নারী নির্যাতন-শুধু নিরাপত্তা নয়, চাই মানসিকতায় বদল by শর্মিলা ঠাকুর
এত রাগ আর ক্ষোভ জমা ছিল দিলি্লবাসীর মনে_ কখনও বুঝতে পারিনি। বরং মনে হতো, দিলি্ল শহর যেন বড় বেশি নিজেকে নিয়ে মগ্ন ও ব্যস্ত। ১৬ ডিসেম্বরে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে বিক্ষোভ-আন্দোলনের সাক্ষী হলো রাজধানী তা নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব।
মানুষের ক্ষোভ উত্তাল হয়ে আছড়ে পড়ল ইন্ডিয়া গেট, বিজয় চক, রেল ভবনের সামনে। নিজেকে প্রশ্ন করেছি, হঠাৎ একটি ধর্ষণের ঘটনাকে সামনে রেখে কেন দেখা দিল এ প্রবল বিক্ষোভ? কোন সামাজিক অথবা রাজনৈতিক কারণে তৈরি হলো এ বিপুল ক্রোধ? এমন ঘটনা তো নতুন কিছু নয় আমাদের দেশে!
আসলে এ ক্রোধের নানা রকম কারণ রয়েছে। প্রথম ঘটনাটি এতটাই নৃশংস যে, জনতার রাগ বল্গাহীন হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এর চরিত্র এমনই যে দিলি্লর মধ্যবিত্ত শ্রেণী দ্রুত সমব্যথী হয়ে পড়েছে। রাত সাড়ে ৯টায় একটি মেয়ে বাসে করে বাড়ি ফিরছেন (তাও একা নন)। এটা এতটাই স্বাভাবিক আর দৈনন্দিন ঘটনা যে, দিলি্লর সব ছাত্রী বা অফিস-কাচারিতে যাওয়া মহিলা চট করে একাত্মতাবোধ করেছেন, পরিণাম দেখে শিউরে উঠেছেন।
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে একটা ধারণা চালু আছে যে, কোনো মেয়ে অশালীন পোশাক পরলে বা পার্টি থেকে ফিরলে যেন ধর্ষিতা হলেও হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তো তেমন কিছু ঘটেনি। তৃতীয়ত, প্রাথমিকভাবে সরকারের মুখে কুলুপ এঁটে থাকাটাও মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। ঘটনার ঠিক পরই সরকারের উচিত ছিল, বুক চিতিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখোমুখি হওয়া। সোনিয়া গান্ধী, প্রণব মুখার্জি, শীলা দীক্ষিত অথবা সুশীল কুমার শিন্দে, যে কেউ বিবৃতি দিতে পারতেন। সম্ভব হলে স্ক্রিনে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তা দেখানো যেতে পারত। তাতে ক্ষতে কিছুটা হলেও মলম পড়ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে গুলি চলার পর বারাক ওবামা কিন্তু ঘটনা না এড়িয়ে মানুষের মুখোমুখি হয়েছেন। যে কোনো সংকটে সরকারের পক্ষ থেকে মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া সবসময় কাম্য।
এসব কারণেই মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। প্রথমে তা ছিল নেতৃত্বহীন। পরে অবশ্য কিছু দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়েছে, যারা আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তুলেছে। দেখা গেছে রাজনৈতিক দলগুলোর আনাগোনাও। তবে বিক্ষোভে মূলত যোগ দিয়েছেন দিলি্লর মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষই। বিহার বা উত্তর প্রদেশে, ভূমিহার অথবা দলিত কন্যা ধর্ষণের অজস্র ঘটনায় যা দেখা যায় না। কোথাও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধলে