সমকালীন প্রসঙ্গ-যুদ্ধাপরাধের বিচার দলীয় রাজনীতির ঊধর্ে্ব রাখুন by আবু সাঈদ খান

একাত্তরের বিজয়ের পর যেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আমাদের দুর্ভাগ্য_ স্বাধীনতার ৪১ বছর পর সেসব নিয়ে নতুন করে বিতর্ক করতে হচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে_ যুদ্ধাপরাধের বিচার, যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াত এবং সাম্প্রদায়িক-ধর্মভিত্তিক দলগুলোর রাজনীতি করার সুযোগ পাওয়া না-পাওয়ার প্রশ্ন।
তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীসহ কতিপয় দল। এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য ছিল না। বরং তা ত্বরান্বিত করতে দেশবাসীর তখন উচ্চকণ্ঠ।
অথচ আজ জামায়াত বা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক-বাহকরাই নন, প্রগতিশীল বলে পরিচিত কেউ কেউ সুকৌশলে যুুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ এবং জামায়াতি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির রাজনীতি করার সুযোগ অবারিত রাখার কথা বলছেন। এমন দু'একজনের সঙ্গে টেলিভিশনের টক শোতে আমার মতান্তর হয়েছে। জামায়াতীদের রাজনীতি করার প্রশ্নে তাদের কথা হচ্ছে, রাজনীতি করা সব নাগরিকের অধিকার। সেই অধিকার জামায়াতিরাও ভোগ করবে। কথাটি আপাত সত্য মনে হতে পারে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অধিকারের কোনো লাগামহীন রূপ নেই। অধিকার সর্বদাই সংবিধান, আইন-কানুন, এমনকি ইতিহাস-ঐতিহ্য-মূল্যবোধের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর এর বাইরে অধিকারের নামে যা হয়, তা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর।
গণতন্ত্র একটি সেক্যুলার (ইহজাগতিক) মতবাদ। সামন্তবাদের অবসান এবং চার্চের কর্তৃত্ব বিযুক্ত করে ইউরোপে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু। এর মর্মবাণী_ জনগণের শাসন; এর ওপর যেমন রাজার কর্তৃত্ব থাকবে না, তেমনই ধর্মগুরুর ফরমানও চলবে না। ধর্ম ও রাজনীতিকে এক রেখায় মেলানো যাবে না। এখন কেউ বলতে পারেন যে, কেন ইউরোপীয় গণতন্ত্রের ছবক নেব, আমরা আমাদের মতো করে গণতন্ত্র চর্চা করব। আর সে চর্চায় রাজনীতি ও ধর্ম যদি একাকার হয়, তার পরিণাম যে কী ভয়াবহ হয় সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। পাকিস্তানের ২৪ বছর ইসলাম ও পাকিস্তান রক্ষার দোহাই পেড়ে বাংলাকে শাসন-শোষণ করা হয়েছে। যখনই বাংলার জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার, অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া, দুই অংশের মধ্যে বৈষম্য অবসানের দাবি করা হয়েছে, তখনই বলা হয়েছে_ 'গেল গেল পাকিস্তান গেল, ইসলাম গেল।' পাকিস্তানি শাসকদের চোখে ইসলাম ও পাকিস্তান ছিল সমার্থক। তারা যুক্তি দিতেন, পাকিস্তান না থাকলে ইসলাম থাকবে না। ইসলাম বাঁচাতে পাকিস্তানি শাসন টিকিয়ে রাখতে হবে_ পাকিস্তানের শাসন বলতে যা ছিল তা আমলাতান্ত্রিক ও সামরিক শাসন।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাজনীতি করার জন্য শেরেবাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে 'মুরতাদ' ও 'কাফের' বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল। তাদের কাছে শেখ মুজিব ভারতের চর। বিস্ময়কর ব্যাপার_ ১৯৫৪ সালে মৌলবাদী গোষ্ঠী ফতোয়া দিয়েছিল, যুক্তফ্রন্টের নৌকায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে। একাত্তরে জামায়াত-নেজামী ইসলাম বলেছিল, হিন্দু ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পত্তি ও নারীরা গনিমতের মাল। তা ইসলাম রক্ষায় নিয়োজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য ও রাজাকারদের ভোগ করার অধিকার রয়েছে।
১৯৬৯ সালে কারামুক্তির পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। তখন কেবল আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগই নয়, জনগণের মাঝ থেকে স্লোগান ওঠে_ তোমার নেতা আমার নেতা_ শেখ মুজিব শেখ মুজিব। তখন জামায়াতিরা এর বিপরীতে স্লোগান দেয়_ তোমার নেতা আমার নেতা, বিশ্বনবী মোস্তফা। শেখ মুজিবের বিপরীতে হজরত মোহাম্মদের (সা.) নাম ব্যবহার করে ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট কাজে লাগানোর অপচেষ্টা করা হয়। 'জয় বাংলা' স্লোগানকেও কটাক্ষ করে বলা হয়েছিল, 'জয় বাংলা জয় হিন্দ/লুঙ্গি খুইল্যা ধুতি পিন্দ'। এভাবেই পাকিস্তানের ২৪ বছরে রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের ব্যবহার আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
