ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে গেলে সেই নামাজের সময়ে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যা কোনো দিন আমাদের দেশে আমরা শুনি নাই। হাজার হাজার কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাদের হত্যা করা হয়েছে, যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। হত্যা করা হয়েছে, যারা ২৫ বছর এই বাংলাদেশে পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন, অত্যাচার সহ্য করেছেন।’

২৭ হাজারের না খেয়ে মৃত্যু : ১৯৭৪ সালের দেশব্যাপী দুর্ভিরে কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘…পাঁচ হাজার ৭০০ লঙ্গরখানা খোলা হলো। এবং সেখানে রিলিফ অপারেশন চালু করা হলো। বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে, নিজেদের যা কিছু ছিল, তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। বাঁচাতে পারলাম না সকলকে। ২৭ হাজার লোক না খেয়ে মারা গেল! এখনও মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাচ্ছে। গায়ে তাদের কাপড় নেই।’

সর্বগ্রাসী দুর্নীতি : দেশে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আজকে ‘করাপশনে’র কথাও বলতে হয়। এই বাংলার মাটি থেকে ‘করাপশন’ উৎখাত করতে হবে। ‘করাপশন’ আমার বাংলার কৃষক করে না। ‘করাপশন’ করি আমরা, শিতি সমাজ, যারা তাদের টাকা দিয়ে লেখাপড়া করেছি। আজ যেখানে যাবেন, ‘করাপশন’ দেখবেন। আমাদের রাস্তা তৈরি করতে যান, ‘করাপশন’, ফুড কিনতে যান ‘করাপশন’, জিনিস কিনতে যান ‘করাপশন’, বিদেশে গেলে টাকার ওপর ‘করাপশন’। এই করাপশন যারা করে, তারা কারা? আমরা পাঁচ পারসেন্ট শিতি সমাজ। আমরা হলাম দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি ‘করাপ্ট পিপল’। আর আমরাই করি বক্তৃতা। আমরা লিখি খবরের কাগজে। আমরাই বড়াই করি। আজ আত্মসমালোচনার দিন এসেছে। এসব চলতে পারে না। মানুষকে এক দিন মরতে হবে, কবরে যেতে হবে। কিছুই সে নিয়ে যাবে না। তবুও মানুষ কেমন করে ভুলে যায়, কি করে এসব অন্যায় কাজ করতে পারে? এই দুঃখী মানুষ যে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে, তার রক্তে বিদেশ থেকে খাবার আনব, সেই খাবার চুরি করে খাবে। অর্থ আনব, সেই অর্থ চুরি করে খাবে। টাকা আনব, তা বিদেশে চালান দেবে। এ আর সহ্য করা যায় না।’

সিরাজ শিকদারকে ধরা গেলে ঘুষখোর ধরা যাবে না কেন? : বঙ্গবন্ধু সেদিন সংসদে বলেন, ‘যে আজ রাতের অন্ধকারে মানুষকে হত্যা করে, সে মনে করে, তাকে কেউ ধরতে পারবে না। কোথায় সিরাজ সিকদার? তাকে যদি ধরা যায়, আজ তার দলবল তাদের সবাইকে যদি ধরা যায়, তাহলে ধরতে পারব না, কোন অফিসার ঘুষ খায়? ধরতে পারব না, কোথায় তারা পয়সা লুট করে? ধরতে পারব না কারা মজুদদার? ধরতে পারব না, কারা ব্ল্যাক মার্কেটিংয়ে আছে? নিশ্চয়ই ধরতে পারব। সময়ের প্রয়োজন। খেতে পারবে না কেউ। ইনশাআল্লাহ পাপ এক দিন ধরা পড়বেই। এটা মিথ্যা হতে পারে না। আর কোনো দিন দুনিয়ার পাপ আর পুণ্য পাশাপাশি চলতে পারে না। পুণ্য চলে এক দিকে আর পাপ চলে আরেক দিকে। ভাইস অ্যান্ড ভারচ্যু ক্যান্ট গো টুগেদার। ইউ শুড নট ফরগেট ইট।’

