রেলওয়ের উন্নয়ন-মনোযোগ দিতে হবে এখনই
যখন দেশের মানুষ বাড়ছে, বাড়ছে মানুষের যাতায়াত; যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির কোনো বিকল্প যখন নেই, তখন নিতান্তই অবহেলার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রেলওয়ে। এখানে বারবার মন্ত্রী বদল হয়েছে, কিন্তু তাতে রেলওয়ের ভাগ্য বদল হয়নি। রেলওয়ের জমি ও সম্পদ বেহাত হয়েছে।
বন্ধ হয়েছে রেলস্টেশন। কমেছে রেলপথ। সড়কপথে দেদার টাকা ঢালা হলেও রেলপথের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়নি। যেখানে গত চার দশকে দেশে সড়কপথ বেড়েছে, সেখানে কমেছে রেলপথ। সব মিলিয়ে রেলওয়েকে অযত্নেই রাখা হয়েছে। সেই সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী রেলওয়েকে ব্যবহার করে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলেছে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে ফুটে উঠেছে তলানিতে চলে যাওয়া রেলওয়ের যাত্রীসেবার চিত্র। ফুটে উঠেছে রেলওয়ের বর্তমান হালহকিকত।
যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ রেলপথই যাত্রীদের কাছে সব সময় প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। বিশ্বজুড়ে নিরাপদ ও পরিবেশসম্মত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে রেলপথ। রেলপথ বিস্তৃত হচ্ছে, মাটির ওপরে চলা রেলপথের পাশাপাশি চালু হয়েছে ভূতল রেল। সেখানে আমাদের দেশের একমাত্র রেলপথও আমরা ঠিক রাখতে পারিনি। প্রতিবেশী দেশ ভারতের যোগাযোগব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রেলপথ। অন্যদিকে আমাদের দেশে রেলপথকে সবচেয়ে অবহেলা করা হয়। রেলওয়েকে ঘিরে একটি দুর্নীতিবাজচক্র সব সময় সক্রিয়।
বাংলাদেশে রেলওয়ের যাত্রা শুরু ১৮৬২ সালে। ভারতে ১৮৫০ সালের আগে কোনো রেলপথ ছিল না। আজ যেখানে ভারতের ৬৫ হাজার কিলোমিটার রেলপথে প্রতিদিন চলছে ১০ হাজার রেলগাড়ি, সেখানে স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে বন্ধ হয়ে গেছে ১৫৩টি স্টেশন! রেলপথ কমেছে ২৩ কিলোমিটার! পরিত্যক্ত হয়েছে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার রেলপথ।
একটি চক্র রেলওয়েকে অকার্যকর করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। রেলওয়ের ভেতরে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। রেলওয়ের দুর্নীতি নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে পত্রপত্রিকায়, কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি। রেলের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বর্তমানে রেলওয়ের উন্নয়নে যে ৪৪টি প্রকল্প চালু রয়েছে, তার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নেই। কোনো প্রকল্পের সুফল ভোগ করতে পারছে না রেলের যাত্রীরা। ট্রেনের সময়সূচিও ঠিক রাখা যাচ্ছে না। প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রেলওয়ের ইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগন তৈরি ও মেরামতের জন্য সারা দেশে ছয়টি কারখানাকে কাজে লাগানোর কোনো উদ্যোগ নেই। আধুনিকায়নে নেই কোনো বিনিয়োগ।
ট্রেন সময়মতো চলছে না। ইঞ্জিনের ঘাটতি রয়েছে। তার পরও আগাম না কাটলে টিকিট পাওয়া যায় না। অর্থাৎ রেলের প্রতি যাত্রীদের আগ্রহ কমেনি; বরং বেড়েছে। এ অবস্থায় রেলওয়েকে বাঁচাতে নতুন করে উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপথ ও স্টেশন চালু করতে হবে। রেলের ইঞ্জিনসংখ্যা বাড়াতে হবে। কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করতে হবে। বাড়াতে হবে রেলের বগির সংখ্যা। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে এ খাত থেকে রাজস্ব বাড়বে।
দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি করতে হলে রেলপথের উন্নতির বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সরকার লাভজনক এই খাতের দিকে দৃষ্টি দেবে।
যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ রেলপথই যাত্রীদের কাছে সব সময় প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। বিশ্বজুড়ে নিরাপদ ও পরিবেশসম্মত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে রেলপথ। রেলপথ বিস্তৃত হচ্ছে, মাটির ওপরে চলা রেলপথের পাশাপাশি চালু হয়েছে ভূতল রেল। সেখানে আমাদের দেশের একমাত্র রেলপথও আমরা ঠিক রাখতে পারিনি। প্রতিবেশী দেশ ভারতের যোগাযোগব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রেলপথ। অন্যদিকে আমাদের দেশে রেলপথকে সবচেয়ে অবহেলা করা হয়। রেলওয়েকে ঘিরে একটি দুর্নীতিবাজচক্র সব সময় সক্রিয়।
বাংলাদেশে রেলওয়ের যাত্রা শুরু ১৮৬২ সালে। ভারতে ১৮৫০ সালের আগে কোনো রেলপথ ছিল না। আজ যেখানে ভারতের ৬৫ হাজার কিলোমিটার রেলপথে প্রতিদিন চলছে ১০ হাজার রেলগাড়ি, সেখানে স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে বন্ধ হয়ে গেছে ১৫৩টি স্টেশন! রেলপথ কমেছে ২৩ কিলোমিটার! পরিত্যক্ত হয়েছে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার রেলপথ।
একটি চক্র রেলওয়েকে অকার্যকর করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। রেলওয়ের ভেতরে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। রেলওয়ের দুর্নীতি নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে পত্রপত্রিকায়, কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি। রেলের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বর্তমানে রেলওয়ের উন্নয়নে যে ৪৪টি প্রকল্প চালু রয়েছে, তার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নেই। কোনো প্রকল্পের সুফল ভোগ করতে পারছে না রেলের যাত্রীরা। ট্রেনের সময়সূচিও ঠিক রাখা যাচ্ছে না। প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রেলওয়ের ইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগন তৈরি ও মেরামতের জন্য সারা দেশে ছয়টি কারখানাকে কাজে লাগানোর কোনো উদ্যোগ নেই। আধুনিকায়নে নেই কোনো বিনিয়োগ।
ট্রেন সময়মতো চলছে না। ইঞ্জিনের ঘাটতি রয়েছে। তার পরও আগাম না কাটলে টিকিট পাওয়া যায় না। অর্থাৎ রেলের প্রতি যাত্রীদের আগ্রহ কমেনি; বরং বেড়েছে। এ অবস্থায় রেলওয়েকে বাঁচাতে নতুন করে উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপথ ও স্টেশন চালু করতে হবে। রেলের ইঞ্জিনসংখ্যা বাড়াতে হবে। কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করতে হবে। বাড়াতে হবে রেলের বগির সংখ্যা। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে এ খাত থেকে রাজস্ব বাড়বে।
দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি করতে হলে রেলপথের উন্নতির বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সরকার লাভজনক এই খাতের দিকে দৃষ্টি দেবে।
No comments