ইউরোপের রাজনীতিতে চার্চের ভূমিকার সঙ্গে পাকিস্তান আমলের জামায়াত-নেজামে ইসলামসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর রাজনীতি ও ফতোয়াবাজি কেবল তুলনীয় নয়, তা আরও ভয়ঙ্কর ও হিংস্র। একাত্তরে যে লাখ লাখ নর-নারীকে হত্যা করা হয়েছে, জামায়াতের দৃষ্টিতে দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ এই বীর সন্তানরা সবাই 'কাফের-মুরতাদ'। সেই 'কাফের মুরতাদদের' রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতিদের রাজনীতি করার সুযোগ কতটুকু সমর্থনযোগ্য? এটি একাত্তরের শহীদদের প্রতি অবমাননাকর। তাই স্বাধীনতার অব্যবহিত পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ ও পিডিপি (পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি) নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং '৭২-এর সংবিধানে ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাম্প্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক দল করার সুযোগ রহিত করা হয়েছিল। জেনারেল জিয়ার শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক দল করার সুযোগ অবারিত করা হয়। সেই সুযোগে জামায়াতিরা রাজনৈতিক ময়দানে প্রবেশ করে। তবে জামায়াতিরা এতই ঘৃণিত ছিল যে, স্বনামে আত্মপ্রকাশের সাহস তখনও পায়নি। তখন জামায়াত ও নেজামে ইসলাম একত্র হয়ে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) গঠন করে। পরে আইডিএলের জামায়াতি অংশ জামায়াতে ইসলামী নামে আত্মপ্রকাশ করে। তারপর থেকে জামায়াত কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাত্তরের খুনি পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। অথচ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কৃত অপরাধের জন্য নাৎসি পার্টি, এসডি, এসএস, এসএ প্রভৃতি দল ও সহযোগী শক্তি এখনও নিষিদ্ধ রয়েছে। এটি কি অগণতান্ত্রিক? সেখানে তাদের হালাল করার দাবি তো উঠছে না। বরং কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মিললে ৬০-৬৫ বছর পরেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে।
জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকারের ক্ষেত্রে আরেকটি যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে, জামায়াত নিষিদ্ধ করা হলে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে, তাতে দেশে জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটবে। প্রশ্ন হচ্ছে, জামায়াত কি জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত? আসলে জামায়াতে ইসলামী জঙ্গিদের প্রকাশ্য রাজনৈতিক মঞ্চ। দলটির বিভিন্ন জঙ্গি কানেকশন রয়েছে। এ যাবৎ যেসব জঙ্গি ধরা পড়েছে, শায়খ আবদুর রহমান, বাংলাভাইসহ তাদের বেশিরভাগই শিবিরের প্রাক্তন সদস্য। এখান থেকেই মৌলবাদী রাজনীতির তালিম নিয়েছে তারা। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা জামায়াতের ছাতার নিচে নিরাপদে অবস্থান করছে। জামায়াতও তাদের লালন-পালন করছে।
ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বীরা রাজনীতির স্বার্থে জামায়াত-মৌলবাদী তোষণ নীতি গ্রহণ করলেও একাত্তরের বিজয়ী জাতি তাদের ক্ষমা করেনি। স্বাধীনতার সূচনা থেকে শহীদের পরিবার-মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষ খুনিদের বিচার দাবি করে আসছে। ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামায়াত ও মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। সেদিন গণআদালত গঠন করে গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী প্রমুখের অপরাধ মৃত্যুদণ্ডতুল্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অতীতে কোনো সরকারই এ দাবির প্রতি সম্মান দেখায়নি। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেনি। বরং পার্লামেন্টের শরিক যুক্তি দেখিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কখনও প্রকাশ্যে, কখনও গোপনে তাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে, হাত ধরাধরি করে চলেছে। বলাবাহুল্য, এক সঙ্গে আন্দোলন করা, এক সঙ্গে নির্বাচন করা এবং মন্ত্রিত্ব দেওয়ার মধ্যে জামায়াত তোষণের মাত্রাগত পার্থক্য আছে। তবে এ সবকিছুই জামায়াতকে রাজনৈতিক পুনর্বাসনে সহায়তা করেছে।
