বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর-বিতর্ক- প্রতিশ্রুতি বনাম নিরাপত্তা by তারেক মাহমুদ
প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো শহরে তালেবানের বোমা হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা, স্কুলবাসে উঠে মালালা ইউসুফজাইয়ের মতো ছোট্ট কিশোরীকে গুলি করা, বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় রকেট হামলা, আত্মঘাতী হামলা করে মন্ত্রীকে হত্যা—দুনিয়ার সামনে এই হলো সর্বসাম্প্রতিক পাকিস্তান।
সেই পাকিস্তানে সফরে যেতে হতে পারে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলকে। কেন? কারণ, পাকিস্তান ক্রিকেটের বন্ধ দুয়ারটি খুলতে হবে। এই দুয়ারও বন্ধ হয়েছিল এক সন্ত্রাসী হামলার কারণে। ২০০৯ সালের ৩ মার্চ লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর বন্দুকধারীরা হামলা করেছিল তখন।
সন্ত্রাস-উন্মত্ত এই পাকিস্তানকে ‘নিরাপদ ভ্যেনু’ দেখানো এখন পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে তাদের ‘পাশে দাঁড়িয়েছেন’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহসভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। দায়িত্বে থাকাকালে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে দেশে দল পাঠানোর।
সৌজন্য বিবেচনায় বিসিবির ওপর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায় আছে। বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসানও সম্প্রতি বিবিসি বাংলা রেডিওকে বলেছেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর করা উচিত। তবে পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলেই কেবল বাংলাদেশ দল যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এই সিরিজের জন্য নিরপেক্ষ ম্যাচ কর্মকর্তা পাঠাবে কি না, সেই প্রশ্নকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রেখেছেন নাজমুল হাসান।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত আইসিসির অবস্থানটাই বড় হয়ে উঠবে। আর তা-ই হতে পারে বিসিবির জন্য পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ঢাল।
বিসিবি অবশ্য আগেও বলেছে, বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের অন্যতম শর্ত, সিরিজটা হতে হবে আর দশটা আদর্শ সিরিজের মতো।
সেখানে নিরপেক্ষ আম্পায়ার থাকবেন, আইসিসি ম্যাচ রেফারি পাঠাবে। আইসিসি যদি সিরিজের জন্য ম্যাচ কর্মকর্তা না পাঠায়, তাহলে পরিষ্কার হয়ে যাবে, পাকিস্তানকে নিরাপদ মনে করছে না তারাও। তাহলে নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ দল কেন ২২ গজের গিনিপিগ হবে? এই যুক্তিটাকেই হয়তো তখন ব্যবহার করবে ‘প্রতিশ্রুতিদানকারী বিসিবি’।
কোনো প্রতিশ্রুতি কি আসলেই দিয়েছিলেন মুস্তফা কামাল? সূত্র জানিয়েছে. গত ৮ অক্টোবর কলম্বোতে অনুষ্ঠিত আইসিসির যে সভায় মুস্তফা কামালকে ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের জন্য আইসিসির সহসভাপতি মনোনীত করা হলো, সে সভার আগে সমর্থনের বিনিময়ে বিসিবির কাছ থেকে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি চায় পিসিবি। বিসিবির কর্মকর্তাদের ভাষায় ওটা ছিল ‘পিসিবির ব্ল্যাকমেইলিং’। ওই পদটি পেতে শেষ পর্যন্ত এই ডিসেম্বরে পাকিস্তান সফরের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন মুস্তফা কামাল। পরে অবশ্য বাংলাদেশের ইচ্ছাতেই সফরের তারিখ নির্ধারণ হয় জানুয়ারিতে। সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, আগামী ১২ ও ১৩ জানুয়ারি লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশ দলের।
পিসিবিকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মুস্তফা কামাল। গত সোমবার টেলিফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই আমি বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের উদ্যোগ নিই এবং পিসিবিকে সফরের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিই।’ এই প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন বিসিবির সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই। মুস্তফা কামাল স্বীকার করেছেন সেটাও। তবে বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর আমি বিষয়টা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলি। বোর্ড তাতে অনুমোদন দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বোর্ড অনুমোদন না দিলে আমরা নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল নিয়ে পাকিস্তানে গেলাম কীভাবে? বিসিবি এবং সরকারের সম্মতি নিয়েই নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে গেছে।’
