অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ প্রস্তাবে আলোচনায় একমত জাতিসংঘ
বিশ্বে অস্ত্র কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণের একটি প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে একমত হয়েছে জাতিসংঘ। সাত হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের এ প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রবিষয়ক সবচেয়ে বড় লবিস্ট গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গত সোমবার প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশির ভাগ সদস্য দেশ এর পক্ষে ভোট দেয়। আগামী ১৮ থেকে ২৮ মার্চ সাধারণ অধিবেশনে এর ওপর আলোচনা হবে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিনিধি ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষের কর্মীরা অভিযোগ করেন, সংস্থাটিতে এ সংক্রান্ত আলোচনা গত জুলাই মাসে বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, প্রস্তাবটিতে সমর্থন দিলে হয়তো রিপাবলিকানদের প্রবল বিরোধিতা ও সমালোচনার মুখে পড়বেন, যা তাঁর নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ অভিযোগ নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে স্যান্ডি হুক স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ২০ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দেশটিতে ব্যক্তিগত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। বিশ্বের ১ নম্বর অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের মোট অস্ত্র-বাণিজ্যের ৪০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে তারা। এনআরএ বরাবরই চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র যেন জাতিসংঘে উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে সমর্থন না দেয়। তারা ওবামা প্রশাসনের ওপর এ ব্যাপারে চাপ দিয়ে আসছিল। এনআরএর আশঙ্কা, প্রস্তাবটি পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র-ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গত সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রস্তাবটির ওপর ভোট হয়। এর পক্ষে ১৩৩ সদস্য দেশ ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। তবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ১৭ দেশ। কূটনীতিকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এর আগে গত মাসে নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির পক্ষেও তারা ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া, সুদান, বেলারুশ, কিউবা ও ইরান রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ছয় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে রাশিয়া ছাড়া ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পক্ষে ভোট দেয়। আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, কোস্টারিকা, ফিনল্যান্ড, জাপান, কেনিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রস্তাবটি জাতিসংঘে উত্থাপন করে। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তোপের মুখে মর্গান : অস্ত্র নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করায় তোপের মুখে পড়েছেন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের উপস্থাপক ব্রিটিশ নাগরিক পিয়ার্স মর্গান। প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন নাগরিক তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কারের একটি আবেদনে সই করে পাঠিয়েছে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে। কেনো আবেদনে ২৫ হাজার সই থাকলেই বিষয়টি বিবেচনায় নেয় সরকার। সূত্র : রয়টার্স।
জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিনিধি ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষের কর্মীরা অভিযোগ করেন, সংস্থাটিতে এ সংক্রান্ত আলোচনা গত জুলাই মাসে বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, প্রস্তাবটিতে সমর্থন দিলে হয়তো রিপাবলিকানদের প্রবল বিরোধিতা ও সমালোচনার মুখে পড়বেন, যা তাঁর নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ অভিযোগ নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে স্যান্ডি হুক স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ২০ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দেশটিতে ব্যক্তিগত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। বিশ্বের ১ নম্বর অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের মোট অস্ত্র-বাণিজ্যের ৪০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে তারা। এনআরএ বরাবরই চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র যেন জাতিসংঘে উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে সমর্থন না দেয়। তারা ওবামা প্রশাসনের ওপর এ ব্যাপারে চাপ দিয়ে আসছিল। এনআরএর আশঙ্কা, প্রস্তাবটি পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র-ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গত সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রস্তাবটির ওপর ভোট হয়। এর পক্ষে ১৩৩ সদস্য দেশ ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। তবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ১৭ দেশ। কূটনীতিকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এর আগে গত মাসে নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির পক্ষেও তারা ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া, সুদান, বেলারুশ, কিউবা ও ইরান রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ছয় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে রাশিয়া ছাড়া ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পক্ষে ভোট দেয়। আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, কোস্টারিকা, ফিনল্যান্ড, জাপান, কেনিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রস্তাবটি জাতিসংঘে উত্থাপন করে। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তোপের মুখে মর্গান : অস্ত্র নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করায় তোপের মুখে পড়েছেন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের উপস্থাপক ব্রিটিশ নাগরিক পিয়ার্স মর্গান। প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন নাগরিক তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কারের একটি আবেদনে সই করে পাঠিয়েছে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে। কেনো আবেদনে ২৫ হাজার সই থাকলেই বিষয়টি বিবেচনায় নেয় সরকার। সূত্র : রয়টার্স।
No comments