গরিব দুঃখীদের অধিকার by মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার
ধনী-গরিব মানবজীবনের দুটি ধারা। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমরা প্রভূত অর্থ-সম্পদের অধিকারীকে ধনী বললেও সে ধনী নয়। আর সামান্য পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে স্বীয় জীবন নির্বাহ করা অসাধ্য হয়ে পড়ে। এমন লোককে আমরা সাধারণ গরিব বা দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ বলে থাকি।
ধনী-গরিবের এই শ্রেণীভেদ সম্পর্কে আল্লাহপাক উল্লেখ করেছেন_ 'ওয়াল্লাহুল গানিয়্যু ওয়া আনতুমুল ফুকারাউ।' অর্থাৎ আল্লাহতায়ালাই একমাত্র ধনী। আর তোমরা সবাই দরিদ্র বা গরিব। এ ছাড়া তাসাউফ শাস্ত্রের পরিভাষায় গরিবের এ ব্যাখ্যা পবিত্র কোরআনের বিধিবিধানসম্মত হলেও ইসলাম গরিব কাঙালের স্বার্থ সংরক্ষণ অধিকার বা হকগুলো ফরজভাবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। জাকাত-ফেতরা ছাড়া দেশ প্রথা ও প্রচলিত রীতিনীতি অনুযায়ী গরিব-মিসকিন-দুঃখী মানুষ ধনাঢ্য-বিত্তবানদের ধন-দৌলত থেকে যে সাহায্য-সহযোগিতা পেতে পারে ইসলাম তার প্রতি নির্দেশ দিয়েছে। এক শ্রেণীর লোক টাকার পাহাড় গড়বে আর অন্য শ্রেণীর লোক দরিদ্রতার কশাঘাতে জর্জরিত হয়ে দুঃখ-কষ্টে জীবন কাটাবে_ ইসলাম এ প্রথা আদৌ স্বীকার করে না। ইসলাম ধন-দৌলতের ব্যাপারে উদারতা ও ইনসাফ দ্বারা গরিবের অধিকার ব্যাপকভাবে সংরক্ষিত করেছে। অন্যদিকে গরিবের স্বাভাবিক জীবনধারণের জন্যও ধনীদের ধনাঢ্য-বিত্তশালীদের প্রতি তাদের হককে নির্দিষ্ট করেছেন। ইসলামী অর্থনীতিতে জাকাত-ফেতরা-সদকা এবং দান-খয়রাত শুধু গরিব-দুঃখীদের জন্য প্রাপ্য, এটি তাদের মৌলিক অধিকার।
ফেতরা ও সদকা আদায়ের মাধ্যমে আমরা দুস্থ-নিঃস্ব ও গরিব অসহায়দের সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারি। এ সম্পর্কে আমাদের হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেছেন, তোমরা যদি গরিব-দুঃখী অসহায়দের সঙ্গে বল্পুব্দত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন কর এবং তাদের প্রতি সাধ্য অনুযায়ী অনুগ্রহ বা দয়া করো। মনে রাখবে পরোকালের পথে তারা তোমাদের জন্য সংগৃহীত ধন-সম্পদ হবে, দান-খয়রাত, সেবায় মানুষের সম্মান-সম্পদ ও অর্থ বৃদ্ধি পায়। গরিবের প্রতি দায়িত্ব -কর্তব্য পালনে হজরত আবু মুসা আশরারি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, দান-সেবা করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য। সাহাবারা বলেন, হে আল্লাহর নবী, যার সামর্থ্য নেই সেই ব্যক্তি কীভাবে অপরের কর্তব্য পালন করবে। হুজুর (সা.) বলেন, গায়-গতরে পরিশ্রম করে সেই কষ্টার্জিত অর্থ দ্বারা গরিব-দুঃখীদের দান, সাহায্য করবে। হজরত মোহাম্মদ (সা.) বারবার দুস্থ-নিঃস্ব, ছিন্নমূল-এতিম, মিসকিন, গরিব-দুঃখী-অসহায় মানুষ কল্যাণ সেবায় দান, সাহায্য-সহযোগিতা করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। কাজেই আমরাও যেন মানবিকভাবে গরিব-দুঃখী-অসহায়দের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সর্বতোভাবে তৎপর থাকি।
ফেতরা ও সদকা আদায়ের মাধ্যমে আমরা দুস্থ-নিঃস্ব ও গরিব অসহায়দের সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারি। এ সম্পর্কে আমাদের হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেছেন, তোমরা যদি গরিব-দুঃখী অসহায়দের সঙ্গে বল্পুব্দত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন কর এবং তাদের প্রতি সাধ্য অনুযায়ী অনুগ্রহ বা দয়া করো। মনে রাখবে পরোকালের পথে তারা তোমাদের জন্য সংগৃহীত ধন-সম্পদ হবে, দান-খয়রাত, সেবায় মানুষের সম্মান-সম্পদ ও অর্থ বৃদ্ধি পায়। গরিবের প্রতি দায়িত্ব -কর্তব্য পালনে হজরত আবু মুসা আশরারি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, দান-সেবা করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য। সাহাবারা বলেন, হে আল্লাহর নবী, যার সামর্থ্য নেই সেই ব্যক্তি কীভাবে অপরের কর্তব্য পালন করবে। হুজুর (সা.) বলেন, গায়-গতরে পরিশ্রম করে সেই কষ্টার্জিত অর্থ দ্বারা গরিব-দুঃখীদের দান, সাহায্য করবে। হজরত মোহাম্মদ (সা.) বারবার দুস্থ-নিঃস্ব, ছিন্নমূল-এতিম, মিসকিন, গরিব-দুঃখী-অসহায় মানুষ কল্যাণ সেবায় দান, সাহায্য-সহযোগিতা করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। কাজেই আমরাও যেন মানবিকভাবে গরিব-দুঃখী-অসহায়দের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সর্বতোভাবে তৎপর থাকি।
No comments