বা লুটপাট হলে সবার আগে লাঞ্ছিত হন নারীরাই। একে নিছক যৌন বিকৃতি হিসেবে দেখা কিন্তু ঠিক হবে না। এসব ক্ষেত্রে মহিলাকে ধর্ষণ করে এক ধরনের ক্ষমতার আস্টম্ফালনই (পাওয়ার ট্রিপ) দেখানো হয়। নারীকে অপমান করে গোটা সম্প্রদায়কেই অপমান করার চেষ্টা করে পুরুষরা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তখন তো কোনো আধুনিক শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে এভাবে রাস্তায় আছড়ে পড়তে দেখি না। দিলি্লতে তো নয়ই। পাশাপাশি আরেকটি কথাও বলে নেওয়া দরকার। তা হলো_ চোখের সামনে নারী লাঞ্ছনা ঘটলে কি প্রতিবাদে মুখর হয় মধ্যবিত্ত মানুষ? বোধহয় না। টাটকা একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। বাসে গণধর্ষণ নিয়ে যখন রাজধানী উত্তাল, ঠিক তখনই রোববার বিকেলে দিলি্লতেই ডিটিসি বাসে নিগৃহীত হয়েছেন এক ২০ বছরের গর্ভবতী মহিলা। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামীও। স্বামীর অভিযোগ, চার যুবক তার স্ত্রীর প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে, তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। বাসে বেশ কয়েকজন উপস্থিত থাকলেও কেউ কিন্তু টুঁ শব্দটিও করেনি। তা হলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াচ্ছে? এক. দলিত বা আদিবাসী শ্রেণীর নারীদের অভিযোগকে একটি সামাজিক-রাজনৈতিক সমীকরণের ঘেরাটোপে ফেলে নিশ্চিন্ত মধ্যবিত্ত। দক্ষিণ দিলি্লতে, চোখের সামনে, পরিচিত শ্রেণীর মধ্যে ঘটা ঘটনাই তাকে ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে। দুই. মধ্যবিত্ত শ্রেণী দলবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারে; কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় তার সাহসে কুলোচ্ছে না। অথচ ছেলের জন্য চাই উচ্চশিক্ষার খরচ! এটা দুর্ভাগ্যের যে, আমাদের দেশে ছেলে আর মেয়েকে একইভাবে বড় করা হয় না। কাজ, শিক্ষা, খাদ্য কোনো ক্ষেত্রেই সমান চোখে দেখা হয় না। অবাধে ঘটে নারী ভ্রূণ হত্যার মতো অপরাধ।
এ সুযোগে একটা কথা বলি। কোনো ধর্ষণকারীই তো চাঁদ থেকে পড়ে না। তারা আমাদের এ সমাজেই জন্ম নেয়, বেড়ে ওঠে। তাদের মনস্তত্ত্বে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠত্বের বোধ, পুরুষ হয়ে জন্মানোর অহং। যার বীজ শুধু ধর্ষণকারীর ভেতরেই নয়, বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশি ব্যবস্থার মধ্যেও রয়েছে। শহর, গ্রাম সব স্থানে পুলিশ কনস্টেবল, বিচার ব্যবস্থার নিচুতলার কর্মী সবাই আসছেন এ মানসিকতা নিয়ে। কনস্টেবল নিজেই ধর্ষণ করছে এমন অভিযোগও তো কম নয়। আবার যিনি ধর্ষিতা হচ্ছেন সেই নারীর নৈতিকতা (অর্থাৎ তিনি কুমারী কি-না, তার পোশাক কী রকম, পেশা কী, কেন রাত করে বাড়ি ফেরেন) নিয়েও চুলচেরা আলোচনা আর বিচার শুরু হয়। ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যেন যে, ধর্ষণ করেছে সে নিগৃহীতার তুলনায় অনেক বড়মাপের মানুষ!
