মনে করেন হানিফ মোহাম্মদ-ডনের চেয়েও টেন্ডুলকার ভালো!
খুব বেশি লম্বা-চওড়া ছিলেন না। কিন্তু যখন ব্যাট করতেন, চওড়া হয়ে যেত ব্যাট।
উচ্চতার কারণেই ডাকা হতো লিটল মাস্টার নামে। ক্রিকেটের প্রথম লিটল মাস্টার তিনিই। সেই হানিফ মোহাম্মদ ক্রিকেটের সর্বশেষ লিটল মাস্টারের ওয়ানডে অবসরে ব্যথিত তো হবেনই। শচীন টেন্ডুলকারকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়ে হানিফ অবশ্য অনেক বড় একটা স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ডন ব্র্যাডম্যানের চেয়েও ভালো টেন্ডুলকার!দুই ভিন্ন যুগের দুই গ্রেট। পরিসংখ্যানও দুজনের শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষী। স্বাভাবিকভাবেই দুজনের মধ্যে তুলনা চলতেই থাকবে। তবে ব্র্যাডম্যান নাকি টেন্ডুলকার—এই তুলনার সর্বজনগ্রাহ্য কোনো উত্তর নেই। কিন্তু হানিফের কথাটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতেই হবে। দুজনের খেলাই যে দেখেছেন এই ৭৮ বছর বয়সী। সেই দেখার চোখ দিয়েই বলছেন, ‘আমি সেই অতি অল্প সৌভাগ্যবানদের একজন, যারা জীবদ্দশায় ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং দেখেছে, টেন্ডুলকারেরও। আমার মতে, টেন্ডুলকারই আমার দেখা সেরা ব্যাটসম্যান।’
অনেকেই যখন সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই টেন্ডুলকারের অবসর নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন, সেই সময় হানিফ বলছেন, টেন্ডুলকার অনায়াসে আরও বেশ কিছুদিন খেলে যেতে পারতেন ওয়ানডেও, ‘টেন্ডুলকার ওয়ানডে থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুনে খুবই ব্যথিত হয়েছি। আশা করি, ও টেস্ট ক্রিকেটটা চালিয়ে যাবে। আমার মতে, ওয়ানডেটাও ও অনায়াসে আরও দুই বছর খেলতে পারত।’ টেন্ডুলকারের বড় ভক্ত ছিলেন। আজীবন তা-ই থাকবেন জানিয়ে টেস্টে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিংয়ের রেকর্ডটির মালিক বলেছেন, ‘ও এখনো আমার চোখে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। টেন্ডুলকারের চেয়ে পরিপূর্ণ ক্রিকেটার আমি আর দেখিনি। আমি সব সময়ই ওর ব্যাটিংয়ের ভক্ত ছিলাম।’
ওয়ানডে সিরিজের সময় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শুভেচ্ছাদূত হয়ে ভারতে আসবেন। সম্ভব হলে এ সময় টেন্ডুলকারের সঙ্গে দেখাও করতে চান ৫৫ টেস্টে ১৫টি সেঞ্চুরিসহ ৪৩.৯৮ গড়ে ৩৯১৫ রান করা হানিফ, ‘সম্ভব হলে ভারতে গিয়ে অবশ্যই টেন্ডুলকারের সঙ্গে দেখা করব, কথা বলব। এতগুলো বছর ধরে ওর ব্যাটিং দেখাটা সত্যিই অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা ছিল।’ ওয়েবসাইট।
No comments