দীনের দাওয়াত :কৌশল ও বাস্তবতা by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
যুগে যুগে প্রত্যেক নবী আলাইহিস সালাম তাঁদের দাওয়াতি কার্যক্রমে যেসব রীতিনীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন এবং যতটুকু কিয়ামত পর্যন্ত মানবগোষ্ঠীর দাওয়াতি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তা-ই পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলে দেওয়া হয়েছে এবং হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তা ব্যাখ্যা করেছেন ও বাস্তবায়ন করেছেন।
এরপরও দাওয়াতের কিছু মৌলিক দিক আছে, যা সব যুগেই কার্যকর ছিল। যেমন_ তাওহিদ, রিসালাত, আখেরাতের ধারণা এবং সে আলোকে জীবন গড়ার আহ্বান, আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িকতার মাঝে সমন্বয়, ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনাচারে সামঞ্জস্য, পারলৌকিক জীবনের প্রাধান্য, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধকরণ, বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি প্রদর্শন, দাওয়াতের পথে ঠাট্টা-বিদ্রূপসহ বিভিন্ন ধরনের বিরোধিতার যথাযথ মোকাবেলা ইত্যাদি।
এসব সত্ত্বেও প্রত্যেক নবী আলাইহিস সালাম যে যুগে ও সমাজে প্রেরিত হয়েছিলেন তারা সে সমাজের সমকালীন সমস্যাগুলোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তা নিরসনের জন্য চেষ্টা করেছেন, মানুষকে সে ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন।
আজকের দিনে তথা আধুনিক যুগে দাওয়াতি কাজ করতে হলে একজন দাঈকে (মুবালিল্গগ, আহ্বানকারী) অবশ্যই তার যুগ-প্রেক্ষাপট সামনে রেখে দাওয়াতি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চলমান সময়ের জীবনপ্রণালি ও জীবনোপকরণসহ ইসলামী জীবন ব্যবস্থার আলোকে মূল্যায়ন করে পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে। না হয় দাঈর সব চেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। আর এটা কাঙ্ক্ষিত কোনো ফলও বয়ে আনবে না।
দাওয়াতের ক্ষেত্রে আল্লাহতায়ালার নির্দেশিত পথ হলো, জনসমাজের যুগ প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা। তাই দেখা যায়, আল্লাহতায়ালা যখনই কোনো সময় কোনো জনগোষ্ঠীতে কোনো নবী পাঠিয়েছেন, তিনি তাঁকে তাদের যুগোপযোগী করে, তাদের ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছেন। যিনি তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, সামাজিক প্রথা, ঐতিহ্য অনুধাবন ও মূল্যায়ন করে তাদের সামনে কথা বলতে পারেন, আল্লাহ প্রদত্ত জীবনবিধান তাদের বোঝাতে সক্ষম হন। এ কথার সমর্থনে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে_ 'আমি প্রত্যেক পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদের পরিষ্কার বুঝতে পারে।'_সূরা ইবরাহিম : ৪
এখানে উলেল্গখ্য, মুখের যেমন ভাষা আছে, অবস্থারও তেমনি ভাষা আছে। অতএব প্রত্যেক নবী আলাইহিস সালাম যেমন তাদের মুখের ভাষা জানতেন, তেমনি তাদের অবস্থার ভাষাও অবহিত হতেন। আর ভাষা শিক্ষণের ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন, তারা স্বীকার করবেন যে, কোনো জাতির ভাষা জানতে হলে তাদের অবস্থা সম্পর্কেও জানতে হয়। কেননা পরিভাষাগুলো গড়ে ওঠে জীবন থেকে। যার মাধ্যমে তারা নিজেদের আবেগ-অনুভূতি তথা পরস্পরে ভাব বিনিময় করে, চাওয়া-পাওয়াগুলো মিটিয়ে থাকে।
বর্তমানে আমরা যে যুগে বসবাস করছি, এটা বিজ্ঞানের যুগ। প্রযুক্তির সর্বশেষ সংস্করণ খুব সহজেই আমাদের হাতের নাগালে এসে ঠকঠক করে। গ্রহণকারী এগিয়ে যাচ্ছে, এর বিপরীতে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এই ভাবাভাবিই আমাদের অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ও সমসাময়িককাল থেকে। কালের আওয়াজ না বোঝার কারণেই আমরা পিছিয়ে পড়ছি সমসাময়িক দুনিয়া থেকে। এটা শুধু বৈষয়িক ক্ষেত্রেই নয়, সব ক্ষেত্রেই। ব্যয়সাধ্য ব্যাপার হলেও আমরা পরিবারের কাছে থাকতে সেলফোন ব্যবহার করছি; এর সুবিধা ভোগ করছি। কিন্তু দাওয়াতি কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারে আপত্তি জানাচ্ছি। মানছি_ ইন্টারনেটে অনেক আপত্তিকর সাইট আছে। কিন্তু সবই কি আপত্তিজনক? আর এটা আমার আপনার কাছে আপত্তিজনক মনে হলেও অন্যরা এটা মনে করছে না। সুতরাং তাদের আপনি না বোঝালে কে বোঝাবে?
