আজ 'আওরাত বন্ধ্'
রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে স্লোগানে গলা ফাটিয়ে ধর্ষণের প্রতিবাদ জানানোর পর 'আওরাত বন্ধের' ডাক দিয়েছেন ভারতের কর্মজীবী নারীরা। আজ বুধবার পালিত হবে এই বন্ধ।
মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নামে একটি পেইজ খুলে বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকার ডাক দেওয়া হয়েছে। এতে সাড়াও পাওয়া গেছে ব্যাপক।
দিল্লির গণসংযোগ কর্মকর্তা নূর এনায়েত বলেন, "একটি মেয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষিত হয়েছে। পুরো দেশ যেন মেরুদণ্ডহীন স্থবিরের মতো পুরো বিষয়টি দাঁড়িয়ে দেখছে। আমাদের বলা হচ্ছে, 'বাড়ির বাইরে যেও না, একা বের হয়ো না, শালীন কাপড় পরো'। যেন বেঁচে থাকাই বন্ধ করে দিতে হবে আমাদের।" তিনি আরো বলেন, 'সরকার কিছু করতে পারছে না। কাজেই আমাদেরই পথ দেখতে হবে। আমাদের করপোরেট কর্মী বাহিনীর ৪৫ শতাংশই নারী। আমরা যদি একসঙ্গে মাত্র একটি দিন কাজ করা থেকে বিরত থাকি, শপিং না করি, তাহলে দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাবে। সমাজ আমাদের দাবিকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হবে।'
বন্ধ সফল করতে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে নারী সংগঠনগুলোকে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, বন্ধ মানে দপ্তরের কাজ ছেড়ে শুধু ঘরে বসে থাকা নয়। বরং নিজের শক্তি দেখাতে হবে। নূর বলেন, 'পুরুষরা জানুক, মাত্র একটি দিনও ঘরে-বাইরে নারীদের বাদ দিয়ে চালিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন।' নারীরা দপ্তরে কাজ না করলে এর প্রভাব কম্পানিগুলোর কাজেও পড়বে। 'সময় হয়েছে সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়ার, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে নারীদের কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।' তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে নির্যাতিত নারীদের প্রতিও সহমর্মিতা প্রকাশ করা হবে।
ক্ষুব্ধ এক তরুণী শিক্ষকা অনুরাধা দত্ত বলেন, 'সব নারীর উচিত এই বন্ধে যোগ দেওয়া। এই বন্ধ কঠোর আইনের ব্যাপারে আমাদের দাবিটিই সবার কাছে পৌঁছে দেবে।'
তবে শুধু নারীরাই নয়, বহু পুরুষের দৃষ্টিতেও এই বন্ধ প্রয়োজনীয়। সুনন্দ মুখার্জি তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, 'আমি ক্ষোভ দেখেছি। আর এতে অন্যায়েরও কিছু নেই। আমার ১৭ বছরের একটি বোন আছে। ও ঘর থেকে বের হলেই এক ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করি আমি।' বৈভব ভরদ্বাজ তাঁর ক্ষোভ উগরে দিলেন একটু অন্যভাবে। তিনি বলেন, 'বিশ্বের সব ধর্ষক, খুনি আর সমাজবিরোধী কাজে জড়িতদের উচিত ভারতে চলে আসা। এ দেশে এসব কাজেরই পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।' সূত্র : গালফ নিউজ।
দিল্লির গণসংযোগ কর্মকর্তা নূর এনায়েত বলেন, "একটি মেয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষিত হয়েছে। পুরো দেশ যেন মেরুদণ্ডহীন স্থবিরের মতো পুরো বিষয়টি দাঁড়িয়ে দেখছে। আমাদের বলা হচ্ছে, 'বাড়ির বাইরে যেও না, একা বের হয়ো না, শালীন কাপড় পরো'। যেন বেঁচে থাকাই বন্ধ করে দিতে হবে আমাদের।" তিনি আরো বলেন, 'সরকার কিছু করতে পারছে না। কাজেই আমাদেরই পথ দেখতে হবে। আমাদের করপোরেট কর্মী বাহিনীর ৪৫ শতাংশই নারী। আমরা যদি একসঙ্গে মাত্র একটি দিন কাজ করা থেকে বিরত থাকি, শপিং না করি, তাহলে দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাবে। সমাজ আমাদের দাবিকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হবে।'
বন্ধ সফল করতে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে নারী সংগঠনগুলোকে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, বন্ধ মানে দপ্তরের কাজ ছেড়ে শুধু ঘরে বসে থাকা নয়। বরং নিজের শক্তি দেখাতে হবে। নূর বলেন, 'পুরুষরা জানুক, মাত্র একটি দিনও ঘরে-বাইরে নারীদের বাদ দিয়ে চালিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন।' নারীরা দপ্তরে কাজ না করলে এর প্রভাব কম্পানিগুলোর কাজেও পড়বে। 'সময় হয়েছে সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়ার, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে নারীদের কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।' তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে নির্যাতিত নারীদের প্রতিও সহমর্মিতা প্রকাশ করা হবে।
ক্ষুব্ধ এক তরুণী শিক্ষকা অনুরাধা দত্ত বলেন, 'সব নারীর উচিত এই বন্ধে যোগ দেওয়া। এই বন্ধ কঠোর আইনের ব্যাপারে আমাদের দাবিটিই সবার কাছে পৌঁছে দেবে।'
তবে শুধু নারীরাই নয়, বহু পুরুষের দৃষ্টিতেও এই বন্ধ প্রয়োজনীয়। সুনন্দ মুখার্জি তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, 'আমি ক্ষোভ দেখেছি। আর এতে অন্যায়েরও কিছু নেই। আমার ১৭ বছরের একটি বোন আছে। ও ঘর থেকে বের হলেই এক ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করি আমি।' বৈভব ভরদ্বাজ তাঁর ক্ষোভ উগরে দিলেন একটু অন্যভাবে। তিনি বলেন, 'বিশ্বের সব ধর্ষক, খুনি আর সমাজবিরোধী কাজে জড়িতদের উচিত ভারতে চলে আসা। এ দেশে এসব কাজেরই পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।' সূত্র : গালফ নিউজ।
No comments