তিনি বলেন, ‘আপনি তো উকিল, স্পিকার সাহেব। আল্লাহর মর্জি, যদি একটা মামলা সিভিল কোর্টে হয়, ২০ বছরেও সে মামলা শেষ হয় কি না, বলতে পারেন আমার কাছে? বাপ মরে যাওয়ার সময় মামলাটি দিয়ে যায় ছেলের কাছে। আর উকিল দিয়ে যায় তার জামাইয়ের কাছে সেই মামলা। আর ক্রিমিনাল কেস হলে তো লোয়ার কোর্ট, জজ কোর্ট কোথাও বিচার নাই। জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড। উই হ্যাভ টু মেক এ কমপ্লিট চেঞ্জ।’

কম দুঃখে নয় চতুর্থ সংশোধনী : চতুর্থ সংশোধনী সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য ছিল, ‘জনাব স্পিকার, আজ আমাদের শাসনতন্ত্রের কিছু অংশ সংশোধন করতে হলো। আপনার মনে আছে, যখন শাসনতন্ত্র পাস করা হয়, তখন আমি এ হাউজের প থেকে বলেছিলাম, এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য যদি দরকার হয়, তবে এই সংবিধানেরও পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হবে।’

ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আজকের এই সংশোধন কম দুঃখে করি নাই। আমরা জীবনভর সংগ্রাম করেছি। কেউ যদি মনে করেন যে, জনগণের ভোটের অধিকার আমরা কেড়ে নিয়েছি, তা হলে আমি বলব, না। আজকে এখানে যে সিস্টেম করা হয়েছে, তাতে পার্লামেন্টের মেম্বাররা জনগণের দ্বারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। যিনি প্রেসিডেন্ট হবেন, তাকেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার আছে।’

যেভাবে বাকশাল : ’৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী অধিবেশনে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়। এর ফলে পার্লামেন্টারি সরকার পদ্ধতির পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় এবং সংশোধনীর মাধ্যমে প্রাপ্ত মতা বলে বঙ্গবন্ধু তাৎণিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন। দেশের সব রাজনৈতিক দল বাতিল করে শাসনতন্ত্রে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল রাখার বিধান সন্নিবেশিত হয়। বঙ্গবন্ধু নিজে বাকশালের চেয়ারম্যান হন এবং সেই সাথে আওয়ামী লীগসহ সব দলের বিলুপ্তি ঘটে। আদেশের তৃতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুনঃআদেশ না আসা পর্যন্ত অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের সব সংসদ সদস্য, সদস্য, কেবিনেট মন্ত্রী, উপমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীরা বাকশালের সদস্য হিসেবে গণ্য হইবেন।’ এ ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সে দিন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর ওসমানী এবং বিদগ্ধ রাজনীতিক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন পার্লামেন্ট সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। ২৫ এপ্রিল, ’৭৫-এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে বাকশালে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। মণি সিংহ-ফরহাদের কমিউনিস্ট পার্টি, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের ন্যাপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একীভূত হয়ে বাকশাল গঠন করা হয়। সংসদে বিরোধীদলীয় আটজন সংসদ সদস্যের মধ্যে চারজন বাকশালে যোগ দেন।

৬ জুন, ’৭৫ ঘোষিত এক নির্দেশে তিনি ১১৫ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলী বাকশালের সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত হন। দলের সর্বোচ্চ কমিটিকে বলা হয়েছিল কার্যনির্বাহী কমিটি, এর সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ জন (চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ)। একই দিনে নবগঠিত বাকশালের সাংগঠনিক কাঠামো, গঠনতন্ত্র এবং ১১৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এতে উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর তিন প্রধান, বিডিআরের ডিজি, জাতীয় রীবাহিনীর ডিজি এবং সব মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বাকশালের গঠনতন্ত্রে চেয়ারম্যানকে সর্বময় মতার অধিকারী করা হয়েছিল, কিন্তু চেয়ারম্যান নির্বাচনের কোনো বিধান এতে ছিল না। এ েেত্র বঙ্গবন্ধুকে আজীবন চেয়ারম্যান মানা হয়েছিল। সর্বোচ্চ কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫ জন সদস্যই চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত হতেন এবং ১১৫ জন সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির এক-তৃতীয়াংশও তার দ্বারা মনোনীত হতেন। (বাকশাল গঠনতন্ত্রের দশম ধারার ২ উপধারা এবং দ্বাদশ ধারার ৪(ঙ) উপধারা)। সংগঠন এবং রাষ্ট্রীয় সব েেত্রই নিযুক্তির কর্তৃত্ব ছিল চেয়ারম্যানের হাতে ন্যস্ত। সংসদ নির্বাচনের প্রশ্নে বলা হয়েছিল, চেয়ারম্যান কর্তৃক নিযুক্ত একটি উপকমিটির মনোনয়ন না পেলে কেউ প্রার্থী হতে পারবে না (দশম ধারার ৭ উপধারা)। চেয়ারম্যান যেকোনো সময় গঠনতন্ত্রের যেকোনো ধারা পরিবর্তন বা সংশোধন করার মতাও রাখতেন এবং এর ব্যাখ্যার মতাও একমাত্র তারই ছিল। (২২ ধারার ১ ও ২ উপধারা)। অন্য কথায়, ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ এবং বাকশালের নামে শেখ মুজিবের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

