টেনিস কোর্টের তারকারা by মোঃ রায়হান কবির
র্যাঙ্কিংয়ে হয়তো এক নম্বরে অধিষ্ঠিত হতে পারেননি। তারপরও সন্দেহাতীতভাবে বছরের সেরা মহিলা টেনিস খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামসই। তিনি এ বছর সাতটি ফাইনাল খেলে প্রতিটিরই শিরোপা কব্জা করেছেন।
এর মধ্যে রয়েছে দু’টি গ্র্যান্ডসøাম শিরোপা- উইম্বল্ডন ও ইউএস ওপেন। এছাড়া লন্ডন অলিম্পিকে এককে এবং দ্বৈতে জেতেন স্বর্ণপদক। অলিম্পিকের ম্যাচগুলো বাদ দিলে এ বছর যেখানে সেরেনার সব শিরোপা এসেছে মাত্র ৩৪ ম্যাচ খেলে, সেখানে তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আজারেঙ্কা এবং শারাপোভাকে খেলতে হয়েছে যথাক্রমে ৫০ ও ৫১টি করে ম্যাচ! এ বছর সেরেনা যে সাতটি শিরোপা জেতেন, সেগুলো হলো- উইম্বলডন, অলিম্পিকের স্বর্ণপদক (একক ও দ্বৈত), ইউএস ওপেন, চার্লেস্টন ওপেন, মাদ্রিদ ওপেন, স্ট্যানফোর্ড ওপেন এবং ডব্লিউটিএ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।
২০১২ সালের ডব্লিউটিএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন মেয়েদের পাওয়ার টেনিসের এই অন্যতম প্রবক্তা। এই নিয়ে চারবারই মার্কিন কৃষ্ণকন্যা জিতলেন পুরস্কারটি। এর আগে জিতেছেন ২০০২, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে। এছাড়া টেনিসে অসামান্য অবদানের জন্য ‘মিশিগান ওমেন্স হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
ক্যারোলিন ওজনিয়াকি ॥ এ বছরও কাক্সিক্ষত ‘গ্র্যান্ডসøাম’ ট্রফি জেতা হলো না ড্যানিশ টেনিসকন্যা ক্যারোলিন ওজনিয়াকির। এ বছর চারটি আসরের ফাইনাল খেলে শিরোপা জিতেছেন দুটির। এগুলো হচ্ছেÑসিউল ও মস্কো ওপেন। আর হেরেছেন কোপেনহেগেন ও সোপিয়া ওপেনের ফাইনালে। এ বছরের জুলাইয়ে একটি হেভিওয়েট বক্সিং ম্যাচ উপভোগ করতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত আইরিশ গলফার রোরি ম্যাকলরয়ের সঙ্গে দেখা হয় ওজনিয়াকির। খুব দ্রুতই পরস্পরের প্রেমে পড়েন তাঁরা, যা অব্যাহত আছে এখনও।
ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা ॥ র্যাঙ্কিংসেরার আসনটা এ বছর হাতছাড়া হয়েছিল বেলারুশিয়ান ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার। তবে অল্প ক’দিন পরেই জিতে আবার শীর্ষাসন ফিরে পান তিনি।
এ বছর ৯ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উন্নীত হন আজারেঙ্কা। চ্যাম্পিয়ন হন ৬টিতে (সিডনি, অস্ট্রেলিয়ান, দোহা, ইন্ডিয়ান ওয়েলস, বেজিং ও লিঞ্জ ওপেন)। স্টুটগার্ট, মাদ্রিদ ও ইউএস ওপেনের শিরোপা হাতছাড়া করেন।
মারিয়া শারাপোভা ॥ রুশ তন্বী তনুলতা মারিয়া শারাপোভা এ বছরের আরেক সফল এবং আলোচিত টেনিস তারকা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অব্যাহত ইনজুরির কারণে বারবার বিঘিœত হয়েছে রুশ নন্দিনীর পথচলা। অনেক ঝড়-ঝাপ্টা পেরিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে টোকিওতে প্যান-প্যাসিফিক চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্য দিয়ে আবারও পা রাখেন টেনিসের বর্ণিল ময়দানে। কিন্তু পাননি প্রত্যাশিত সাফল্য। এ কারণে ঘোষণা দিয়েছিলেন নতুন বছর নতুন উদ্যমে শুরুর। সেটাও করে দেখান তিনি। ২০১২ সালে ৯টি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উন্নীত হন শারাপোভা। এর মধ্যে তিনটির শিরোপা জিতলেও ফাইনালে হারেন ছয়বার। শিরোপাগুলো হলোÑস্টুটগার্ট, রোম এবং ফ্রেঞ্চ ওপেন। আর হেরে যান- অস্ট্রেলিয়া, ইন্ডিয়ান ওয়েলস, কী বিসকেইন, বেজিং ওপেন, ডব্লিউটিএ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং লন্ডন অলিম্পিকে। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিএ বাস্কেটবল লীগের সাড়া জাগানো সেøাভেনিয়ান তারকা খেলোয়াড় সাশা ভুজাচিচের সঙ্গে তাঁর কয়েক বছরের প্রেমের সম্পর্কের অবসান ঘটেছে এ বছরেই।