আল্লাহতায়ালা যে নীতিমালার আলোকে নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন তা কি আমাদের জন্য অনুসরণীয় নয়? বিশেষত কে দাওয়াত দেবেন, কাকে দাওয়াত দেবেন, কোন বিষয়ে কখন কীভাবে দাওয়াত দেওয়া হবে ইত্যাদি আগে বিবেচনা করতে হলে আমাদের কালের আহ্বানে অবশ্যই সাড়া দিতে হবে। আপনি বাংলা ভাষাভাষী কিন্তু ডাচ্-রুশ-ইংলিশভাষীদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যারা আছেন তারা দাওয়াত দেওয়ার মতো সামর্থ্যবান নন, এ ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হবে শুনি?
আমরা আমাদের সোনালি অতীত নিয়ে খুব গর্ব করি। কিন্তু যেসব বিষয়ে মুসলমানরা ইসলামকে নিয়ে গর্ব করে থাকে আজকের যুগে ইসলামের শত্রুরা সেগুলো হয় গুপ্ত, না হয় উপেক্ষা করার চেষ্ট করে। এ ক্ষেত্রে প্রাচ্যবিদসহ পশ্চিমা মিডিয়া অত্যন্ত তৎপর। মুসলমানদের জন্য কোনো প্রশংসনীয় বিষয় হলে তারা তা নির্লজ্জভাবে এড়িয়ে যায়। আবার কোনো একটি ত্রুটি পেলে, তা ফলাও করে বারবার প্রচার করে থাকে। প্রাচ্যবিদদের লেখা ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন গ্রন্থে তা লক্ষণীয়। আর বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার ভূমিকা সুবিদিত। এ ধরনের চেতনা ইসলামবিরোধীদের অতীতেও ছিল, বর্তমানেও বিদ্যমান। এখন আপনি যদি তাদের এই তথ্য সন্ত্রাসের কথা সুনির্দিষ্টভাবে না জানেন তাহলে কে তাদের প্রতিহত করবে? তাদের জিঘাংসামূলক প্রোপাগান্ডার জবাব কে দেবে? আর যদি চুপ থাকেন, তাহলে নতুন প্রজন্ম যারা এখন ইসলামের দিকে ঝুঁকছে_ তাদের মনে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাটাই বদ্ধমূল হয়ে যাবে। এর দায় কার? অথচ এরা তো ইসলামের দাওয়াতই পায়নি।
আমি সোজা কথায় বলতে পারি, ইসলাম আমাদের এ ধারণাই দিয়েছে যে, দাওয়াতের মাধ্যম হিসেবে পবিত্র কোরআনুল কারিমে যেগুলোর বর্ণনা এসেছে, সেগুলো দাঈদের জন্য সব যুগেই প্রয়োজনীয়। হ্যাঁ, মাধ্যম নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্য ইসলাম উদারতা দেখিয়েছে। কারণ এগুলো জীবনপ্রণালি ও উপকরণের সঙ্গে সংশিল্গষ্ট, যা ক্রমবিবর্তনশীল। আর এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
মাধ্যম ও উপায় নির্ধারণে ক্রমবিবর্তনকে মেনে নেওয়ার অর্থ এই নয় যে, অতীতের সবকিছু পরিত্যাগ করতে হবে। বিভিন্ন কৌশল ও মাধ্যম, যা কোরআনুল কারিম ও হাদিসে রাসূলে বর্ণিত হয়েছে, কিয়ামত পর্যন্ত সেগুলোর আবেদন ও কার্যকারিতা বিদ্যমান থাকবে, এটা চিরন্তন সত্য কথা; যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এর বিকল্প হলো_ অজ্ঞতা, বোকামি, অহমিকা প্রদর্শন, যা দাওয়াতের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত নয়।
muftianaet@gmail.com
এসব সত্ত্বেও প্রত্যেক নবী আলাইহিস সালাম যে যুগে ও সমাজে প্রেরিত হয়েছিলেন তারা সে সমাজের সমকালীন সমস্যাগুলোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তা নিরসনের জন্য চেষ্টা করেছেন, মানুষকে সে ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন।
