ধর্ম-নারীর প্রতি সহিংসতাকে ‘না’ বলুন by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক গভীর ভালোবাসা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশিত বিধান। মানবজাতির আদি পিতা হজরত আদম (আ.) যখন স্বর্গ উদ্যানে একাকী বিচরণ করতেন, তখন তিনি মনে কোনো প্রকার শান্তি ও স্বস্তি পেতেন না। আল্লাহ তাআলা তাঁর মনোভাব বুঝে দয়াপরবশ হয়ে হজরত আদম (আ.)-এর বাম পাঁজর থেকে বিবি হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করে তাঁর সহধর্মিণী হিসেবে একত্রে বসবাস করার আদেশ দান করেন, যাতে তিনি মনে পরম শান্তি ও স্বস্তি লাভ করেন,
পরস্পরে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন—এ-যাবৎ যা পৃথিবীতে আবর্তিত হয়ে আসছে। স্ত্রী/ নারী হলো পুরুষের জন্য শান্তির নীড় এবং আবাসস্থল, সত্যিকারভাবে যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে ভাবাবেগের উদয়, প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আর-রূম, আয়াত: ২১)
পবিত্র কোরআনে নারীদের অত্যন্ত সম্মান দেখানো হয়েছে এবং ইসলামে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন করার সুযোগ নেই। নারী নির্যাতনকারীকে ঘৃণ্য অপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেসব কারণে নারীরা সমাজে নির্যাতিত হয়, সেসব থেকে বিরত থাকতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ বর্তমানে সারা দুনিয়ায় নারী-পুরুষ কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। দেশে নারী নির্যাতনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। হত্যা, যৌন হয়রানি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, উত্ত্যক্ততা—এসব সহিংসতা নারীর জীবনে এখন নিত্যদিনের ঘটনা। নির্যাতনের ফলে অনেকের মৃত্যু হয়, কেউ আত্মহত্যায় বাধ্য হয়। এভাবে মানুষ আপনজনকে হত্যা বা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে কোনো প্রকার দ্বিধা করছে না। এসবের মূলে রয়েছে মানুষের প্রতি প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসার অভাব এবং নারীর সম্পদের মোহ ও লোভ-লালসা তাদের অন্তরকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। অথচ এসব লোভনীয় জাগতিক উপকরণ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নারী, সন্তান, সোনা ও রুপার ভান্ডার এবং পছন্দসই ঘোড়া ও চতুষ্পদ জন্তু এবং খেত-খামারের প্রতি আসক্তি মানুষের কাছে মনোরম করা হয়েছে। এসবই পার্থিব ভোগ্যবস্তু এবং আল্লাহর কাছে উত্তম আশ্রয়স্থল রয়েছে।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত-১৪)
ইসলামের বৈবাহিক রীতি অনুযায়ী দুজন আল্লাহভীরু নারী ও পুরুষ পরস্পরকে পছন্দ করে যে নীড় বাঁধে, সে সুখের ঘরে একে অপরের প্রতি কোনোক্রমেই শত্রুভাবাপন্ন ও নির্যাতনকারী হতে পারে না। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পারস্পরিক বিশ্বাস ও ভালোবাসাই ঘরের বন্ধনটি সুদৃঢ় এবং শান্তিময় করে রাখতে পারে। ইসলামে নারীদের অনেক বেশি মর্যাদা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলাম ধর্মের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। নারী-পুরুষের সুন্দর শান্তিময় জীবন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা স্বামী-স্ত্রীকে পারস্পরিক পোশাক ঘোষণা করে বলেছেন, ‘পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও পুরুষদের ওপর নিয়মানুযায়ী (সুন্দর ও মধুময় আচরণ স্ত্রীদেরও প্রাপ্য) অধিকার আছে।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৮)
ইসলামের বিধান অনুযায়ী স্বামী স্ত্রীকে শারীরিক বা মানসিকভাবে কোনো প্রকার নির্যাতন বা প্রহার করবে না। স্ত্রীর ওপর যদি স্বামী কোনো কারণে রেগে যায়, তবু তাকে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করবে না। স্ত্রীর সঙ্গে যদি ঝগড়া হয় এবং স্ত্রী স্বামীর কথা না শুনে, তাহলে তাকে সদুপদেশ দিয়ে সংশোধনের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। এতে কাজ না হলে স্ত্রীকে সাময়িক শাস্তি দেওয়ার জন্য ঘরের মধ্যে পৃথক বিছানায় রাখা যেতে পারে, কিন্তু অকারণে তাকে অমানুষিক নির্যাতন, মারধর করা বা ঘর থেকে বের করে দেওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি (স্ত্রীর) মুখমণ্ডলের ওপর আঘাত করো না, তাকে অশ্লীল গালিগালাজ করো না এবং গৃহ ব্যতীত অন্য কোথাও তাকে পৃথক করে রেখো না।’ (আবু দাউদ)
অথচ শহর-গ্রামে যে কত বিচিত্র পন্থায় অহরহ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। ঘরে-বাইরে, শিক্ষাঙ্গনে-কর্মস্থলে সর্বত্র মেয়েদের নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি মেয়েদের জন্য সহজেই বৈরী হয়ে ওঠে। সুযোগ পেলেই এক শ্রেণীর পুরুষ নারীর প্রতি অশোভন আচরণ করে থাকে। সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ও বিজাতীয় অপসংস্কৃতির প্রভাব, সুস্থ বিনোদনের অভাব কিংবা অন্যান্য কারণে সমাজে বখাটে যুবকদের সংখ্যা বাড়ছে, তা সমাজের অভিভাবকদের যেমন খুঁজে বের করতে হবে, তেমনি নারী নির্যাতন প্রতিরোধের আন্দোলনেও শামিল হতে হবে। দেশে নারী নির্যাতনবিরোধী কঠোর আইন আছে, কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না। তাই নারী নির্যাতনের শিকার হওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় নেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।
নারী নির্যাতনের জন্য যেসব কারণ মূলত দায়ী, তা হলো নারীর অসহায়ত্ব, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞতা, নিরক্ষরতা, সামাজিক কুসংস্কার ইত্যাদি। তবে মানুষ চেষ্টা করলে লোভ-লালসা ও ধন-সম্পদের মোহকে সংযম, ভালোবাসা, আন্তরিক সদিচ্ছার মাধ্যমে আয়ত্তে আনতে সক্ষম। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বড় ভূমিকা পরিবারের থাকতে হবে। কারণ, পরিবারেই নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার। নিজের সন্তানের প্রতি যেমন মায়া-মমতাবোধ রয়েছে, ঠিক তেমনি অন্যের সন্তানের (জামাতা/ পুত্রবধূ) প্রতিও মায়া-মমতাবোধ ও ভালোবাসা জাগ্রত করতে হবে। সমাজে এমন এক সচেতনতার বিকাশ প্রয়োজন, যাতে দায়িত্ব-কর্তব্যের আহ্বানে পুরুষেরা নারীর প্রতি সুন্দর এবং মর্যাদাবোধসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবে। পুরুষ নারীর প্রতিপক্ষ নয়, নারী পুরুষের প্রতিপক্ষ নয়; বরং দুয়ে মিলেই সমাজ। এ সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির লালন এবং নৈতিকতার বিকাশের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধের বীজমন্ত্র।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক।
dr.munimkhan@yahoo.com
পবিত্র কোরআনে নারীদের অত্যন্ত সম্মান দেখানো হয়েছে এবং ইসলামে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন করার সুযোগ নেই। নারী নির্যাতনকারীকে ঘৃণ্য অপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেসব কারণে নারীরা সমাজে নির্যাতিত হয়, সেসব থেকে বিরত থাকতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ বর্তমানে সারা দুনিয়ায় নারী-পুরুষ কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। দেশে নারী নির্যাতনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। হত্যা, যৌন হয়রানি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, উত্ত্যক্ততা—এসব সহিংসতা নারীর জীবনে এখন নিত্যদিনের ঘটনা। নির্যাতনের ফলে অনেকের মৃত্যু হয়, কেউ আত্মহত্যায় বাধ্য হয়। এভাবে মানুষ আপনজনকে হত্যা বা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে কোনো প্রকার দ্বিধা করছে না। এসবের মূলে রয়েছে মানুষের প্রতি প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসার অভাব এবং নারীর সম্পদের মোহ ও লোভ-লালসা তাদের অন্তরকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। অথচ এসব লোভনীয় জাগতিক উপকরণ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নারী, সন্তান, সোনা ও রুপার ভান্ডার এবং পছন্দসই ঘোড়া ও চতুষ্পদ জন্তু এবং খেত-খামারের প্রতি আসক্তি মানুষের কাছে মনোরম করা হয়েছে। এসবই পার্থিব ভোগ্যবস্তু এবং আল্লাহর কাছে উত্তম আশ্রয়স্থল রয়েছে।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত-১৪)
