হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণ by শক্তি সাহা
অভাব-অনটনের কারণে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েদের তেমন একটা লেখাপড়া করা সম্ভব হয় না। জীবন ও জীবিকার তাগিদে তাদের লেখাপড়া ছেড়ে সাধারণত কঠিন পরিশ্রমের কোনো কাজে নেমে পড়তে হয়।
বেতন বা মজুরিও হয় খুব কম, যা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবে যাঁরা কোনো প্রশিক্ষণ নেন, তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোটামুটি ভালো বেতন বা মজুরির কাজ পান। তেমনি একটি প্রশিক্ষণ দেয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) নকশাকেন্দ্র। এটি হস্তশিল্পে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেয়। যাঁরা হাতের কাজ শিখে স্বাবলম্বী হতে চান, তাঁরা এই প্রশিক্ষণটি নিতে পারেন। আর এই প্রশিক্ষণ নিলে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রশিক্ষণের বিষয়াদি: বিসিকের নকশাকেন্দ্রে মোট ১২টি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। বিষয়গুলো হলো: মৃৎশিল্প, বাটিক প্রিন্ট, পাটজাতশিল্প, ব্লক প্রিন্ট, চামড়াজাতশিল্প, স্ক্রিন প্রিন্ট, বাঁশবেত, কাপড়ের পুতুল, ট্যাপেস্টি (বুনন), প্যাকেজিং, উড ইনলে ও কাঠের ব্লক এবং ফ্যাশন ডিজাইন।
আবেদন-প্রক্রিয়া ও ভর্তি ফি: এরই মধ্যে আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে। নকশাকেন্দ্রের অফিস থেকে ৫০ টাকা দিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এক কপি করে পাসপোর্ট ও স্ট্যাম্প আকারের ছবি সংযুক্ত করে আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে। আর প্রতিটি বিষয়ের ভর্তি ফি ৩০০ টাকা। শুধু ফ্যাশন ডিজাইনের জন্য তিন হাজার টাকা দিতে হবে। ক্লাস শুরু হবে আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। প্রতি সপ্তাহে ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর তিন দিন ও অন্য বিষয়গুলোর দুই দিন ক্লাস হবে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে একটা পর্যন্ত এবং বিকেল দেড়টা থেকে চারটা পর্যন্ত এই দুই শিফটে ক্লাস নেওয়া হবে। আর এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ তিন মাস। বছরে চারবার এ প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়। এখানে প্রতিবন্ধীদের জন্যও প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
কাজের ক্ষেত্র: কেন্দ্রটির প্রধান নকশাবিদ এস এম শামসুদ্দিন জানান, এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর একজন প্রশিক্ষণার্থী বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস, বায়িং হাউস, পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এমনকি তাঁরা সাপ্লাইয়ারের কাজ বা ইচ্ছা করলে নিজেরাও ফ্যাশন হাউস খুলতে পারবেন। এতে প্রচুর অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া কাজের দক্ষতা অনুযায়ী দেশের বাইরেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শামসুদ্দিন আরও জানান, বিসিক নকশাকেন্দ্রের একটি বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র আছে, যেখানে প্রশিক্ষণার্থী-উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কারুশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিপণনের সুবিধা রয়েছে। তিন থেকে চার মাস পর পর নকশাকেন্দ্রে মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে তাঁরা অংশ নিতে পারেন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ: এই প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন এ ঠিকানায়: নকশাকেন্দ্র, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), ১৩৭-১৩৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ঢাকা-১০০০, ফোন: ৯৫৫৩১১২, ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৯৫৫০৭০৪, ই-মেইল: info@bscic.gov.bd
ওয়েবসাইট: www.bscic.gov.bd
নকশাকেন্দ্রের ইতিহাস: শিল্পী কামরুল হাসান ১৯৬০ সালে এ নকশাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করেন। এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত সরকারি সংস্থা বিসিকের একটি বিভাগ, যেটি দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর, বিশেষ করে মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়ন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আয়-উপার্জন বাড়ানো ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।এটি এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার ৬৭৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
প্রশিক্ষণের বিষয়াদি: বিসিকের নকশাকেন্দ্রে মোট ১২টি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। বিষয়গুলো হলো: মৃৎশিল্প, বাটিক প্রিন্ট, পাটজাতশিল্প, ব্লক প্রিন্ট, চামড়াজাতশিল্প, স্ক্রিন প্রিন্ট, বাঁশবেত, কাপড়ের পুতুল, ট্যাপেস্টি (বুনন), প্যাকেজিং, উড ইনলে ও কাঠের ব্লক এবং ফ্যাশন ডিজাইন।
আবেদন-প্রক্রিয়া ও ভর্তি ফি: এরই মধ্যে আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে। নকশাকেন্দ্রের অফিস থেকে ৫০ টাকা দিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এক কপি করে পাসপোর্ট ও স্ট্যাম্প আকারের ছবি সংযুক্ত করে আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে। আর প্রতিটি বিষয়ের ভর্তি ফি ৩০০ টাকা। শুধু ফ্যাশন ডিজাইনের জন্য তিন হাজার টাকা দিতে হবে। ক্লাস শুরু হবে আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। প্রতি সপ্তাহে ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর তিন দিন ও অন্য বিষয়গুলোর দুই দিন ক্লাস হবে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে একটা পর্যন্ত এবং বিকেল দেড়টা থেকে চারটা পর্যন্ত এই দুই শিফটে ক্লাস নেওয়া হবে। আর এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ তিন মাস। বছরে চারবার এ প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়। এখানে প্রতিবন্ধীদের জন্যও প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
কাজের ক্ষেত্র: কেন্দ্রটির প্রধান নকশাবিদ এস এম শামসুদ্দিন জানান, এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর একজন প্রশিক্ষণার্থী বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস, বায়িং হাউস, পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এমনকি তাঁরা সাপ্লাইয়ারের কাজ বা ইচ্ছা করলে নিজেরাও ফ্যাশন হাউস খুলতে পারবেন। এতে প্রচুর অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া কাজের দক্ষতা অনুযায়ী দেশের বাইরেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শামসুদ্দিন আরও জানান, বিসিক নকশাকেন্দ্রের একটি বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র আছে, যেখানে প্রশিক্ষণার্থী-উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কারুশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিপণনের সুবিধা রয়েছে। তিন থেকে চার মাস পর পর নকশাকেন্দ্রে মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে তাঁরা অংশ নিতে পারেন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ: এই প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন এ ঠিকানায়: নকশাকেন্দ্র, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), ১৩৭-১৩৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ঢাকা-১০০০, ফোন: ৯৫৫৩১১২, ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৯৫৫০৭০৪, ই-মেইল: info@bscic.gov.bd
ওয়েবসাইট: www.bscic.gov.bd
নকশাকেন্দ্রের ইতিহাস: শিল্পী কামরুল হাসান ১৯৬০ সালে এ নকশাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করেন। এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত সরকারি সংস্থা বিসিকের একটি বিভাগ, যেটি দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর, বিশেষ করে মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়ন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আয়-উপার্জন বাড়ানো ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।এটি এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার ৬৭৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
No comments