অপরাধ বাড়ছেই-দ্রুত লাগাম টানা প্রয়োজন
খুন, ধর্ষণ, এসিড-সন্ত্রাসসহ দেশে নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা বেড়ে চলেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি গত অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনেই এমন তথ্য উঠে এসেছে। বাস্তবে এ পরিসংখ্যান আরো উদ্বেগজনক। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো এখন মানুষের অনেকটা গা-সওয়া হয়ে গেছে।
এসব ঘটনায় মানুষ থানা-পুলিশ করতেও আগ্রহী হয় না। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বাস্তব অবস্থার পুরোপুরি প্রতিফলন হয় না। তার পরও এই প্রতিবেদনে অপরাধমূলক ঘটনার যে বৃদ্ধি দেখা গেছে, তা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়।
কোনো দেশের অর্থনৈতিক বা সামাজিক উন্নতির অন্যতম সূচক হলো সে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আমাদের দেশে এই সূচকের ক্রমাবনতিই আমরা লক্ষ করছি। আর এই ক্রমাবনতি ঠেকানো না গেলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, আমাদের দেশের রাজনীতিতে বিষয়টি কখনো উপযুক্ত মনোযোগ পায়নি। ফলে রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করবেন বলে মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেন এবং ক্ষমতায় বসে তা বেমালুম ভুলে যান। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা উল্টো কাজটিই করেন। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার নাম করে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এসব মামলার আসামি তথা অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায়। এটি একটি সর্বনাশা রেওয়াজ এবং এটি দেশে অপরাধ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে আসছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে কখনো স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় না। এটিও দেশে অপরাধ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি, অপরাধীদের সঙ্গে যোগসাজশ, অর্থের বিনিময়ে অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া, দলীয় আনুগত্য প্রদর্শন ইত্যাদির পাশাপাশি সরাসরি অপরাধে জড়িয়ে পড়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ সবই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো বেশি ভঙ্গুর করে তুলেছে। ফলে পুলিশ বাহিনীতে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি বাহিনীর কর্মকাণ্ডে জবাবদিহি কমে যাচ্ছে। একই সঙ্গে অপরাধ দমনে পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। এ থেকে যদি পুলিশ বাহিনীকে উদ্ধার করা না যায়, তাহলে পরিণাম আরো খারাপের দিকেই যাবে। দেশে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং আইনের ফাঁকফোকর গলে অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়া। নির্বাচনের আগে আগে স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ওয়াদা করা হলেও পর্যায়ক্রমে ক্ষমতাসীন হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সে ক্ষেত্রে এক ধরনের অনীহাই আমরা লক্ষ করে আসছি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে দেশের মানুষ রীতিমতো উদ্বিগ্ন। বর্তমান সরকারের শেষ বছরে এই অবনতি যেন আর বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দলীয় ক্যাডার তোষণের নীতি ছেড়ে অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে। পুলিশ বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমাতে বিচার বিভাগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
কোনো দেশের অর্থনৈতিক বা সামাজিক উন্নতির অন্যতম সূচক হলো সে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আমাদের দেশে এই সূচকের ক্রমাবনতিই আমরা লক্ষ করছি। আর এই ক্রমাবনতি ঠেকানো না গেলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, আমাদের দেশের রাজনীতিতে বিষয়টি কখনো উপযুক্ত মনোযোগ পায়নি। ফলে রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করবেন বলে মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেন এবং ক্ষমতায় বসে তা বেমালুম ভুলে যান। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা উল্টো কাজটিই করেন। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার নাম করে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এসব মামলার আসামি তথা অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায়। এটি একটি সর্বনাশা রেওয়াজ এবং এটি দেশে অপরাধ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে আসছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে কখনো স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় না। এটিও দেশে অপরাধ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি, অপরাধীদের সঙ্গে যোগসাজশ, অর্থের বিনিময়ে অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া, দলীয় আনুগত্য প্রদর্শন ইত্যাদির পাশাপাশি সরাসরি অপরাধে জড়িয়ে পড়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ সবই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো বেশি ভঙ্গুর করে তুলেছে। ফলে পুলিশ বাহিনীতে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি বাহিনীর কর্মকাণ্ডে জবাবদিহি কমে যাচ্ছে। একই সঙ্গে অপরাধ দমনে পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। এ থেকে যদি পুলিশ বাহিনীকে উদ্ধার করা না যায়, তাহলে পরিণাম আরো খারাপের দিকেই যাবে। দেশে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং আইনের ফাঁকফোকর গলে অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়া। নির্বাচনের আগে আগে স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ওয়াদা করা হলেও পর্যায়ক্রমে ক্ষমতাসীন হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সে ক্ষেত্রে এক ধরনের অনীহাই আমরা লক্ষ করে আসছি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে দেশের মানুষ রীতিমতো উদ্বিগ্ন। বর্তমান সরকারের শেষ বছরে এই অবনতি যেন আর বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দলীয় ক্যাডার তোষণের নীতি ছেড়ে অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে। পুলিশ বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমাতে বিচার বিভাগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
No comments