কিম ক্লিস্টার্স ॥ এ বছরের শেষদিকে ভক্তদের কাঁদিয়ে অবসর নিয়েছেন বেলজিক টেনিস নক্ষত্র কিম ক্লিস্টার্স। বিদায়ী প্রীতিম্যাচে হারান ভেনাস উইলিয়ামসকে। ইনজুরিতে ভুগেছেন সারা বছরই। চার মাস পর ইনজুরি কাটিয়ে ফেরেন। এপ্রিলে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচে ক্যারোলিন ওজনিয়াকিকে হারিয়ে কামব্যাক করেছিলেন। এ বছর কোন শিরোপা না জিতলেও টেনিস অনুরাগীদের হৃদয়ের মণিকোঠায় আজীবনই থেকে যাবেন চারটি গ্র্যান্ডসø্যাম জেতা ক্লিস্টার্স।
রাফায়েল নাদাল ॥ সারা বছর ইনজুরি আগ্রাসনে ভুগেছেন স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদালও। ইনজুরির জন্য লন্ডন অলিম্পিকেও দেখা যায়নি তাঁকে! তারপরও ৫টি আসরের ফাইনালে খেলে ৪টিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। জিতেছেন ফ্রেঞ্চ, মন্টে কার্লো, বার্সেলোনা ও রোম ওপেনে। রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতে আলোচিত হন নাদাল।
রজার ফেদেরার ॥ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের থমাস বেলুচ্চির কাছে হেরে যান বিশ্বের দ্বিতীয় র্যাঙ্কধারী তারকা সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার। ডিসেম্বরে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচে বেলুচ্চি ৭-৫, ৩-৬, ৬-৪ গেমে রেকর্ড ১৭ গ্র্যান্ডসøামজয়ী ফেদেরারকে পরাজিত করেন। তবে ফেদেরারভক্তদের এতে মন খারাপ করার কিছু নেই কেননা, এটি ছিল একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। এ বছর ১০টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলে ছয়টির শিরোপা জিতেছেন রজার। এগুলো হচ্ছেÑরটারডাম, দুবাই, ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মাদ্রিদ, উইম্বল্ডন ও সিনসিনাতি ওপেন।
নোভাক জোকোভিচ ॥ বছরের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় ছিলেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। এ বছর ১১টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেন ২৫ বছর বয়সী নোভাক। চ্যাম্পিয়ন হন ৬টিতে। এগুলো হলো-অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, মিয়ামি ওপেন, টরন্টো ওপেন, বেজিং ওপেন, সাংহাই ওপেন এবং এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস। আর হেরেছেন- মন্টে কার্লো ওপেন, রোম ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, সিনসিতি ওপেন এবং ইউএস ওপেনে। বছর শেষে বর্ষসেরা টেনিস খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি জেতেন তিনিই।