এ সামাজিক অসুখ থেকে উদ্ধারের কোনো শর্টকাট পদ্ধতি আমার জানা নেই। সরকারের পক্ষেও আশু কিছু করে ফেলা সম্ভব বলেও মনে হয় না। তবে দেখেশুনে যেটুকু মনে হয় প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। যার মধ্যে রয়েছে পুরুষ ও নারীকে সমান চোখে দেখার চেষ্টা শুরু করা, পুলিশের মানসিকতার বদল, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার। আপাতত যেটা করা যায় তা হলো, নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আইন আরও মজবুত করা, আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার হার বাড়ানো (এখন যা মাত্র ২৭ শতাংশ)। সে সঙ্গে রাতের বাস বাড়ানো (অনেক ছাত্রী, কর্মরত নারী বাসে যাতায়াত করেন) এবং সম্ভব হলে বাসে নারী মার্শাল ও ড্রাইভার রাখা। এককথায়, রোগ সারানোর জন্য স্বল্পমেয়াদি কিছু ব্যবস্থার পাশাপাশি দরকার দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা আর মানসিকতার আমূল পরিবর্তন।
শর্মিলা ঠাকুর : বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী
মঙ্গলবারের আনন্দবাজার থেকে পুনর্মুদ্রিত
আসলে এ ক্রোধের নানা রকম কারণ রয়েছে। প্রথম ঘটনাটি এতটাই নৃশংস যে, জনতার রাগ বল্গাহীন হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এর চরিত্র এমনই যে দিলি্লর মধ্যবিত্ত শ্রেণী দ্রুত সমব্যথী হয়ে পড়েছে। রাত সাড়ে ৯টায় একটি মেয়ে বাসে করে বাড়ি ফিরছেন (তাও একা নন)। এটা এতটাই স্বাভাবিক আর দৈনন্দিন ঘটনা যে, দিলি্লর সব ছাত্রী বা অফিস-কাচারিতে যাওয়া মহিলা চট করে একাত্মতাবোধ করেছেন, পরিণাম দেখে শিউরে উঠেছেন।
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে একটা ধারণা চালু আছে যে, কোনো মেয়ে অশালীন পোশাক পরলে বা পার্টি থেকে ফিরলে যেন ধর্ষিতা হলেও হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তো তেমন কিছু ঘটেনি। তৃতীয়ত, প্রাথমিকভাবে সরকারের মুখে কুলুপ এঁটে থাকাটাও মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। ঘটনার ঠিক পরই সরকারের উচিত ছিল, বুক চিতিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখোমুখি হওয়া। সোনিয়া গান্ধী, প্রণব মুখার্জি, শীলা দীক্ষিত অথবা সুশীল কুমার শিন্দে, যে কেউ বিবৃতি দিতে পারতেন। সম্ভব হলে স্ক্রিনে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তা দেখানো যেতে পারত। তাতে ক্ষতে কিছুটা হলেও মলম পড়ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে গুলি চলার পর বারাক ওবামা কিন্তু ঘটনা না এড়িয়ে মানুষের মুখোমুখি হয়েছেন। যে কোনো সংকটে সরকারের পক্ষ থেকে মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া সবসময় কাম্য।
এসব কারণেই মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। প্রথমে তা ছিল নেতৃত্বহীন। পরে অবশ্য কিছু দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়েছে, যারা আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তুলেছে। দেখা গেছে রাজনৈতিক দলগুলোর আনাগোনাও। তবে বিক্ষোভে মূলত যোগ দিয়েছেন দিলি্লর মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষই। বিহার বা উত্তর প্রদেশে, ভূমিহার অথবা দলিত কন্যা ধর্ষণের অজস্র ঘটনায় যা দেখা যায় না। কোথাও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধলে বা লুটপাট হলে সবার আগে লাঞ্ছিত হন নারীরাই। একে নিছক যৌন বিকৃতি হিসেবে দেখা কিন্তু ঠিক হবে না। এসব ক্ষেত্রে মহিলাকে ধর্ষণ করে এক ধরনের ক্ষমতার আস্টম্ফালনই (পাওয়ার ট্রিপ) দেখানো হয়। নারীকে অপমান করে গোটা সম্প্রদায়কেই অপমান করার চেষ্টা করে পুরুষরা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তখন তো কোনো আধুনিক শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে এভাবে রাস্তায় আছড়ে পড়তে দেখি না। দিলি্লতে তো নয়ই। পাশাপাশি আরেকটি কথাও বলে নেওয়া দরকার। তা হলো_ চোখের সামনে নারী লাঞ্ছনা ঘটলে কি প্রতিবাদে মুখর হয় মধ্যবিত্ত মানুষ? বোধহয় না। টাটকা একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। বাসে গণধর্ষণ নিয়ে যখন রাজধানী উত্তাল, ঠিক তখনই রোববার বিকেলে দিলি্লতেই ডিটিসি বাসে নিগৃহীত হয়েছেন এক ২০ বছরের গর্ভবতী মহিলা। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামীও। স্বামীর অভিযোগ, চার যুবক তার স্ত্রীর প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে, তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। বাসে বেশ কয়েকজন উপস্থিত থাকলেও কেউ কিন্তু টুঁ শব্দটিও করেনি। তা হলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াচ্ছে? এক. দলিত বা আদিবাসী শ্রেণীর নারীদের অভিযোগকে একটি সামাজিক-রাজনৈতিক সমীকরণের ঘেরাটোপে ফেলে নিশ্চিন্ত মধ্যবিত্ত। দক্ষিণ দিলি্লতে, চোখের সামনে, পরিচিত শ্রেণীর মধ্যে ঘটা ঘটনাই তাকে ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে। দুই. মধ্যবিত্ত শ্রেণী দলবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারে; কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় তার সাহসে কুলোচ্ছে না। অথচ ছেলের জন্য চাই উচ্চশিক্ষার খরচ! এটা দুর্ভাগ্যের যে, আমাদের দেশে ছেলে আর মেয়েকে একইভাবে বড় করা হয় না। কাজ, শিক্ষা, খাদ্য কোনো ক্ষেত্রেই সমান চোখে দেখা হয় না। অবাধে ঘটে নারী ভ্রূণ হত্যার মতো অপরাধ।
এ সুযোগে একটা কথা বলি। কোনো ধর্ষণকারীই তো চাঁদ থেকে পড়ে না। তারা আমাদের এ সমাজেই জন্ম নেয়, বেড়ে ওঠে। তাদের মনস্তত্ত্বে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠত্বের বোধ, পুরুষ হয়ে জন্মানোর অহং। যার বীজ শুধু ধর্ষণকারীর ভেতরেই নয়, বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশি ব্যবস্থার মধ্যেও রয়েছে। শহর, গ্রাম সব স্থানে পুলিশ কনস্টেবল, বিচার ব্যবস্থার নিচুতলার কর্মী সবাই আসছেন এ মানসিকতা নিয়ে। কনস্টেবল নিজেই ধর্ষণ করছে এমন অভিযোগও তো কম নয়। আবার যিনি ধর্ষিতা হচ্ছেন সেই নারীর নৈতিকতা (অর্থাৎ তিনি কুমারী কি-না, তার পোশাক কী রকম, পেশা কী, কেন রাত করে বাড়ি ফেরেন) নিয়েও চুলচেরা আলোচনা আর বিচার শুরু হয়। ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যেন যে, ধর্ষণ করেছে সে নিগৃহীতার তুলনায় অনেক বড়মাপের মানুষ!
এ সামাজিক অসুখ থেকে উদ্ধারের কোনো শর্টকাট পদ্ধতি আমার জানা নেই। সরকারের পক্ষেও আশু কিছু করে ফেলা সম্ভব বলেও মনে হয় না। তবে দেখেশুনে যেটুকু মনে হয় প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। যার মধ্যে রয়েছে পুরুষ ও নারীকে সমান চোখে দেখার চেষ্টা শুরু করা, পুলিশের মানসিকতার বদল, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার। আপাতত যেটা করা যায় তা হলো, নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আইন আরও মজবুত করা, আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার হার বাড়ানো (এখন যা মাত্র ২৭ শতাংশ)। সে সঙ্গে রাতের বাস বাড়ানো (অনেক ছাত্রী, কর্মরত নারী বাসে যাতায়াত করেন) এবং সম্ভব হলে বাসে নারী মার্শাল ও ড্রাইভার রাখা। এককথায়, রোগ সারানোর জন্য স্বল্পমেয়াদি কিছু ব্যবস্থার পাশাপাশি দরকার দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা আর মানসিকতার আমূল পরিবর্তন।
শর্মিলা ঠাকুর : বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী
মঙ্গলবারের আনন্দবাজার থেকে পুনর্মুদ্রিত
No comments