দুদকের রিমান্ডে তিনজনের তথ্য-আরো পাঁচ কর্মকর্তা মাসোয়ারা নিতেন
রিমান্ডে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার তিন কর্মকর্তাই কেবল নন, তথ্য চেপে রাখার বিনিময়ে নিয়মিত মাসোয়ারা নিতেন আরো পাঁচ কর্মকর্তা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তদলের কাছে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন রিমান্ডে থাকা ওই তিন কর্মকর্তা।
দুদক সুত্র জানায়, তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) শাখায় অভিযান চালিয়ে হলমার্কের ঋণসংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।
মাসোয়ারা নেওয়া আরো পাঁচ কর্মকর্তা হলেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) মো. সাইফুল হাসান, এক্সিকিউটিভ অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মোহাম্মদ আবদুল মতিন, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হুমায়ুন কবির, ডিএমডি (বর্তমানে ওএসডি) মো. আতিকুর রহমান এবং জিএম (বর্তমানে ওএসডি) ননী গোপাল নাথ। দুদকের ১১টি মামলায় তাঁরা সবাই আসামি, তবে মামলার পরপরই তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় তল্লাশি অভিযান চালায় দুদকের পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল। অভিযান চলাকালে তদন্ত কমিটির প্রধান ও জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রূপসী বাংলা শাখা থেকেই ব্যাংকিং সেক্টরের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি ঘটায় সেখানে হলমার্কসংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র আমরা জব্দ করতে নেমেছি। একাধিক নথি জব্দ করা হয়েছে। আরো জব্দ করা হবে।'
দুদক সূত্র জানায়, বর্তমানে বরখাস্ত ও ১২ দিনের রিমান্ডে থাকা সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মীর মহিদুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক শেখ আলতাফ হোসেন ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. সফিজউদ্দিন আহম্মেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নথি উদ্ধার করতে এ অভিযান চালানো হয়। তবে রূপসী বাংলা শাখায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা কৌশলে আগেই নথিপত্র সরিয়ে ফেলেছেন।
দুদক কর্মকর্তারা বলেন, গত সোমবার রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। তথ্য চেপে রাখার বিনিময়ে দুই উপমহাব্যবস্থাপক নিজেরা মাসোয়ারা নিতেন বলে স্বীকার করেন। তাঁরা পাশাপাশি বলেছেন, আরো পাঁচ কর্মকর্তা হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানতেন, কিন্তু মাসোয়ারার বিনিময়ে তাঁরাও এ ব্যাপারে চুপ থাকেন। হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা তাঁদের হাতে পৌঁছে দিতেন।
প্রসঙ্গত, হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ডিজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) এ কে এম আজিজুর রহমানকে আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে সাতজন হচ্ছেন হলমার্কের এবং ২০ জন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি তানভীর ও তুষার মিরপুর থেকে ৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন। ১৪ অক্টোবর রমনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন আজিজুর রহমান এবং ১৮ নভেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে তানভীরের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম গ্রেপ্তার হন। এই চারজন রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে রয়েছেন। তানভীর, তুষার ও আজিজ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মাসোয়ারা নেওয়া আরো পাঁচ কর্মকর্তা হলেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) মো. সাইফুল হাসান, এক্সিকিউটিভ অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মোহাম্মদ আবদুল মতিন, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হুমায়ুন কবির, ডিএমডি (বর্তমানে ওএসডি) মো. আতিকুর রহমান এবং জিএম (বর্তমানে ওএসডি) ননী গোপাল নাথ। দুদকের ১১টি মামলায় তাঁরা সবাই আসামি, তবে মামলার পরপরই তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় তল্লাশি অভিযান চালায় দুদকের পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল। অভিযান চলাকালে তদন্ত কমিটির প্রধান ও জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রূপসী বাংলা শাখা থেকেই ব্যাংকিং সেক্টরের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি ঘটায় সেখানে হলমার্কসংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র আমরা জব্দ করতে নেমেছি। একাধিক নথি জব্দ করা হয়েছে। আরো জব্দ করা হবে।'
দুদক সূত্র জানায়, বর্তমানে বরখাস্ত ও ১২ দিনের রিমান্ডে থাকা সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মীর মহিদুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক শেখ আলতাফ হোসেন ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. সফিজউদ্দিন আহম্মেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নথি উদ্ধার করতে এ অভিযান চালানো হয়। তবে রূপসী বাংলা শাখায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা কৌশলে আগেই নথিপত্র সরিয়ে ফেলেছেন।
দুদক কর্মকর্তারা বলেন, গত সোমবার রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। তথ্য চেপে রাখার বিনিময়ে দুই উপমহাব্যবস্থাপক নিজেরা মাসোয়ারা নিতেন বলে স্বীকার করেন। তাঁরা পাশাপাশি বলেছেন, আরো পাঁচ কর্মকর্তা হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানতেন, কিন্তু মাসোয়ারার বিনিময়ে তাঁরাও এ ব্যাপারে চুপ থাকেন। হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা তাঁদের হাতে পৌঁছে দিতেন।
প্রসঙ্গত, হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ডিজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) এ কে এম আজিজুর রহমানকে আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে সাতজন হচ্ছেন হলমার্কের এবং ২০ জন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি তানভীর ও তুষার মিরপুর থেকে ৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন। ১৪ অক্টোবর রমনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন আজিজুর রহমান এবং ১৮ নভেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে তানভীরের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম গ্রেপ্তার হন। এই চারজন রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে রয়েছেন। তানভীর, তুষার ও আজিজ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
No comments