তবে দেশে ফিরে ওই পর্যবেক্ষক দল পাকিস্তানের নিরাপত্তার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো মতামত দেয়নি বলে জানা গিয়েছিল তখন।
বিসিবিকে ‘ফাঁদে’ ফেলে পাকিস্তান সফর নিশ্চিত করাতে সম্প্রতি আরেকটা কৌশলও নিয়েছে পিসিবি। সে দেশের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে না গেলে আসন্ন বিপিএলে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের খেলতে দেবে না তারা। পিসিবি থেকে এ রকম একটা চিঠিও বিসিবিকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর হয়েছে। তবে বিসিবি এ ধরনের কোনো চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। বিপিএলের নিলামে উঠেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা, বিক্রিও হয়েছেন। তবে খেলতে আসার আগে তাদের চূড়ান্ত অনুমতি তো নিতে হবে পিসিবি থেকেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির অনেক কর্মকর্তাই বলেন, তাঁরা পাকিস্তান সফরের পক্ষে নন। এমনকি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রসঙ্গটি বোর্ড সভার আলোচনায় উঠলে ‘না’ ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারও ব্যক্তিগতভাবে ‘না’ ভোটই দিয়ে রেখেছেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি আমার সন্তানকে যখন নিরাপদ মনে করব, তখনই তাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেব। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, পাকিস্তানের বর্তমান যা অবস্থা, তা আমার কাছে এখনো ভালো মনে হয় না। সে ক্ষেত্রে দেখব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী বলেন।’
দিন কয়েক আগে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাবেক বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীও পূর্ণ নিরাপত্তা না পেলে পাকিস্তান যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন। আর পূর্ণ নিরাপত্তা পেলে বাংলাদেশ দল কেন পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সফর করবে না, তুলেছেন সে প্রশ্নও।
পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবি এখনো চূড়ান্ত কিছু না বললেও তাদের আগ বাড়িয়ে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছে পিসিবি। সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম থেকে শুরু করে পিসিবির প্রধান জাকা আশরাফও এমন একটি ‘সিদ্ধান্ত’ নেওয়ায় বিসিবিকে অভিনন্দনে সিক্ত করেছেন। তবে সে অভিনন্দন এখনই নিতে রাজি নন বিসিবি কর্মকর্তারা।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস গত সোমবার বলেছেন, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে আইসিসির পর্যবেক্ষণ, নিরপেক্ষ ম্যাচ কর্মকর্তা পাঠনোর সিদ্ধান্ত এবং সরকারি সম্মতির ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর।’
সন্ত্রাস-উন্মত্ত এই পাকিস্তানকে ‘নিরাপদ ভ্যেনু’ দেখানো এখন পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে তাদের ‘পাশে দাঁড়িয়েছেন’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহসভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। দায়িত্বে থাকাকালে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে দেশে দল পাঠানোর।
সৌজন্য বিবেচনায় বিসিবির ওপর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায় আছে। বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসানও সম্প্রতি বিবিসি বাংলা রেডিওকে বলেছেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর করা উচিত। তবে পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলেই কেবল বাংলাদেশ দল যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এই সিরিজের জন্য নিরপেক্ষ ম্যাচ কর্মকর্তা পাঠাবে কি না, সেই প্রশ্নকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রেখেছেন নাজমুল হাসান।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত আইসিসির অবস্থানটাই বড় হয়ে উঠবে। আর তা-ই হতে পারে বিসিবির জন্য পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ঢাল।
বিসিবি অবশ্য আগেও বলেছে, বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের অন্যতম শর্ত, সিরিজটা হতে হবে আর দশটা আদর্শ সিরিজের মতো।
সেখানে নিরপেক্ষ আম্পায়ার থাকবেন, আইসিসি ম্যাচ রেফারি পাঠাবে। আইসিসি যদি সিরিজের জন্য ম্যাচ কর্মকর্তা না পাঠায়, তাহলে পরিষ্কার হয়ে যাবে, পাকিস্তানকে নিরাপদ মনে করছে না তারাও। তাহলে নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ দল কেন ২২ গজের গিনিপিগ হবে? এই যুক্তিটাকেই হয়তো তখন ব্যবহার করবে ‘প্রতিশ্রুতিদানকারী বিসিবি’।
