নিউজউইকের শেষ মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশ
নিউজউইক কর্তৃপক্ষ গত সোমবার তাদের শেষ মুদ্রিত সংস্করণ বাজারে ছেড়েছে। গত রবিবার 'সবশেষ' প্রচ্ছদটি উন্মুক্ত করেছে 'নিউজউইক গ্লোবাল' নাম নেওয়া এই বনেদি সংবাদ-প্রতিষ্ঠান।
শেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে বড় করে ছাপা হয়েছে 'শেষ মুদ্রিত সংস্করণ'। তবে মুদ্রিত সংস্করণ বন্ধ হলেও অনলাইন সংস্করণ চালু থাকবে।
শেষ সংস্করণের প্রচ্ছদজুড়ে নিউজউইকের ম্যানহাটন সদর দপ্তরের গগনভেদী ভবনের সাদাকালো ছবি ছাপা হয়েছে।
মূলত বিজ্ঞাপন কমার পরিপ্রেক্ষিতে মুদ্রিত সংস্করণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিউজউইকের সম্পাদক টিনা ব্রাউন কিছুদিন আগেই একটি সাক্ষাৎকারে ব্যাপক খরচের কথা বলেছিলেন, '৪২ মিলিয়ন ডলার লাগে কেবল ছাপাতেই। এমনকি একজন লেখক, কপি-সম্পাদক বা ছবি-সম্পাদককে জড়িত করার আগেই এই পরিমাণ অর্থ লাগে। ৪২ মিলিয়ন ডলার!'
তবে উল্টোপিঠের বাস্তবতা হচ্ছে, গত এক বছরেই ট্যাবলেট, আইপ্যাড, নুক, জিনিকো, কিন্ডলসহ সব মিলিয়ে নিউজিউইকের বিক্রি বেড়েছে ৪১০ শতাংশ। ১৯৬১ সালে ওয়াশিংটন পোস্ট গ্রুপের মালিকানাধীন হওয়ার পর আরেক শীর্ষ ম্যাগাজিন টাইমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করায় নিউজউইক। টাইম ও নিউজউইকের প্রসিদ্ধ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইসহ নানা পুরনো প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণামূলক প্রবন্ধ রয়েছে এই শেষ সংস্করণে।
গত শতকের আশির দশকের টাইম ও নিউজউইক দুটোতেই কাজ করা সাংবাদিক ইভান টমাস জানিয়েছেন সে সময়কার কিছু অভিজ্ঞতা, 'আশির দশকের মাঝামাঝি টাইম ছিল প্রতাপশালী সাম্রাজ্য। নিউজউইক সে তুলনায় ম্লান হলেও একরোখা ছিল। টাইমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রে কেইভ কভারেরটাসহ অন্যান্য আলোকচিত্র বাছাই করতেন অন্ধকার ঘরে, বড় পর্দায় ফেলে। নিউজউইকে গিয়ে দেখলাম, নির্বাহী সম্পাদক মেনার্ড পার্কার চোখ কুঁচকে সিলিং লাইটের নিচে মেলে ধরেছেন নেগেটিভ।'
টাইমকে কখনোই ব্যবসায় ছাড়িয়ে যেতে না পারা নিউজউইক পুরোপুরি অনলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অন্তত এগিয়ে গেল।
১৯৩৩ মন্দায় জন্ম নেওয়া শীর্ষ মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজউইক নতুন শতকের অর্থনৈতিক ধকল সামলাতে নিজেকে পুরোপুরি ইন্টারনেট-জগতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল দুই মাস আগে। সূত্র : রয়টার্স।
শেষ সংস্করণের প্রচ্ছদজুড়ে নিউজউইকের ম্যানহাটন সদর দপ্তরের গগনভেদী ভবনের সাদাকালো ছবি ছাপা হয়েছে।
মূলত বিজ্ঞাপন কমার পরিপ্রেক্ষিতে মুদ্রিত সংস্করণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিউজউইকের সম্পাদক টিনা ব্রাউন কিছুদিন আগেই একটি সাক্ষাৎকারে ব্যাপক খরচের কথা বলেছিলেন, '৪২ মিলিয়ন ডলার লাগে কেবল ছাপাতেই। এমনকি একজন লেখক, কপি-সম্পাদক বা ছবি-সম্পাদককে জড়িত করার আগেই এই পরিমাণ অর্থ লাগে। ৪২ মিলিয়ন ডলার!'
তবে উল্টোপিঠের বাস্তবতা হচ্ছে, গত এক বছরেই ট্যাবলেট, আইপ্যাড, নুক, জিনিকো, কিন্ডলসহ সব মিলিয়ে নিউজিউইকের বিক্রি বেড়েছে ৪১০ শতাংশ। ১৯৬১ সালে ওয়াশিংটন পোস্ট গ্রুপের মালিকানাধীন হওয়ার পর আরেক শীর্ষ ম্যাগাজিন টাইমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করায় নিউজউইক। টাইম ও নিউজউইকের প্রসিদ্ধ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইসহ নানা পুরনো প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণামূলক প্রবন্ধ রয়েছে এই শেষ সংস্করণে।
গত শতকের আশির দশকের টাইম ও নিউজউইক দুটোতেই কাজ করা সাংবাদিক ইভান টমাস জানিয়েছেন সে সময়কার কিছু অভিজ্ঞতা, 'আশির দশকের মাঝামাঝি টাইম ছিল প্রতাপশালী সাম্রাজ্য। নিউজউইক সে তুলনায় ম্লান হলেও একরোখা ছিল। টাইমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রে কেইভ কভারেরটাসহ অন্যান্য আলোকচিত্র বাছাই করতেন অন্ধকার ঘরে, বড় পর্দায় ফেলে। নিউজউইকে গিয়ে দেখলাম, নির্বাহী সম্পাদক মেনার্ড পার্কার চোখ কুঁচকে সিলিং লাইটের নিচে মেলে ধরেছেন নেগেটিভ।'
টাইমকে কখনোই ব্যবসায় ছাড়িয়ে যেতে না পারা নিউজউইক পুরোপুরি অনলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অন্তত এগিয়ে গেল।
১৯৩৩ মন্দায় জন্ম নেওয়া শীর্ষ মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজউইক নতুন শতকের অর্থনৈতিক ধকল সামলাতে নিজেকে পুরোপুরি ইন্টারনেট-জগতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল দুই মাস আগে। সূত্র : রয়টার্স।
No comments