রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে মিয়ানমারকে জাতিসংঘের আহ্বান
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং তাদের নাগরিক অধিকার দেওয়ার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ।
এতে রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাপারে দেশটির সরকারকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত সোমবার জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাধ্যবাধকতাহীন এই প্রস্তাবটি (নন-বাইন্ডিং রেগুলেশন) পাস হয়। প্রস্তাবটি পাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।
তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের 'সংখ্যালঘু' হিসেবে আখ্যায়িত করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। এ ছাড়া গত অক্টোবরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোকে 'অভিযোগের পুরনো গান' বলে অভিহিত এবং অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে দেশটি।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে বলা হয়, 'মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ জানাচ্ছে জাতিসংঘ। তাদের পরিস্থিতির উন্নতি এবং নাগরিকত্বের অধিকারসহ মানবাধিকার রক্ষার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।'
চলতি বছরের জুন থেকে রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সহিংসতা বেড়ে যায়। গত অক্টোবরের শেষে দিকে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ার পর গত মাস পর্যন্ত রাজ্যটিতে সহিংসতায় ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছে অন্তত এক লাখ ১০ হাজার মানুষ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে একই সঙ্গে দায়ী করে আসছে। তবে মিয়ানমার সরকার বলে আসছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ অবস্থায় চলতি মাসের শুরুর দিকে 'থার্ড কমিটি' হিসেবে পরিচিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটি মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে একটি প্রস্তাব পরিষদে ওঠালে তা গৃহীত হয়। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৃষ্ঠপোষকতায় সাধারণ পরিষদে 'নন-বাইন্ডিং' প্রস্তাবটি পাস হয়।
সোমবার জাতিসংঘে প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর সংস্থাটিতে মিয়ানমার মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা প্রস্তাবটি গ্রহণ করছে, তবে রোহিঙ্গাদের সংখ্যালঘু হিসেবে আখ্যায়িত করার ব্যাপারে তাদের আপত্তি আছে। মিশনের মিয়ানমার প্রতিনিধি বলেন, মিয়ানমারের নৃ-গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রোহিঙ্গা নৃ-গোষ্ঠী বলে কিছু নেই। এ বিষয়টি বাদে মিয়ানমারের আইনের সঙ্গে একমত পোষণ করে এমন যেকোনো নাগরিক বা সম্প্রদায়ের নাগরিকত্বের অধিকার কখনো অগ্রাহ্য হয়নি বা হবেও না। সূত্র : রয়টার্স ও এবিসি নিউজ অনলাইন।
গত সোমবার জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাধ্যবাধকতাহীন এই প্রস্তাবটি (নন-বাইন্ডিং রেগুলেশন) পাস হয়। প্রস্তাবটি পাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।
তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের 'সংখ্যালঘু' হিসেবে আখ্যায়িত করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। এ ছাড়া গত অক্টোবরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোকে 'অভিযোগের পুরনো গান' বলে অভিহিত এবং অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে দেশটি।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে বলা হয়, 'মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ জানাচ্ছে জাতিসংঘ। তাদের পরিস্থিতির উন্নতি এবং নাগরিকত্বের অধিকারসহ মানবাধিকার রক্ষার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।'
চলতি বছরের জুন থেকে রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সহিংসতা বেড়ে যায়। গত অক্টোবরের শেষে দিকে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ার পর গত মাস পর্যন্ত রাজ্যটিতে সহিংসতায় ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছে অন্তত এক লাখ ১০ হাজার মানুষ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে একই সঙ্গে দায়ী করে আসছে। তবে মিয়ানমার সরকার বলে আসছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ অবস্থায় চলতি মাসের শুরুর দিকে 'থার্ড কমিটি' হিসেবে পরিচিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটি মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে একটি প্রস্তাব পরিষদে ওঠালে তা গৃহীত হয়। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৃষ্ঠপোষকতায় সাধারণ পরিষদে 'নন-বাইন্ডিং' প্রস্তাবটি পাস হয়।
সোমবার জাতিসংঘে প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর সংস্থাটিতে মিয়ানমার মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা প্রস্তাবটি গ্রহণ করছে, তবে রোহিঙ্গাদের সংখ্যালঘু হিসেবে আখ্যায়িত করার ব্যাপারে তাদের আপত্তি আছে। মিশনের মিয়ানমার প্রতিনিধি বলেন, মিয়ানমারের নৃ-গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রোহিঙ্গা নৃ-গোষ্ঠী বলে কিছু নেই। এ বিষয়টি বাদে মিয়ানমারের আইনের সঙ্গে একমত পোষণ করে এমন যেকোনো নাগরিক বা সম্প্রদায়ের নাগরিকত্বের অধিকার কখনো অগ্রাহ্য হয়নি বা হবেও না। সূত্র : রয়টার্স ও এবিসি নিউজ অনলাইন।
No comments