আজকের দিনে তথা আধুনিক যুগে দাওয়াতি কাজ করতে হলে একজন দাঈকে (মুবালিল্গগ, আহ্বানকারী) অবশ্যই তার যুগ-প্রেক্ষাপট সামনে রেখে দাওয়াতি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চলমান সময়ের জীবনপ্রণালি ও জীবনোপকরণসহ ইসলামী জীবন ব্যবস্থার আলোকে মূল্যায়ন করে পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে। না হয় দাঈর সব চেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। আর এটা কাঙ্ক্ষিত কোনো ফলও বয়ে আনবে না।
দাওয়াতের ক্ষেত্রে আল্লাহতায়ালার নির্দেশিত পথ হলো, জনসমাজের যুগ প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা। তাই দেখা যায়, আল্লাহতায়ালা যখনই কোনো সময় কোনো জনগোষ্ঠীতে কোনো নবী পাঠিয়েছেন, তিনি তাঁকে তাদের যুগোপযোগী করে, তাদের ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছেন। যিনি তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, সামাজিক প্রথা, ঐতিহ্য অনুধাবন ও মূল্যায়ন করে তাদের সামনে কথা বলতে পারেন, আল্লাহ প্রদত্ত জীবনবিধান তাদের বোঝাতে সক্ষম হন। এ কথার সমর্থনে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে_ 'আমি প্রত্যেক পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদের পরিষ্কার বুঝতে পারে।'_সূরা ইবরাহিম : ৪
এখানে উলেল্গখ্য, মুখের যেমন ভাষা আছে, অবস্থারও তেমনি ভাষা আছে। অতএব প্রত্যেক নবী আলাইহিস সালাম যেমন তাদের মুখের ভাষা জানতেন, তেমনি তাদের অবস্থার ভাষাও অবহিত হতেন। আর ভাষা শিক্ষণের ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন, তারা স্বীকার করবেন যে, কোনো জাতির ভাষা জানতে হলে তাদের অবস্থা সম্পর্কেও জানতে হয়। কেননা পরিভাষাগুলো গড়ে ওঠে জীবন থেকে। যার মাধ্যমে তারা নিজেদের আবেগ-অনুভূতি তথা পরস্পরে ভাব বিনিময় করে, চাওয়া-পাওয়াগুলো মিটিয়ে থাকে।
বর্তমানে আমরা যে যুগে বসবাস করছি, এটা বিজ্ঞানের যুগ। প্রযুক্তির সর্বশেষ সংস্করণ খুব সহজেই আমাদের হাতের নাগালে এসে ঠকঠক করে। গ্রহণকারী এগিয়ে যাচ্ছে, এর বিপরীতে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এই ভাবাভাবিই আমাদের অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ও সমসাময়িককাল থেকে। কালের আওয়াজ না বোঝার কারণেই আমরা পিছিয়ে পড়ছি সমসাময়িক দুনিয়া থেকে। এটা শুধু বৈষয়িক ক্ষেত্রেই নয়, সব ক্ষেত্রেই। ব্যয়সাধ্য ব্যাপার হলেও আমরা পরিবারের কাছে থাকতে সেলফোন ব্যবহার করছি; এর সুবিধা ভোগ করছি। কিন্তু দাওয়াতি কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারে আপত্তি জানাচ্ছি। মানছি_ ইন্টারনেটে অনেক আপত্তিকর সাইট আছে। কিন্তু সবই কি আপত্তিজনক? আর এটা আমার আপনার কাছে আপত্তিজনক মনে হলেও অন্যরা এটা মনে করছে না। সুতরাং তাদের আপনি না বোঝালে কে বোঝাবে?