কোনো প্রতিশ্রুতি কি আসলেই দিয়েছিলেন মুস্তফা কামাল? সূত্র জানিয়েছে. গত ৮ অক্টোবর কলম্বোতে অনুষ্ঠিত আইসিসির যে সভায় মুস্তফা কামালকে ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের জন্য আইসিসির সহসভাপতি মনোনীত করা হলো, সে সভার আগে সমর্থনের বিনিময়ে বিসিবির কাছ থেকে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি চায় পিসিবি। বিসিবির কর্মকর্তাদের ভাষায় ওটা ছিল ‘পিসিবির ব্ল্যাকমেইলিং’। ওই পদটি পেতে শেষ পর্যন্ত এই ডিসেম্বরে পাকিস্তান সফরের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন মুস্তফা কামাল। পরে অবশ্য বাংলাদেশের ইচ্ছাতেই সফরের তারিখ নির্ধারণ হয় জানুয়ারিতে। সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, আগামী ১২ ও ১৩ জানুয়ারি লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশ দলের।
পিসিবিকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মুস্তফা কামাল। গত সোমবার টেলিফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই আমি বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের উদ্যোগ নিই এবং পিসিবিকে সফরের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিই।’ এই প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন বিসিবির সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই। মুস্তফা কামাল স্বীকার করেছেন সেটাও। তবে বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর আমি বিষয়টা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলি। বোর্ড তাতে অনুমোদন দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বোর্ড অনুমোদন না দিলে আমরা নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল নিয়ে পাকিস্তানে গেলাম কীভাবে? বিসিবি এবং সরকারের সম্মতি নিয়েই নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে গেছে।’
তবে দেশে ফিরে ওই পর্যবেক্ষক দল পাকিস্তানের নিরাপত্তার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো মতামত দেয়নি বলে জানা গিয়েছিল তখন।
বিসিবিকে ‘ফাঁদে’ ফেলে পাকিস্তান সফর নিশ্চিত করাতে সম্প্রতি আরেকটা কৌশলও নিয়েছে পিসিবি। সে দেশের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে না গেলে আসন্ন বিপিএলে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের খেলতে দেবে না তারা। পিসিবি থেকে এ রকম একটা চিঠিও বিসিবিকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর হয়েছে। তবে বিসিবি এ ধরনের কোনো চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। বিপিএলের নিলামে উঠেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা, বিক্রিও হয়েছেন। তবে খেলতে আসার আগে তাদের চূড়ান্ত অনুমতি তো নিতে হবে পিসিবি থেকেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির অনেক কর্মকর্তাই বলেন, তাঁরা পাকিস্তান সফরের পক্ষে নন। এমনকি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রসঙ্গটি বোর্ড সভার আলোচনায় উঠলে ‘না’ ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারও ব্যক্তিগতভাবে ‘না’ ভোটই দিয়ে রেখেছেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি আমার সন্তানকে যখন নিরাপদ মনে করব, তখনই তাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেব। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, পাকিস্তানের বর্তমান যা অবস্থা, তা আমার কাছে এখনো ভালো মনে হয় না। সে ক্ষেত্রে দেখব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী বলেন।’
দিন কয়েক আগে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাবেক বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীও পূর্ণ নিরাপত্তা না পেলে পাকিস্তান যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন। আর পূর্ণ নিরাপত্তা পেলে বাংলাদেশ দল কেন পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সফর করবে না, তুলেছেন সে প্রশ্নও।
পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবি এখনো চূড়ান্ত কিছু না বললেও তাদের আগ বাড়িয়ে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছে পিসিবি। সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম থেকে শুরু করে পিসিবির প্রধান জাকা আশরাফও এমন একটি ‘সিদ্ধান্ত’ নেওয়ায় বিসিবিকে অভিনন্দনে সিক্ত করেছেন। তবে সে অভিনন্দন এখনই নিতে রাজি নন বিসিবি কর্মকর্তারা।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস গত সোমবার বলেছেন, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে আইসিসির পর্যবেক্ষণ, নিরপেক্ষ ম্যাচ কর্মকর্তা পাঠনোর সিদ্ধান্ত এবং সরকারি সম্মতির ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর।’
No comments