সিএনএনের বিশ্লেষণ- অস্ত্র নিরাপত্তার চেয়ে বিপদ ঘটায় বেশি
যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক নাগরিক নিজের সঙ্গে অস্ত্র রাখতে পারেন। তবে এই অস্ত্র নিরাপত্তার চেয়ে বিপদ ঘটায় বেশি। নিজের নিরাপত্তার কথা বলে অস্ত্র রাখা হলেও আদৌ তা নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় না।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে। সম্প্রতি ওই তথ্য আরও প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটে ১৪ ডিসেম্বর অ্যাডাম ল্যানজা নামের এক ব্যক্তি স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ঢুকে গুলি চালিয়ে শিশুসহ ২৬ জনকে হত্যা করেন। পরে মাথায় গুলি চালিয়ে নিজে আত্মহত্যা করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিরোধী প্রভাবশালী অনেক গোষ্ঠী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করার বিরুদ্ধে। এমন প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)। স্যান্ডি হুক স্কুলে এত বড় হত্যাযজ্ঞের পরও এনআরএ কৌশলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করার বিরোধিতা করে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এনআরএর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা লাপিয়ের বলেন, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে বিদ্যালয়গুলোতে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি সমাজে নাগরিক ও অপরাধী—দুই শ্রেণীর লোক আছে। সমাজের জন্য অপরাধীরা সব সময় হুমকি। নাগরিকেরা নিজের সঙ্গে অস্ত্র না রাখলে অপরাধীদের অস্ত্রের শিকার হতে পারেন।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ অনেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করার পক্ষে। এই আইন করা না-করা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই গত শুক্রবার পেনসিলভানিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বন্দুকধারীর গুলিতে চার ব্যক্তি নিহত হন। এরপর গত সোমবার এক বন্দুকধারী ‘ফাঁদ পেতে’ দুই দমকল কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১০০ জনে ৮৯ জন নাগরিক সঙ্গে অস্ত্র রাখেন।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একদল গবেষক জানান, আত্মরক্ষার জন্য যাঁরা অস্ত্র রাখেন, তা আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহারই করা হয় না বলা যায়। গবেষণায় তাঁরা নিরাপত্তার স্বার্থে অস্ত্র রাখেন—এমন অনেক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেন। কখনো অস্ত্র ব্যবহার করেননি, এমন ব্যক্তিরও সাক্ষাৎকার নেন গবেষকেরা। গবেষণায় দেখা যায়, আত্মরক্ষার কথা বলে নেওয়া অস্ত্র আত্মরক্ষার জন্য নয়, বরং হুমকি ও ভয় দেখানোর জন্যই ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের অনেক অস্ত্রই অবৈধ বা সমাজবিরোধী কাজে ব্যবহূত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটে ১৪ ডিসেম্বর অ্যাডাম ল্যানজা নামের এক ব্যক্তি স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ঢুকে গুলি চালিয়ে শিশুসহ ২৬ জনকে হত্যা করেন। পরে মাথায় গুলি চালিয়ে নিজে আত্মহত্যা করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিরোধী প্রভাবশালী অনেক গোষ্ঠী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করার বিরুদ্ধে। এমন প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)। স্যান্ডি হুক স্কুলে এত বড় হত্যাযজ্ঞের পরও এনআরএ কৌশলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন করার বিরোধিতা করে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এনআরএর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা লাপিয়ের বলেন, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে বিদ্যালয়গুলোতে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি সমাজে নাগরিক ও অপরাধী—দুই শ্রেণীর লোক আছে। সমাজের জন্য অপরাধীরা সব সময় হুমকি। নাগরিকেরা নিজের সঙ্গে অস্ত্র না রাখলে অপরাধীদের অস্ত্রের শিকার হতে পারেন।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ অনেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করার পক্ষে। এই আইন করা না-করা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই গত শুক্রবার পেনসিলভানিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বন্দুকধারীর গুলিতে চার ব্যক্তি নিহত হন। এরপর গত সোমবার এক বন্দুকধারী ‘ফাঁদ পেতে’ দুই দমকল কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১০০ জনে ৮৯ জন নাগরিক সঙ্গে অস্ত্র রাখেন।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একদল গবেষক জানান, আত্মরক্ষার জন্য যাঁরা অস্ত্র রাখেন, তা আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহারই করা হয় না বলা যায়। গবেষণায় তাঁরা নিরাপত্তার স্বার্থে অস্ত্র রাখেন—এমন অনেক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেন। কখনো অস্ত্র ব্যবহার করেননি, এমন ব্যক্তিরও সাক্ষাৎকার নেন গবেষকেরা। গবেষণায় দেখা যায়, আত্মরক্ষার কথা বলে নেওয়া অস্ত্র আত্মরক্ষার জন্য নয়, বরং হুমকি ও ভয় দেখানোর জন্যই ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের অনেক অস্ত্রই অবৈধ বা সমাজবিরোধী কাজে ব্যবহূত হতে পারে।
No comments