আজ থেকে তিন দিন রাজনৈতিক কর্মসূচি- ঢাকা হবে দুর্ভোগের নগর
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া আজ বুধবার দিনব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি পথসভা করবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন।
এক দিন পর শনিবার একই স্থানে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। মাঝখানে শুক্রবার কোনো কর্মসূচি না থাকলেও আগের দুই দিনের প্রভাবে এদিনও নগরের রাস্তায় থাকবে বাড়তি চাপ। সব মিলিয়ে ২০১২ সালের শেষ দিনগুলোতে ঢাকার রাস্তায় মানুষের ভোগান্তি বিভীষিকাময় হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব মহল।
স্বাভাবিক কর্মদিবসগুলোতে এমনিতে রাজধানীবাসীকে যানজটে নাকাল হতে হয়। তার ওপর রাজপথে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি থাকলে ভোগান্তি হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। গত শনিবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল গণমিছিল এবং পরদিন রোববার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের গণবিক্ষোভ কর্মসূচির কারণেও এ রকম পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে নগরবাসীকে।
১৮ দলের কর্মসূচি অনুযায়ী, খালেদা জিয়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যে পাঁচটি পথসভায় বক্তৃতা করবেন, সবগুলো হবে রাস্তার ওপর। এসব পথসভা করতে গিয়ে তিনি নগরের প্রায় সব প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবেন। সঙ্গে থাকবে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে মিছিলের আয়োজন। রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকেও দলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে পথসভায় যোগ দেবেন। সব মিলিয়ে পুরো ঢাকার রাস্তায় মানুষের যে দুর্ভোগ হবে, তার জন্য গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র তরিকুল ইসলাম।
একইভাবে পরদিন মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলেও নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে-বাসে ও পায়ে হেঁটে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসবেন নেতা-কর্মীরা। এর এক দিন পর শনিবারের একই স্থানে হবে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। তাতে সারা দেশ থেকে দলীয় নেতারা অংশ নেবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবে কর্মী-সমর্থকদের বহর। একে কেন্দ্র করে শাহবাগ, রমনা পার্ক ও মৎস্য ভবনের আশপাশের সড়কে তৈরি হবে অচলাবস্থা। আর এর চাপ পড়বে রাজধানীর অন্যান্য ব্যস্ত সড়কেও।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে রাজধানী অচল হয়ে যায়। এটা সব দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু দুর্ভোগের শিকার মানুষ গালি দেয় আমাদের।’
ঢাকার মতো নিত্য যানজটের নগরে কর্মদিবসে কর্মসূচি পালন করে মানুষকে অসহনীয় কষ্টের মধ্যে ফেলবেন, নাকি এসব কর্মসূচির জন্য ছুটির দিন বেছে নেবেন—এ ব্যাপারে জনস্বার্থে রাজনৈতিক নেতাদের একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা।
স্বাভাবিক কর্মদিবসগুলোতে এমনিতে রাজধানীবাসীকে যানজটে নাকাল হতে হয়। তার ওপর রাজপথে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি থাকলে ভোগান্তি হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। গত শনিবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল গণমিছিল এবং পরদিন রোববার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের গণবিক্ষোভ কর্মসূচির কারণেও এ রকম পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে নগরবাসীকে।
১৮ দলের কর্মসূচি অনুযায়ী, খালেদা জিয়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যে পাঁচটি পথসভায় বক্তৃতা করবেন, সবগুলো হবে রাস্তার ওপর। এসব পথসভা করতে গিয়ে তিনি নগরের প্রায় সব প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবেন। সঙ্গে থাকবে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে মিছিলের আয়োজন। রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকেও দলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে পথসভায় যোগ দেবেন। সব মিলিয়ে পুরো ঢাকার রাস্তায় মানুষের যে দুর্ভোগ হবে, তার জন্য গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র তরিকুল ইসলাম।
একইভাবে পরদিন মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলেও নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে-বাসে ও পায়ে হেঁটে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসবেন নেতা-কর্মীরা। এর এক দিন পর শনিবারের একই স্থানে হবে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। তাতে সারা দেশ থেকে দলীয় নেতারা অংশ নেবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবে কর্মী-সমর্থকদের বহর। একে কেন্দ্র করে শাহবাগ, রমনা পার্ক ও মৎস্য ভবনের আশপাশের সড়কে তৈরি হবে অচলাবস্থা। আর এর চাপ পড়বে রাজধানীর অন্যান্য ব্যস্ত সড়কেও।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে রাজধানী অচল হয়ে যায়। এটা সব দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু দুর্ভোগের শিকার মানুষ গালি দেয় আমাদের।’
ঢাকার মতো নিত্য যানজটের নগরে কর্মদিবসে কর্মসূচি পালন করে মানুষকে অসহনীয় কষ্টের মধ্যে ফেলবেন, নাকি এসব কর্মসূচির জন্য ছুটির দিন বেছে নেবেন—এ ব্যাপারে জনস্বার্থে রাজনৈতিক নেতাদের একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা।
No comments