আল্লাহতায়ালা যে নীতিমালার আলোকে নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন তা কি আমাদের জন্য অনুসরণীয় নয়? বিশেষত কে দাওয়াত দেবেন, কাকে দাওয়াত দেবেন, কোন বিষয়ে কখন কীভাবে দাওয়াত দেওয়া হবে ইত্যাদি আগে বিবেচনা করতে হলে আমাদের কালের আহ্বানে অবশ্যই সাড়া দিতে হবে। আপনি বাংলা ভাষাভাষী কিন্তু ডাচ্-রুশ-ইংলিশভাষীদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যারা আছেন তারা দাওয়াত দেওয়ার মতো সামর্থ্যবান নন, এ ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হবে শুনি?
আমরা আমাদের সোনালি অতীত নিয়ে খুব গর্ব করি। কিন্তু যেসব বিষয়ে মুসলমানরা ইসলামকে নিয়ে গর্ব করে থাকে আজকের যুগে ইসলামের শত্রুরা সেগুলো হয় গুপ্ত, না হয় উপেক্ষা করার চেষ্ট করে। এ ক্ষেত্রে প্রাচ্যবিদসহ পশ্চিমা মিডিয়া অত্যন্ত তৎপর। মুসলমানদের জন্য কোনো প্রশংসনীয় বিষয় হলে তারা তা নির্লজ্জভাবে এড়িয়ে যায়। আবার কোনো একটি ত্রুটি পেলে, তা ফলাও করে বারবার প্রচার করে থাকে। প্রাচ্যবিদদের লেখা ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন গ্রন্থে তা লক্ষণীয়। আর বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার ভূমিকা সুবিদিত। এ ধরনের চেতনা ইসলামবিরোধীদের অতীতেও ছিল, বর্তমানেও বিদ্যমান। এখন আপনি যদি তাদের এই তথ্য সন্ত্রাসের কথা সুনির্দিষ্টভাবে না জানেন তাহলে কে তাদের প্রতিহত করবে? তাদের জিঘাংসামূলক প্রোপাগান্ডার জবাব কে দেবে? আর যদি চুপ থাকেন, তাহলে নতুন প্রজন্ম যারা এখন ইসলামের দিকে ঝুঁকছে_ তাদের মনে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাটাই বদ্ধমূল হয়ে যাবে। এর দায় কার? অথচ এরা তো ইসলামের দাওয়াতই পায়নি।
আমি সোজা কথায় বলতে পারি, ইসলাম আমাদের এ ধারণাই দিয়েছে যে, দাওয়াতের মাধ্যম হিসেবে পবিত্র কোরআনুল কারিমে যেগুলোর বর্ণনা এসেছে, সেগুলো দাঈদের জন্য সব যুগেই প্রয়োজনীয়। হ্যাঁ, মাধ্যম নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্য ইসলাম উদারতা দেখিয়েছে। কারণ এগুলো জীবনপ্রণালি ও উপকরণের সঙ্গে সংশিল্গষ্ট, যা ক্রমবিবর্তনশীল। আর এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
মাধ্যম ও উপায় নির্ধারণে ক্রমবিবর্তনকে মেনে নেওয়ার অর্থ এই নয় যে, অতীতের সবকিছু পরিত্যাগ করতে হবে। বিভিন্ন কৌশল ও মাধ্যম, যা কোরআনুল কারিম ও হাদিসে রাসূলে বর্ণিত হয়েছে, কিয়ামত পর্যন্ত সেগুলোর আবেদন ও কার্যকারিতা বিদ্যমান থাকবে, এটা চিরন্তন সত্য কথা; যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এর বিকল্প হলো_ অজ্ঞতা, বোকামি, অহমিকা প্রদর্শন, যা দাওয়াতের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত নয়।
muftianaet@gmail.com
No comments