১৬ জুন, ১৯৭৫ সংবাদপত্র (ডিকারেশন বাতিল) অর্ডিন্যান্স জারি করে মুজিব সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত চারটি দৈনিক পত্রিকা ছাড়া সব পত্রপত্রিকা নিষিদ্ধ করা হয়। ২৩ জুন, ১৯৭৫ তিনি সমগ্র দেশকে ৬১ জেলায় বিভক্ত করেন এবং ১৬ জুলাই, ’৭৫ প্রতিটি জেলার জন্য একজন করে গভর্নর নিযুক্তির কথা ঘোষণা করেন। তার এই কার্যক্রমকে বঙ্গবন্ধু ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ নামে অভিহিত করে এর চারটি ল্য চিহ্নিত করেছিলেন : ১. জাতীয় ঐক্য, ২. দুর্নীতি দমন, ৩. উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৪. জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রতিরোধ।

মস্কোপন্থী ন্যাপ ও সিপিবির সাথে আওয়ামী লীগের ‘ত্রিদলীয় ঐক্যজোট’ গঠনের প্রথম উদ্যোগের ব্যর্থতার পর (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩) বঙ্গবন্ধু ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’-এর ডাক দিয়েছিলেন। দুর্ভি মোকাবিলাসহ পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণের পরিবর্তে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক আন্দোলন এবং সরকারবিরোধিতার পথরোধের ভয়ঙ্কর পথে পা বাড়িয়েছিলেন।

পুনরাবৃত্তি! : অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনে রুশ-ভারত অশক্তির অনুসারী বামপন্থী কমিউনিস্টরাই বঙ্গবন্ধুকে প্ররোচিত করেছিল। কার্যত বামপন্থীরা বঙ্গবন্ধুকে জনগণ থেকে তখন বিচ্ছিন্ন করে ফেলে, এর ফলে ঘটতে পেরেছিল ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার শাসনামলে মতা কেন্দ্রের ডানে-বাঁয়ে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে এককালের লেনিনবাদী ছাত্র ইউনিয়নের ডাকসাইটে কর্মী এবং তথাকথিত শ্রেণী সংগ্রামীরা। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলেও সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন এখন মতাসীন আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত সহচর। বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত এমন দলীয় নেতারা এসব দেখে এখন

স্তম্ভিত, বিস্মিত। উদার গণতান্ত্রিক আওয়ামী লীগকে আবারো যেন ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের উসকানি দিয়ে অতি কৌশলে জনগণের মুখোমুখি করে দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান বিরোধী নেত্রীকে সাপের ঝাঁপি মাথায় নিয়ে চলছেন বলে দোষারোপ করছেন, অথচ অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই শীতের ঝরে পড়া পাতার ¯ূÍপের ওপর হাঁটছেন, যার নিচে লুকিয়ে রয়েছে বিষধর সাপ! এরা বর্ণচোরা, এরা শুধু অন্য দলে অনুপ্রবেশ করে না, মতার বাসরঘরেও ঢুকে পড়ে অবলীলায়। বাকশালের প্রেতাত্মা ওরাই।

kazi_sayed@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.