মেধাবী মুখ- শীর্ষ ছোঁয়ার গল্প by মারুফ ইসলাম
চতুর্থ শ্রেণীর গণিত পরীক্ষার ফলাফল দেখানো হচ্ছে। বাবা গেছেন স্কুলে সেই ফল দেখতে। ছোট্ট সাবরিনার বুক তাই ভয়ে দুর দুর—কী জানি কী হয়! আর সব পরীক্ষা ভালো হলেও গণিত পরীক্ষা যে হয়েছে ‘যাচ্ছেতাই...’! কিন্তু বাবা ফিরলেন বেশ হাসিমুখেই।
দুই কান বিস্তৃত সেই হাসি ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘মা, তুমি গণিতে ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছ “০২”! তাতে কী! মন খারাপ কোরো না। আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি, ভবিষ্যতে তুমিই হবে সবার চেয়ে সেরা।’
বাবার বলা সেদিনের কথা নিছক সান্ত্বনার বাণী ছিল না। পরের বছরই সাবরিনা নামের সেই ছোট্ট মেয়েটি, যার পুরো নাম সাবরিনা শামীন আলম, বাবার কথাকে সত্যে পরিণত করেছিলে পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পাওয়ার মাধ্যমে। তারপর শুধুই সেরা ফলাফলের ধরাবাহিকতা রক্ষার পালা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে সেরা ফল নিয়ে পাস করেন সাবরিনা। ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে। এখানেও সাবরিনা তাঁর অনন্যপ্রতিভার স্বাক্ষর রেখে নিজেকে তুলে ধরেন আরও উচ্চতায়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর—দুই পর্যায়ে, বিভাগে তো বটেই, সমগ্র অনুষদেই তিনি প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এই সাফল্যের পথ ধরে সম্প্রতি তাঁর গৌরবের পালকে এসে যুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদক।
গৌরবোজ্জ্বল এই মেধাবী শিক্ষার্থীর কাছে তাই আমাদের স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা, এই কৃতিত্বের রহস্য কী? প্রশ্ন শুনে সাবরিনা হেসে ফেলেন। বলেন, ‘রহস্য-টহস্য কিছু আছে কি না জানি না। তবে আমি নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কখনো পড়ালেখা করিনি। যখন পড়তে ভালো লেগেছে, তখন একটানা পড়ে গেছি ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। আবার যখন পড়তে মন চায়নি, তখন এক অক্ষরও পড়িনি। হ্যাঁ, আমি ক্লাস করেছি নিয়মিত। আর ক্লাসে শিক্ষক যে বিষয়টা পড়াতেন সে বিষয় সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করতাম ইন্টারনেটে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নাল পড়ে। আমার পরীক্ষার খাতায় থাকত সেসব তথ্যের প্রতিফলন। তাই নম্বর পেতাম বেশি।’ একটানা কথাগুলো বলে একটু থামেন তিনি। এই সুযোগে আমরা প্রকাশ করি আমাদের সন্দেহ, তবে নিশ্চয় পড়ালেখার বাইরে আর কোনো জগৎ নেই আপনার...। ‘কে বলল অন্য জগৎ নেই?’ আমাদের মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বলতে শুরু করেন, ‘ছোটবেলায় গান শিখতাম। তাই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত গান গেয়েছি। সেই অভ্যাস এখনো আছে। অবসর পেলেই হারমোনিয়াম নিয়ে বসি।’
সত্যিই সাবরিনার এখন অবসর কম। সম্প্রতি নিজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ায় ব্যস্ততা বেড়ে গেছে বহুগুণ। তার পরও মা-বাবার কাছে সাবরিনা তো ছোট্ট মেয়েটিই, যিনি এখনো বেশ আদুরে গলায় বলতে পারেন, ‘সময় পেলেই বাবা, মা আর বোনদের সঙ্গে মেতে উঠি খুনসুটিতে। অনেক মজা করি। তাদের কাছে কখনোই বড় হতে চাই না আমি।’
বাবার বলা সেদিনের কথা নিছক সান্ত্বনার বাণী ছিল না। পরের বছরই সাবরিনা নামের সেই ছোট্ট মেয়েটি, যার পুরো নাম সাবরিনা শামীন আলম, বাবার কথাকে সত্যে পরিণত করেছিলে পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পাওয়ার মাধ্যমে। তারপর শুধুই সেরা ফলাফলের ধরাবাহিকতা রক্ষার পালা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে সেরা ফল নিয়ে পাস করেন সাবরিনা। ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে। এখানেও সাবরিনা তাঁর অনন্যপ্রতিভার স্বাক্ষর রেখে নিজেকে তুলে ধরেন আরও উচ্চতায়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর—দুই পর্যায়ে, বিভাগে তো বটেই, সমগ্র অনুষদেই তিনি প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এই সাফল্যের পথ ধরে সম্প্রতি তাঁর গৌরবের পালকে এসে যুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদক।
গৌরবোজ্জ্বল এই মেধাবী শিক্ষার্থীর কাছে তাই আমাদের স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা, এই কৃতিত্বের রহস্য কী? প্রশ্ন শুনে সাবরিনা হেসে ফেলেন। বলেন, ‘রহস্য-টহস্য কিছু আছে কি না জানি না। তবে আমি নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কখনো পড়ালেখা করিনি। যখন পড়তে ভালো লেগেছে, তখন একটানা পড়ে গেছি ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। আবার যখন পড়তে মন চায়নি, তখন এক অক্ষরও পড়িনি। হ্যাঁ, আমি ক্লাস করেছি নিয়মিত। আর ক্লাসে শিক্ষক যে বিষয়টা পড়াতেন সে বিষয় সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করতাম ইন্টারনেটে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নাল পড়ে। আমার পরীক্ষার খাতায় থাকত সেসব তথ্যের প্রতিফলন। তাই নম্বর পেতাম বেশি।’ একটানা কথাগুলো বলে একটু থামেন তিনি। এই সুযোগে আমরা প্রকাশ করি আমাদের সন্দেহ, তবে নিশ্চয় পড়ালেখার বাইরে আর কোনো জগৎ নেই আপনার...। ‘কে বলল অন্য জগৎ নেই?’ আমাদের মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বলতে শুরু করেন, ‘ছোটবেলায় গান শিখতাম। তাই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত গান গেয়েছি। সেই অভ্যাস এখনো আছে। অবসর পেলেই হারমোনিয়াম নিয়ে বসি।’
সত্যিই সাবরিনার এখন অবসর কম। সম্প্রতি নিজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ায় ব্যস্ততা বেড়ে গেছে বহুগুণ। তার পরও মা-বাবার কাছে সাবরিনা তো ছোট্ট মেয়েটিই, যিনি এখনো বেশ আদুরে গলায় বলতে পারেন, ‘সময় পেলেই বাবা, মা আর বোনদের সঙ্গে মেতে উঠি খুনসুটিতে। অনেক মজা করি। তাদের কাছে কখনোই বড় হতে চাই না আমি।’
No comments