বিলম্বে হলেও মহাজোট সরকার ৯ যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে, তা অভিবাদনযোগ্য। তবে পঞ্চম সংশোধনীর রায়ে '৭২-এর সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ রহিত করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির যে পথ বন্ধ করে দিয়েছিল, মহাজোট পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সে পথ খুলে দিয়েছে, যা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার মনে হয়, জামায়াতের রাজনীতির লাইসেন্স পাওয়া, রাজাকার বাহিনীর আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেওয়ায় কোনো পার্থক্য নেই। বলাবাহুল্য, জামায়াতের রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা না করা হলে আবার নতুন করে রাজাকার-আলবদর বাহিনীর পদচারণাও জাতিকে দেখতে হবে।
মহাজোট সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত আয়োজন অপর্যাপ্ত। এ যেন দায়সারাগোছের ব্যাপার। সরকার প্রতীকী বিচারের ধারণার বাইরে যেতে পারছে না বলেই মনে হয়। আর সেটি করলে তা হবে আত্মপ্রতারণার শামিল।
এখনও অনেক মানুষ স্বজন হত্যার বিচার চাইছেন, নির্যাতিত নারীরা চাইছেন অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। সেসব হত্যা-ধর্ষণে জড়িত চিহ্নিত মানবতাবিরোধীরা এখনও বহাল-তবিয়তে রয়েছে। তাদের বিচারের আয়োজন কি করা হবে না? আর তা করতে হলে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। এ ব্যাপারে একাত্তরের ঘাতক দালাল কমিটি স্থায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি করেছে_ সেটি যৌক্তিক।
আরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার, কেবল কি ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধ করেছে, না সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, পিপিপি, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদরসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীও করেছে। তারা সবাই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী শক্তি। একাত্তরের আত্মসমর্পণের দলিলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী শক্তির আত্মসমর্পণের কথা বলা হয়েছে। সেই পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী শক্তি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার পেতে পারে কি-না, সেটিই বড় প্রশ্ন।
জামায়াত এখন প্রধান বিরোধী দলের ছত্রছায়ায় অবস্থান করছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার তারাও চান। প্রশ্ন হচ্ছে, এটিই কি যথেষ্ট বলা? এটি স্পষ্ট করার দরকার ক্ষমতায় গিয়ে তারা এই বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবেন কি-না। তার চেয়ে জরুরি, জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা। অতীতের দৃষ্টান্ত দিয়ে জামায়াতকে নিয়ে পথচলা জাতি সমর্থন করে না। এটি মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধ কোনো দলের যুদ্ধ না, এটি জাতীয় যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের প্রতিপক্ষ শক্তি জাতীয় শত্রু।
আমরা দেশে ইতিবাচক রাজনীতি দেখতে চাই। জামায়াতকে নিয়ে পথচলা যেমন সমর্থন করা যায় না, তেমনি করে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে যুদ্ধাপরাধী ঠেকানোর অপকৌশলও মেনে নেওয়া যায় না। দেশবাসী প্রত্যাশা করে যে, বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছাড়বে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতি অঙ্গুলি তুলে বলছে, তারা কেন স্বৈরাচারকে সঙ্গে নিয়েছে? এটি আমার কাছেও নিন্দনীয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি যৌক্তিক মনে করি। এ নিয়ে বহুবার লিখেছিও । কিন্তু আওয়ামী লীগ এ দাবির প্রতি বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে বলে কি বিএনপি জামায়াত সঙ্গ বর্জন করবে না, তা সমর্থনযোগ্য নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন ভিন্ন আন্দোলন। সেই আন্দোলন করার অধিকার বিএনপির আছে এবং এ দাবির পেছনে প্রবল জনমতও রয়েছে। জামায়াতকে ত্যাগ করলে সেই আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত নয়, বরং বেগবান হবে। যা হতে পারে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনীতির জন্য প্লাস পয়েন্ট।
আজ সবারই একমত হওয়া প্রয়োজন_ একাত্তরের ঘাতকদের বিচার, যুদ্ধাপরাধী এবং সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি চলমান দলীয় রাজনীতির ঊধর্ে্ব। এটি নিয়ে হীন স্বার্থে কোনো দলের রাজনীতি করা উচিত নয়।

আবু সাঈদ খান : সাংবাদিক
ask_bangla@yahoo.com
www.abusayeedkhan.com

No comments

Powered by Blogger.