এ্যান্ডি মারে ॥ এ বছর লন্ডন অলিম্পিক টেনিসে পুরুষদের এককে স্বর্ণ জেতেন ব্রিটিশ তারকা এ্যান্ডি মারে। ফাইনালে হারান ফেদেরারকে। তাঁর এ জয়ে অবসান হয় ব্রিটিশদের ১০৪ বছরের প্রতীক্ষার। ১৯০৮ সালে এ লন্ডনেই সর্বশেষ ব্রিটিশ হিসেবে অলিম্পিক টেনিসের পুরুষ এককে শিরোপা জিতেছিলেন জোসিয়া রিচি। একক জয়ের পর মারের সামনে ছিল মিশ্র দ্বৈত জিতে ‘ডবল’ অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগও। লরা রবসনকে সঙ্গী করে বেলারুশিয়ান জুটি ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা ও ম্যাক্স মিরনির বিপক্ষে ফাইনালে হেরে রূপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। এছাড়া জেতেন ইউএস ওপেনের শিরোপাও। এর মধ্য দিয়ে ১৯৩৬ সালে ফ্রেড পেরির পর কোন ব্রিটিশ পুরুষ গ্র্যান্ডসøাম জেতেন।
২০১২ সালের ডব্লিউটিএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন মেয়েদের পাওয়ার টেনিসের এই অন্যতম প্রবক্তা। এই নিয়ে চারবারই মার্কিন কৃষ্ণকন্যা জিতলেন পুরস্কারটি। এর আগে জিতেছেন ২০০২, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে। এছাড়া টেনিসে অসামান্য অবদানের জন্য ‘মিশিগান ওমেন্স হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
ক্যারোলিন ওজনিয়াকি ॥ এ বছরও কাক্সিক্ষত ‘গ্র্যান্ডসøাম’ ট্রফি জেতা হলো না ড্যানিশ টেনিসকন্যা ক্যারোলিন ওজনিয়াকির। এ বছর চারটি আসরের ফাইনাল খেলে শিরোপা জিতেছেন দুটির। এগুলো হচ্ছেÑসিউল ও মস্কো ওপেন। আর হেরেছেন কোপেনহেগেন ও সোপিয়া ওপেনের ফাইনালে। এ বছরের জুলাইয়ে একটি হেভিওয়েট বক্সিং ম্যাচ উপভোগ করতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত আইরিশ গলফার রোরি ম্যাকলরয়ের সঙ্গে দেখা হয় ওজনিয়াকির। খুব দ্রুতই পরস্পরের প্রেমে পড়েন তাঁরা, যা অব্যাহত আছে এখনও।
ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা ॥ র্যাঙ্কিংসেরার আসনটা এ বছর হাতছাড়া হয়েছিল বেলারুশিয়ান ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার। তবে অল্প ক’দিন পরেই জিতে আবার শীর্ষাসন ফিরে পান তিনি।
এ বছর ৯ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উন্নীত হন আজারেঙ্কা। চ্যাম্পিয়ন হন ৬টিতে (সিডনি, অস্ট্রেলিয়ান, দোহা, ইন্ডিয়ান ওয়েলস, বেজিং ও লিঞ্জ ওপেন)। স্টুটগার্ট, মাদ্রিদ ও ইউএস ওপেনের শিরোপা হাতছাড়া করেন।
মারিয়া শারাপোভা ॥ রুশ তন্বী তনুলতা মারিয়া শারাপোভা এ বছরের আরেক সফল এবং আলোচিত টেনিস তারকা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অব্যাহত ইনজুরির কারণে বারবার বিঘিœত হয়েছে রুশ নন্দিনীর পথচলা। অনেক ঝড়-ঝাপ্টা পেরিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে টোকিওতে প্যান-প্যাসিফিক চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্য দিয়ে আবারও পা রাখেন টেনিসের বর্ণিল ময়দানে। কিন্তু পাননি প্রত্যাশিত সাফল্য। এ কারণে ঘোষণা দিয়েছিলেন নতুন বছর নতুন উদ্যমে শুরুর। সেটাও করে দেখান তিনি। ২০১২ সালে ৯টি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উন্নীত হন শারাপোভা। এর মধ্যে তিনটির শিরোপা জিতলেও ফাইনালে হারেন ছয়বার। শিরোপাগুলো হলোÑস্টুটগার্ট, রোম এবং ফ্রেঞ্চ ওপেন। আর হেরে যান- অস্ট্রেলিয়া, ইন্ডিয়ান ওয়েলস, কী বিসকেইন, বেজিং ওপেন, ডব্লিউটিএ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং লন্ডন অলিম্পিকে। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিএ বাস্কেটবল লীগের সাড়া জাগানো সেøাভেনিয়ান তারকা খেলোয়াড় সাশা ভুজাচিচের সঙ্গে তাঁর কয়েক বছরের প্রেমের সম্পর্কের অবসান ঘটেছে এ বছরেই।
কিম ক্লিস্টার্স ॥ এ বছরের শেষদিকে ভক্তদের কাঁদিয়ে অবসর নিয়েছেন বেলজিক টেনিস নক্ষত্র কিম ক্লিস্টার্স। বিদায়ী প্রীতিম্যাচে হারান ভেনাস উইলিয়ামসকে। ইনজুরিতে ভুগেছেন সারা বছরই। চার মাস পর ইনজুরি কাটিয়ে ফেরেন। এপ্রিলে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচে ক্যারোলিন ওজনিয়াকিকে হারিয়ে কামব্যাক করেছিলেন। এ বছর কোন শিরোপা না জিতলেও টেনিস অনুরাগীদের হৃদয়ের মণিকোঠায় আজীবনই থেকে যাবেন চারটি গ্র্যান্ডসø্যাম জেতা ক্লিস্টার্স।
রাফায়েল নাদাল ॥ সারা বছর ইনজুরি আগ্রাসনে ভুগেছেন স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদালও। ইনজুরির জন্য লন্ডন অলিম্পিকেও দেখা যায়নি তাঁকে! তারপরও ৫টি আসরের ফাইনালে খেলে ৪টিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। জিতেছেন ফ্রেঞ্চ, মন্টে কার্লো, বার্সেলোনা ও রোম ওপেনে। রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতে আলোচিত হন নাদাল।
রজার ফেদেরার ॥ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের থমাস বেলুচ্চির কাছে হেরে যান বিশ্বের দ্বিতীয় র্যাঙ্কধারী তারকা সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার। ডিসেম্বরে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচে বেলুচ্চি ৭-৫, ৩-৬, ৬-৪ গেমে রেকর্ড ১৭ গ্র্যান্ডসøামজয়ী ফেদেরারকে পরাজিত করেন। তবে ফেদেরারভক্তদের এতে মন খারাপ করার কিছু নেই কেননা, এটি ছিল একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। এ বছর ১০টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলে ছয়টির শিরোপা জিতেছেন রজার। এগুলো হচ্ছেÑরটারডাম, দুবাই, ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মাদ্রিদ, উইম্বল্ডন ও সিনসিনাতি ওপেন।
নোভাক জোকোভিচ ॥ বছরের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় ছিলেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। এ বছর ১১টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেন ২৫ বছর বয়সী নোভাক। চ্যাম্পিয়ন হন ৬টিতে। এগুলো হলো-অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, মিয়ামি ওপেন, টরন্টো ওপেন, বেজিং ওপেন, সাংহাই ওপেন এবং এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস। আর হেরেছেন- মন্টে কার্লো ওপেন, রোম ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, সিনসিতি ওপেন এবং ইউএস ওপেনে। বছর শেষে বর্ষসেরা টেনিস খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি জেতেন তিনিই।
এ্যান্ডি মারে ॥ এ বছর লন্ডন অলিম্পিক টেনিসে পুরুষদের এককে স্বর্ণ জেতেন ব্রিটিশ তারকা এ্যান্ডি মারে। ফাইনালে হারান ফেদেরারকে। তাঁর এ জয়ে অবসান হয় ব্রিটিশদের ১০৪ বছরের প্রতীক্ষার। ১৯০৮ সালে এ লন্ডনেই সর্বশেষ ব্রিটিশ হিসেবে অলিম্পিক টেনিসের পুরুষ এককে শিরোপা জিতেছিলেন জোসিয়া রিচি। একক জয়ের পর মারের সামনে ছিল মিশ্র দ্বৈত জিতে ‘ডবল’ অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগও। লরা রবসনকে সঙ্গী করে বেলারুশিয়ান জুটি ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা ও ম্যাক্স মিরনির বিপক্ষে ফাইনালে হেরে রূপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। এছাড়া জেতেন ইউএস ওপেনের শিরোপাও। এর মধ্য দিয়ে ১৯৩৬ সালে ফ্রেড পেরির পর কোন ব্রিটিশ পুরুষ গ্র্যান্ডসøাম জেতেন।
No comments