আওয়ামী লীগকে যৌক্তিক হতে হবে- সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস
জাতীয় সংসদের আসন পুনর্বিন্যাসের আলোচনা গত বছর শুরু হয়ে এখনো অমীমাংসিতই রয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কমিশনে রদবদল হয়েছে, কিন্তু কাজ এগোয়নি। সরকারি দলের আপত্তিতে প্রশ্নটি ঘিরে বিতর্ক ঘনীভূত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ বলছে, ২০১৮ সালের আগে কোনো পুনর্বিন্যাস নয়। অন্যদিকে বিএনপির মিত্ররা এখনই ৩০-৩৫টি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন বলে দাবি করছে। বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনও মনে করে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন।
বিদ্যমান সীমানাবিন্যাসটি করা হয় গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, ২০০৮ সালে। সে সময় কোথাও বাড়িয়ে আবার কোথাও কমিয়ে মোট ১৩০টি আসনের সীমানা ওলটপালট হয়ে যায়। এতে বিশৃঙ্খলারও সৃষ্টি হয়। একদিকে বিশৃঙ্খলা দূর করা, অন্যদিকে সবার জন্য নির্বাচনী প্রতিযোগিতার মাঠ সমান করা তাই সময়েরই দাবি। পাশাপাশি ১৯৭৬ সালের সীমানাসংক্রান্ত অধ্যাদেশ বলছে, আদমশুমারির পরপরই সীমানা পুনর্বিন্যাস করা বাঞ্ছনীয়। আইনে এ ব্যাপারে জনসংখ্যাকেই প্রধান শর্ত বলা হয়েছে। মুশকিল হচ্ছে, পরবর্তী আদমশুমারি ২০২১ সালের আগে হবে না। তাই আওয়ামী লীগের প্রস্তাব মানলে ২০১৮ সালের পর পুনর্বিন্যাস করলে আইনগত ও বাস্তব জটিলতা আরও বাড়বে বই কমবে না। প্রক্ষেপণ ভিত্তিতে হিসাব করলে সে সময়ের জনসংখ্যা এখনকার থেকে দুই কোটি বেশি অর্থাৎ ১৭ কোটি হবে। সুতরাং সরকারি দলের দাবি মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনও স্বীকার করেছে, ২০০৮ সালের সীমানাবিন্যাসে ত্রুটি রয়ে গিয়েছিল। যেমন জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক এলাকার ভোটারদের অন্য প্রশাসনিক এলাকার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে সেসব এলাকার ভোটাররা অসহায় বোধ করেন। তাই সীমানা পুনর্বিন্যাসে জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক অখণ্ডতাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভাগ করলে ঢাকা জেলার আসন ২৫টি হওয়ার কথা। বর্তমানে রয়েছে ২০টি আসন। ২০০৮ সালে মোট আসন ছিল মাত্র আটটি। প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং নির্বাচনী ঐতিহ্য বিবেচনায় নিলে ঢাকার আসন ১০টিতে সীমাবদ্ধ করতে হবে। এর জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা করেছিলেন। কিন্তু আইন কমিশন সেই প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা প্রায় শেষ। এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পালা। বিএনপি এই আলোচনায় অংশ না নিলেও দলটি ৩০-৩৫টি আসনের পুনর্বিন্যাস চায় বলে গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় শিরোনাম হয়েছে। অন্য দলগুলোও এখনই পরিবর্তন চায়। এ ক্ষেত্রে সরকারের একগুঁয়েপনা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাধা হিসেবে গণ্য হতে পারে। নির্বাচনের জন্য সময় রয়েছে আর মাত্র ১০ মাস। যা করার এখনই না করলে জটিলতা ও সমস্যা বাড়বে। সরকার কি তার দায় নিতে রাজি?
বিদ্যমান সীমানাবিন্যাসটি করা হয় গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, ২০০৮ সালে। সে সময় কোথাও বাড়িয়ে আবার কোথাও কমিয়ে মোট ১৩০টি আসনের সীমানা ওলটপালট হয়ে যায়। এতে বিশৃঙ্খলারও সৃষ্টি হয়। একদিকে বিশৃঙ্খলা দূর করা, অন্যদিকে সবার জন্য নির্বাচনী প্রতিযোগিতার মাঠ সমান করা তাই সময়েরই দাবি। পাশাপাশি ১৯৭৬ সালের সীমানাসংক্রান্ত অধ্যাদেশ বলছে, আদমশুমারির পরপরই সীমানা পুনর্বিন্যাস করা বাঞ্ছনীয়। আইনে এ ব্যাপারে জনসংখ্যাকেই প্রধান শর্ত বলা হয়েছে। মুশকিল হচ্ছে, পরবর্তী আদমশুমারি ২০২১ সালের আগে হবে না। তাই আওয়ামী লীগের প্রস্তাব মানলে ২০১৮ সালের পর পুনর্বিন্যাস করলে আইনগত ও বাস্তব জটিলতা আরও বাড়বে বই কমবে না। প্রক্ষেপণ ভিত্তিতে হিসাব করলে সে সময়ের জনসংখ্যা এখনকার থেকে দুই কোটি বেশি অর্থাৎ ১৭ কোটি হবে। সুতরাং সরকারি দলের দাবি মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনও স্বীকার করেছে, ২০০৮ সালের সীমানাবিন্যাসে ত্রুটি রয়ে গিয়েছিল। যেমন জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক এলাকার ভোটারদের অন্য প্রশাসনিক এলাকার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে সেসব এলাকার ভোটাররা অসহায় বোধ করেন। তাই সীমানা পুনর্বিন্যাসে জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক অখণ্ডতাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভাগ করলে ঢাকা জেলার আসন ২৫টি হওয়ার কথা। বর্তমানে রয়েছে ২০টি আসন। ২০০৮ সালে মোট আসন ছিল মাত্র আটটি। প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং নির্বাচনী ঐতিহ্য বিবেচনায় নিলে ঢাকার আসন ১০টিতে সীমাবদ্ধ করতে হবে। এর জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা করেছিলেন। কিন্তু আইন কমিশন সেই প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা প্রায় শেষ। এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পালা। বিএনপি এই আলোচনায় অংশ না নিলেও দলটি ৩০-৩৫টি আসনের পুনর্বিন্যাস চায় বলে গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় শিরোনাম হয়েছে। অন্য দলগুলোও এখনই পরিবর্তন চায়। এ ক্ষেত্রে সরকারের একগুঁয়েপনা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাধা হিসেবে গণ্য হতে পারে। নির্বাচনের জন্য সময় রয়েছে আর মাত্র ১০ মাস। যা করার এখনই না করলে জটিলতা ও সমস্যা বাড়বে। সরকার কি তার দায় নিতে রাজি?
No comments