চরে চরে পরিযায়ী পাখির উড়াল by নেয়ামতউল্যাহ
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলা। এর তিন দিকে নদী, এক দিকে বঙ্গোপসাগর। দ্বীপটির চারপাশে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, ইলিশা ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীর মাঝে জেগে উঠেছে আরও অসংখ্য দ্বীপ। শীতের বাতাস বইতে শুরু করতেই ভোলায় আসতে থাকে পরিযায়ী পাখি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪৫-৫০ প্রজাতির পরিযায়ী জলচর পাখি ভোলা অঞ্চলে আসছে। আছে দেশি প্রজাতির নানা পাখিও। ভোলার চরাঞ্চলগুলোতে সারা বছরই পাখি দেখা যায়। শুধু চরাঞ্চল নয়, শহরেও সকালে-বিকেলে পাখিদের ওড়াউড়ি চোখে পড়ে। দেশি প্রজাতির বক, শামুকভাঙা, গাংচিল, পানকৌড়ি, শালিক, চড়াই প্রভৃতি পাখি ভোরের প্রথম আলো দেখার আগেই বাসা ছাড়ে। আবার সারা দিন খাবার শেষে বাসায় ফেরে। এসব পাখির বেশির ভাগের আবাস ভোলা শহরে। বাড়ির গাছে-গাছে। শহরে বসেই রকমারি পাখির উড়াল ও সাঁতার উপভোগ করা যাবে।
সরেজমিনে ভোলা সদর উপজেলার চর হোসেন, চরগাজী, চরটকীমারা, ভেলুমিয়া, ইলিশা, পাঙ্গাশিয়া, রাজাপুর, বঙ্গেরচর, গণেশপুর, ভোলাচর, গাজীপুর, মদনপুর, মেদুয়া, হাজীপুর, চর জহিরুদ্দিন, চর নাসরিন, চর ডাম্পিয়ার, কলাতলীর চর, মনপুরা, সোনার চর, বদনার চর, চর নিজাম, ঢাল চর, চর পাতিলা, হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, চর বারি, দমার চর, চর শাহজালাল, ঢাল চর, ভাষাণ চর, চর কুকরি-মুকরিসহ প্রভৃতি জনমানবহীন চরে দলে দলে জলচর পাখি দেখা গেছে। নিচে সোনালি ধান, নীলজল; ওপরে নীলাকাশ, তার মাঝে এসব পরিযায়ী পাখি উড়ছে। খাবারের সন্ধানে কখনো কাদায় নামছে, কখনো জলে ডুব সাঁতার দিচ্ছে। কখনো উজাড় করছে কৃষকের বীজতলা। খুঁটে খাচ্ছে কর্ষিত জমির পোকা। উপকূলীয় জলচর পাখি শুমারি দলের প্রধান পাখি পর্যবেক্ষক ইনাম আল হক প্রথম আলোকে জানান, ১৯৮৭ সাল থেকে তাঁরা উপকূলীয় জলচর পাখি শুমারি করছেন।
শুমারি করতে গিয়ে দেখেছেন, ভোলা অঞ্চলে ৪৫-৫০ প্রজাতির জলচর অতিথি পাখি খাবারের সন্ধানে আসছে; যা বাংলাদেশে আসা মোট অতিথি পাখির ৬০ ভাগ। এসব প্রজাতির মধ্যে রয়েছে জিরিয়া, বাটান ও হাঁস। এসব পাখি কাদার মধ্যে থেকে খাবার খুঁটে খায়। ইনাম আল হক আরও জানান, ভোলা একটি জীববৈচিত্র্যময় অঞ্চল। এখানে সারা বছর দেশি প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। এসব দেশি পাখির মধ্যে রয়েছে বক, গাঙচিল, গাঙ কবুতর, বাবুই, শালিক। শুধু পাখির জন্যই ভোলা হতে পারে পর্যটন এলাকা।
সরেজমিনে ভোলা সদর উপজেলার চর হোসেন, চরগাজী, চরটকীমারা, ভেলুমিয়া, ইলিশা, পাঙ্গাশিয়া, রাজাপুর, বঙ্গেরচর, গণেশপুর, ভোলাচর, গাজীপুর, মদনপুর, মেদুয়া, হাজীপুর, চর জহিরুদ্দিন, চর নাসরিন, চর ডাম্পিয়ার, কলাতলীর চর, মনপুরা, সোনার চর, বদনার চর, চর নিজাম, ঢাল চর, চর পাতিলা, হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, চর বারি, দমার চর, চর শাহজালাল, ঢাল চর, ভাষাণ চর, চর কুকরি-মুকরিসহ প্রভৃতি জনমানবহীন চরে দলে দলে জলচর পাখি দেখা গেছে। নিচে সোনালি ধান, নীলজল; ওপরে নীলাকাশ, তার মাঝে এসব পরিযায়ী পাখি উড়ছে। খাবারের সন্ধানে কখনো কাদায় নামছে, কখনো জলে ডুব সাঁতার দিচ্ছে। কখনো উজাড় করছে কৃষকের বীজতলা। খুঁটে খাচ্ছে কর্ষিত জমির পোকা। উপকূলীয় জলচর পাখি শুমারি দলের প্রধান পাখি পর্যবেক্ষক ইনাম আল হক প্রথম আলোকে জানান, ১৯৮৭ সাল থেকে তাঁরা উপকূলীয় জলচর পাখি শুমারি করছেন।
শুমারি করতে গিয়ে দেখেছেন, ভোলা অঞ্চলে ৪৫-৫০ প্রজাতির জলচর অতিথি পাখি খাবারের সন্ধানে আসছে; যা বাংলাদেশে আসা মোট অতিথি পাখির ৬০ ভাগ। এসব প্রজাতির মধ্যে রয়েছে জিরিয়া, বাটান ও হাঁস। এসব পাখি কাদার মধ্যে থেকে খাবার খুঁটে খায়। ইনাম আল হক আরও জানান, ভোলা একটি জীববৈচিত্র্যময় অঞ্চল। এখানে সারা বছর দেশি প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। এসব দেশি পাখির মধ্যে রয়েছে বক, গাঙচিল, গাঙ কবুতর, বাবুই, শালিক। শুধু পাখির জন্যই ভোলা হতে পারে পর্যটন এলাকা।
No comments