চালু হচ্ছে বনানী উড়ালসড়ক by আনোয়ার হোসেন
বনানী উড়ালসড়ক ও সংযোগ সড়ক চালু হচ্ছে কাল ২৭ ডিসেম্বর। ঢাকার যানজট নিরসনে বর্তমান সরকারের নেওয়া এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের আগেই চালু হতে যাচ্ছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বনানী হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭২টির বেশি ট্রেন চলাচল করে। এর ফলে একদিকে গুলশান-জাহাঙ্গীর গেট-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অন্যদিকে বনানী-বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। উড়ালসড়কটি চালু হলে সব যানবাহন রেললাইনের ওপর দিয়ে চলে যাবে। ট্রেন চলাচলের কারণে যানগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনানী উড়ালসড়কের উদ্বোধন করবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।
প্রকল্পটি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নেওয়া। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই উড়ালসড়ক নির্মাণ করেছে। ৮০৪ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কটি নির্মিত হয়েছে বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর। এতে ব্যয় হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। আর সংযোগ সড়কটি হচ্ছে বনানী উড়ালসেতু ও মিরপুর উড়ালসড়কের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য। এটির দৈর্ঘ্য ৫৬০ মিটার, ব্যয় হবে ৩০ কোটি টাকা।
সওজ সূত্র জানায়, বনানী উড়ালসড়ক নির্মাণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১০ সালের মার্চে। কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি। প্রকল্প প্রস্তাবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালের জুনে। তবে ছয় মাস আগেই নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হলেও এটি এখনই ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, মিরপুরের মাটিকাটা থেকে জিয়া কলোনি পর্যন্ত আরেকটি উড়ালসড়কের কাজ চলছে। সেটি আগামী মার্চে শেষ হতে পারে। এটি চালু হলে বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে মিরপুরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
ছয় লেনের বনানী উড়ালসড়কটি প্রস্থে ২২ দশমিক ৫২ মিটার। আর্মি স্টেডিয়ামের কাছ থেকে উড়ালসড়কের শুরু। বনানী-বিমানবন্দর সড়কের ওপর দিয়ে রেললাইন পার হয়ে সেটি শেষ হয়েছে নৌবাহিনীর অফিসার্স মেসের কাছে গিয়ে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মিরপুর মাটিকাটা থেকে জিয়া কলোনি পর্যন্ত ১ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক প্রকল্পটিও সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা।
চার ‘ইউ’ লুপ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বনানী উড়ালসড়ক, কুড়িল উড়ালসড়ক ও ঢাকা উড়ালসড়ক তিনটি প্রকল্পের শুরু কিংবা শেষ দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বনানী ও কুড়িলের যানজট কাকলী এসে ছড়িয়ে পড়বে। কারণ, মিরপুর, প্রগতি সরণি, উত্তরা হয়ে আসা সব যানবাহনের চাপ পড়বে কাকলীতে। আবার মহাখালী হয়ে বনানী বা গুলশানমুখী যানবাহনগুলোও কাকলী বা চেয়ারম্যান বাড়ি দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে থাকে। এ অবস্থায় দুই দিকের যানবাহনের চাপে কাকলী বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
বিমানবন্দর সড়কের যানবাহনের চলাচল যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য গুলশান ও বনানীমুখী যানবাহনগুলোকে উড়ালসেতু দিয়ে পারাপারের প্রস্তাব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এটাকে তাঁরা বলছেন, ‘ইউ’ লুপ। মহাখালী উড়ালসেতু থেকে কাকলী পর্যন্ত চারটি ইউ লুপ নির্মাণে একটি প্রকল্পও নিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা। এখনো এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করতে পারেনি সরকার।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মাটিকাটা-জিয়া কলোনি উড়ালসড়ক, বনানী উড়ালসড়ক ও সংযোগ সড়ক চালু হলে মিরপুরের মানুষ দ্রুত বিমানবন্দর সড়কে আসতে পারবে। মহাখালী-বিমানবন্দর পথেও রেলক্রসিংয়ে যানজটে পড়তে হবে না। তবে কাকলীতে সমস্যা হতে পারে। সে জন্যই ‘ইউ’ লুপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনানী উড়ালসড়কের উদ্বোধন করবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।
প্রকল্পটি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নেওয়া। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই উড়ালসড়ক নির্মাণ করেছে। ৮০৪ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কটি নির্মিত হয়েছে বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর। এতে ব্যয় হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। আর সংযোগ সড়কটি হচ্ছে বনানী উড়ালসেতু ও মিরপুর উড়ালসড়কের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য। এটির দৈর্ঘ্য ৫৬০ মিটার, ব্যয় হবে ৩০ কোটি টাকা।
সওজ সূত্র জানায়, বনানী উড়ালসড়ক নির্মাণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১০ সালের মার্চে। কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি। প্রকল্প প্রস্তাবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালের জুনে। তবে ছয় মাস আগেই নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হলেও এটি এখনই ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, মিরপুরের মাটিকাটা থেকে জিয়া কলোনি পর্যন্ত আরেকটি উড়ালসড়কের কাজ চলছে। সেটি আগামী মার্চে শেষ হতে পারে। এটি চালু হলে বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে মিরপুরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
ছয় লেনের বনানী উড়ালসড়কটি প্রস্থে ২২ দশমিক ৫২ মিটার। আর্মি স্টেডিয়ামের কাছ থেকে উড়ালসড়কের শুরু। বনানী-বিমানবন্দর সড়কের ওপর দিয়ে রেললাইন পার হয়ে সেটি শেষ হয়েছে নৌবাহিনীর অফিসার্স মেসের কাছে গিয়ে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মিরপুর মাটিকাটা থেকে জিয়া কলোনি পর্যন্ত ১ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক প্রকল্পটিও সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা।
চার ‘ইউ’ লুপ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বনানী উড়ালসড়ক, কুড়িল উড়ালসড়ক ও ঢাকা উড়ালসড়ক তিনটি প্রকল্পের শুরু কিংবা শেষ দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বনানী ও কুড়িলের যানজট কাকলী এসে ছড়িয়ে পড়বে। কারণ, মিরপুর, প্রগতি সরণি, উত্তরা হয়ে আসা সব যানবাহনের চাপ পড়বে কাকলীতে। আবার মহাখালী হয়ে বনানী বা গুলশানমুখী যানবাহনগুলোও কাকলী বা চেয়ারম্যান বাড়ি দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে থাকে। এ অবস্থায় দুই দিকের যানবাহনের চাপে কাকলী বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
বিমানবন্দর সড়কের যানবাহনের চলাচল যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য গুলশান ও বনানীমুখী যানবাহনগুলোকে উড়ালসেতু দিয়ে পারাপারের প্রস্তাব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এটাকে তাঁরা বলছেন, ‘ইউ’ লুপ। মহাখালী উড়ালসেতু থেকে কাকলী পর্যন্ত চারটি ইউ লুপ নির্মাণে একটি প্রকল্পও নিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা। এখনো এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করতে পারেনি সরকার।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মাটিকাটা-জিয়া কলোনি উড়ালসড়ক, বনানী উড়ালসড়ক ও সংযোগ সড়ক চালু হলে মিরপুরের মানুষ দ্রুত বিমানবন্দর সড়কে আসতে পারবে। মহাখালী-বিমানবন্দর পথেও রেলক্রসিংয়ে যানজটে পড়তে হবে না। তবে কাকলীতে সমস্যা হতে পারে। সে জন্যই ‘ইউ’ লুপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
No comments