ইসলামের বৈবাহিক রীতি অনুযায়ী দুজন আল্লাহভীরু নারী ও পুরুষ পরস্পরকে পছন্দ করে যে নীড় বাঁধে, সে সুখের ঘরে একে অপরের প্রতি কোনোক্রমেই শত্রুভাবাপন্ন ও নির্যাতনকারী হতে পারে না। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পারস্পরিক বিশ্বাস ও ভালোবাসাই ঘরের বন্ধনটি সুদৃঢ় এবং শান্তিময় করে রাখতে পারে। ইসলামে নারীদের অনেক বেশি মর্যাদা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলাম ধর্মের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। নারী-পুরুষের সুন্দর শান্তিময় জীবন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা স্বামী-স্ত্রীকে পারস্পরিক পোশাক ঘোষণা করে বলেছেন, ‘পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও পুরুষদের ওপর নিয়মানুযায়ী (সুন্দর ও মধুময় আচরণ স্ত্রীদেরও প্রাপ্য) অধিকার আছে।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৮)
ইসলামের বিধান অনুযায়ী স্বামী স্ত্রীকে শারীরিক বা মানসিকভাবে কোনো প্রকার নির্যাতন বা প্রহার করবে না। স্ত্রীর ওপর যদি স্বামী কোনো কারণে রেগে যায়, তবু তাকে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করবে না। স্ত্রীর সঙ্গে যদি ঝগড়া হয় এবং স্ত্রী স্বামীর কথা না শুনে, তাহলে তাকে সদুপদেশ দিয়ে সংশোধনের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। এতে কাজ না হলে স্ত্রীকে সাময়িক শাস্তি দেওয়ার জন্য ঘরের মধ্যে পৃথক বিছানায় রাখা যেতে পারে, কিন্তু অকারণে তাকে অমানুষিক নির্যাতন, মারধর করা বা ঘর থেকে বের করে দেওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি (স্ত্রীর) মুখমণ্ডলের ওপর আঘাত করো না, তাকে অশ্লীল গালিগালাজ করো না এবং গৃহ ব্যতীত অন্য কোথাও তাকে পৃথক করে রেখো না।’ (আবু দাউদ)
অথচ শহর-গ্রামে যে কত বিচিত্র পন্থায় অহরহ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। ঘরে-বাইরে, শিক্ষাঙ্গনে-কর্মস্থলে সর্বত্র মেয়েদের নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি মেয়েদের জন্য সহজেই বৈরী হয়ে ওঠে। সুযোগ পেলেই এক শ্রেণীর পুরুষ নারীর প্রতি অশোভন আচরণ করে থাকে। সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ও বিজাতীয় অপসংস্কৃতির প্রভাব, সুস্থ বিনোদনের অভাব কিংবা অন্যান্য কারণে সমাজে বখাটে যুবকদের সংখ্যা বাড়ছে, তা সমাজের অভিভাবকদের যেমন খুঁজে বের করতে হবে, তেমনি নারী নির্যাতন প্রতিরোধের আন্দোলনেও শামিল হতে হবে। দেশে নারী নির্যাতনবিরোধী কঠোর আইন আছে, কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না। তাই নারী নির্যাতনের শিকার হওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় নেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।
নারী নির্যাতনের জন্য যেসব কারণ মূলত দায়ী, তা হলো নারীর অসহায়ত্ব, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞতা, নিরক্ষরতা, সামাজিক কুসংস্কার ইত্যাদি। তবে মানুষ চেষ্টা করলে লোভ-লালসা ও ধন-সম্পদের মোহকে সংযম, ভালোবাসা, আন্তরিক সদিচ্ছার মাধ্যমে আয়ত্তে আনতে সক্ষম। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বড় ভূমিকা পরিবারের থাকতে হবে। কারণ, পরিবারেই নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার। নিজের সন্তানের প্রতি যেমন মায়া-মমতাবোধ রয়েছে, ঠিক তেমনি অন্যের সন্তানের (জামাতা/ পুত্রবধূ) প্রতিও মায়া-মমতাবোধ ও ভালোবাসা জাগ্রত করতে হবে। সমাজে এমন এক সচেতনতার বিকাশ প্রয়োজন, যাতে দায়িত্ব-কর্তব্যের আহ্বানে পুরুষেরা নারীর প্রতি সুন্দর এবং মর্যাদাবোধসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবে। পুরুষ নারীর প্রতিপক্ষ নয়, নারী পুরুষের প্রতিপক্ষ নয়; বরং দুয়ে মিলেই সমাজ। এ সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির লালন এবং নৈতিকতার বিকাশের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধের বীজমন্ত্র।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments