গাইবান্ধায় সড়কের ওপর ২৪ হাটবাজার
গাইবান্ধায় একটি মহাসড়ক ও ছয়টি আঞ্চলিক সড়কের ওপর ২৪টি হাটবাজার গড়ে উঠেছে। বেশির ভাগ হাটবাজারের সামনে গতিরোধক কিংবা নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে হাট এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ গাইবান্ধার আওতাধীন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ফাঁসিতলা, গোলাপবাগ হাট, বালুয়া বাজার, কোমরপুর, পলাশবাড়ী, ধাপেরহাট বাজার, গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের তুলসীঘাট বাজার, মাঠেরহাট, ঢোলভাঙ্গা বাজার, গাইবান্ধা-সাদুল্যাপুর সড়কের সারবাজার, গাইবান্ধা-নাকাইহাট সড়কের নাকাইহাট বাজার, গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের ত্রিমোহনী বাজার, ড়বাদিয়াখালীহাট, ড়কুকরারহাট, ভরতখালীর হাট, উল্যাবাজার, ড়কচুয়াহাট, গাইবান্ধা-দারিয়াপুর-সুন্দরগঞ্জ সড়কের দারিয়াপুর হাট, মজুমদার হাট, শোভাগঞ্জ হাট, মাটের হাট, ডোমের হাট, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন গাইবান্ধা-কূপতলা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের কূপতলা ও লক্ষ্মীপুরে হাট গড়ে উঠেছে।
কয়েকটি হাট ঘুরে সড়কের ওপর পণ্য বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। গোলাপবাগ এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আজিজার রহমান বলেন, ‘সপ্তাহের যে দুদিন হাট বসে, আমরা সেই দুদিন আতঙ্কে থাকি। হাটের দিন মহাসড়কের ওপর বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে। ফলে হাটে আসা অনেকে যানবাহনের ধাক্কায় আহত হচ্ছেন।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোহামঞ্চদ হোসেন জানান, উপজেলায় মহাসড়কের ওপর চারটি হাট বসছে। অথচ কোনো হাটেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি সওজকে বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
ধাপেরহাট গ্রামের বাসচালক বাবলু মিয়া জানান, মহাসড়কের দু-একটি হাটের সামনে ‘সাবধান-সামনে বাজার’ লেখা সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। মহাসড়ক নির্মাণের সময়ে স্থাপিত এসব সাইনবোর্ড এত ছোট যে বাস চালানোর সময় তা চোখে পড়ে না। হাটবাজার এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হয়। ফলে সাবধান থেকেও অনেক সময় লোকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও একই অবস্থা। পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠেরহাটে সপ্তাহে দুদিন সড়কের ওপর গরু-ছাগল বেচাকেনা হয়। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠা মাঠেরহাটে গরু-ছাগল বেচাকেনা হয়, পাশে সাইকেল-রিকশার স্ট্যান্ড। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সওজ গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী এম এম সেলিম বলেন, সড়কের ওপর হাটবাজার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সড়ক থেকে অবৈধ হাটবাজার উচ্ছেদের জন্য একাধিকবার জেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হাটবাজারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে প্রশাসনের মাধ্যমে অবৈধ হাটবাজার উচ্ছেদ করা হবে। এ ছাড়া হাটের উভয় পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে হাটবাজার উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কয়েকটি হাট ঘুরে সড়কের ওপর পণ্য বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। গোলাপবাগ এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আজিজার রহমান বলেন, ‘সপ্তাহের যে দুদিন হাট বসে, আমরা সেই দুদিন আতঙ্কে থাকি। হাটের দিন মহাসড়কের ওপর বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে। ফলে হাটে আসা অনেকে যানবাহনের ধাক্কায় আহত হচ্ছেন।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোহামঞ্চদ হোসেন জানান, উপজেলায় মহাসড়কের ওপর চারটি হাট বসছে। অথচ কোনো হাটেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি সওজকে বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
ধাপেরহাট গ্রামের বাসচালক বাবলু মিয়া জানান, মহাসড়কের দু-একটি হাটের সামনে ‘সাবধান-সামনে বাজার’ লেখা সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। মহাসড়ক নির্মাণের সময়ে স্থাপিত এসব সাইনবোর্ড এত ছোট যে বাস চালানোর সময় তা চোখে পড়ে না। হাটবাজার এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হয়। ফলে সাবধান থেকেও অনেক সময় লোকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও একই অবস্থা। পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠেরহাটে সপ্তাহে দুদিন সড়কের ওপর গরু-ছাগল বেচাকেনা হয়। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠা মাঠেরহাটে গরু-ছাগল বেচাকেনা হয়, পাশে সাইকেল-রিকশার স্ট্যান্ড। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সওজ গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী এম এম সেলিম বলেন, সড়কের ওপর হাটবাজার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সড়ক থেকে অবৈধ হাটবাজার উচ্ছেদের জন্য একাধিকবার জেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হাটবাজারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে প্রশাসনের মাধ্যমে অবৈধ হাটবাজার উচ্ছেদ করা হবে। এ ছাড়া হাটের উভয় পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে হাটবাজার উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments