ভুয়া ঠিকানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে হোটেলে আত্মগোপন, সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি- ইমদাদুল গ্রেপ্তার
পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অন্যতম ইমদাদুল হক মিলনকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুয়া ঠিকানা দিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের একটি হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন।
গত সোমবার গভীর রাতে ওই হোটেল থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ইমদাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মামলাটি তদন্ত করা ডিবি পুলিশ। বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িত অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে দুজনের সনদ বাতিল করেছে, ছাত্রলীগের কর্মী ইমদাদুল তাঁদের একজন। যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই ঘটনায় গণমাধ্যমে নাম-ছবি আসা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই আবেদনে জড়িত হিসেবে ইমদাদুলসহ পাঁচজনের নাম ছিল। এ ছাড়া আদালতে দেওয়া তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও হত্যায় জড়িত হিসেবে তাঁর নাম আছে।
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় এ নিয়ে ছাত্রলীগের সাতজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলো। ইমদাদুল ছাড়া অপর ছয়জন হলেন: রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, কাইয়ুম মিয়া ওরফে টিপু, এস এম কিবরিয়া, সাইফুল ইসলাম, জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন ও মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনায় নাহিদ ও ইমদাদুলের সনদ বাতিল এবং কিবরিয়া ছাড়া বাকি চারজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। ২৩ ডিসেম্বর শাকিল, শাওন ও নাহিদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাইফুল, কাইয়ুম ও কিবরিয়া রিমান্ডে রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ডিবির একটি দল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আরামবাগ এলাকার ‘স্বপ্নপুরী’ নামের আবাসিক হোটেল থেকে ইমদাদুলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িত ২০-২১ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, ইমদাদুলকে ঢাকায় এনে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও যশোর অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইমদাদুল ব্যবসায়ী পরিচয়ে ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্বপ্নপুরী হোটেলের ৩০৫ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। হোটেলের নিবন্ধন খাতায় নিজের আংশিক নাম ছাড়া বাবা-মায়ের নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন ভুয়া। হোটেলে দেওয়া নাম-ঠিকানা হলো: মিলন, পিতা-কাওসার, মা-রোকেয়া বেগম, গ্রাম-কুন্দাসচর, নোয়াখালী। কিন্তু ইমদাদুলের বাবা মৃত আকরাম আলী, মা জহুরা বেগম। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ কাইবায়।
ওই হোটেলের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা প্রথম আলোকে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে ইমদাদুল মোটরসাইকেলে করে ঘুরেছেন। হোটেলে ওঠার পর তিনি পর পর তিন রাতে এখানে ফেরেননি।
‘কিছু বলা সমীচীন হবে না’: বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ইমদাদুলসহ এ পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। বাকি চারজন—মামুন আর রশিদ, ফারুক হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন ও কাজী নাহিদুজ্জামান ওরফে তুহিনকে প্রথমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের পর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই চারজনের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এই চারজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত চলছে। যেহেতু হত্যায় জড়িত অনেকেই এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, তাই এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলা সমীচীন হবে না।
৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নিরীহ পথচারী ও দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ (ভিক্টোরিয়া) পার্কের কাছে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
ইমদাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মামলাটি তদন্ত করা ডিবি পুলিশ। বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িত অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে দুজনের সনদ বাতিল করেছে, ছাত্রলীগের কর্মী ইমদাদুল তাঁদের একজন। যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই ঘটনায় গণমাধ্যমে নাম-ছবি আসা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই আবেদনে জড়িত হিসেবে ইমদাদুলসহ পাঁচজনের নাম ছিল। এ ছাড়া আদালতে দেওয়া তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও হত্যায় জড়িত হিসেবে তাঁর নাম আছে।
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় এ নিয়ে ছাত্রলীগের সাতজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলো। ইমদাদুল ছাড়া অপর ছয়জন হলেন: রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, কাইয়ুম মিয়া ওরফে টিপু, এস এম কিবরিয়া, সাইফুল ইসলাম, জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন ও মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনায় নাহিদ ও ইমদাদুলের সনদ বাতিল এবং কিবরিয়া ছাড়া বাকি চারজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। ২৩ ডিসেম্বর শাকিল, শাওন ও নাহিদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাইফুল, কাইয়ুম ও কিবরিয়া রিমান্ডে রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ডিবির একটি দল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আরামবাগ এলাকার ‘স্বপ্নপুরী’ নামের আবাসিক হোটেল থেকে ইমদাদুলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িত ২০-২১ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, ইমদাদুলকে ঢাকায় এনে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও যশোর অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইমদাদুল ব্যবসায়ী পরিচয়ে ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্বপ্নপুরী হোটেলের ৩০৫ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। হোটেলের নিবন্ধন খাতায় নিজের আংশিক নাম ছাড়া বাবা-মায়ের নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন ভুয়া। হোটেলে দেওয়া নাম-ঠিকানা হলো: মিলন, পিতা-কাওসার, মা-রোকেয়া বেগম, গ্রাম-কুন্দাসচর, নোয়াখালী। কিন্তু ইমদাদুলের বাবা মৃত আকরাম আলী, মা জহুরা বেগম। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ কাইবায়।
ওই হোটেলের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা প্রথম আলোকে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে ইমদাদুল মোটরসাইকেলে করে ঘুরেছেন। হোটেলে ওঠার পর তিনি পর পর তিন রাতে এখানে ফেরেননি।
‘কিছু বলা সমীচীন হবে না’: বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ইমদাদুলসহ এ পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। বাকি চারজন—মামুন আর রশিদ, ফারুক হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন ও কাজী নাহিদুজ্জামান ওরফে তুহিনকে প্রথমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের পর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই চারজনের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এই চারজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত চলছে। যেহেতু হত্যায় জড়িত অনেকেই এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, তাই এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলা সমীচীন হবে না।
৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নিরীহ পথচারী ও দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ (ভিক্টোরিয়া) পার্কের কাছে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
No comments