ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৯%
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। গতবছর একই সময় এই প্রবৃদ্ধি ছিল ২৭ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার গতবারের তুলনায় শ্লথ হয়ে পড়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে আয়কর, কাস্টমস ও মূল্যসংযোজন করসহ (মূসক) মোট ৩৮ হাজার ৯৮৭ কোটি আট লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে আয়কর, কাস্টমস ও মূল্যসংযোজন করসহ (মূসক) মোট ৩৮ হাজার ৯৮৭ কোটি আট লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার ৪০২ কোটি ৬০ টাকা বেশি। গত অর্থবছরে একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকের রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে আয়কর খাতে। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। পুরো অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯১ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
এনবিআর সদস্য এম এ কাদের সরকার সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি না হলে এবারও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এ ছাড়া রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য এনবিআর বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
কাদের আরও জানান, চলতি অর্থবছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হলে বেশ কিছু টাকা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের কাছেও বড় অঙ্কের বকেয়া রয়েছে। এসব বকেয়া আদায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্যসংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক, টার্ন ওভার ট্যাক্সসহ মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৪ হাজার ৪০৫ কোটি তিন লাখ টাকা।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এসব খাতে আদায় হয়েছিল ১২ হাজার ৬৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় এক হাজার ৭৬৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, অগ্রিম আয়করসহ মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৪ হাজার ২১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ১২ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা।
জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে আয়কর আদায় হয়েছে ১০ হাজার ১৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর আগের বছর ছয় মাসে আয়কর আদায় হয়েছিল আট হাজার ৪২ কোটি ১০ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দুই হাজার ৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এবার সার্বিক প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। কিন্তু গত অর্থবছর ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে রাজস্ব আদায়ে। তাই পরপর দুই বছর রাজস্ব আদায়ে উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা কঠিন।
তবে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে এনবিআর বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) প্রথা চালু করা হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে।
এ ছাড়া আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কর কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে একটি স্বতন্ত্র ইউনিট করা হবে। ইতিমধ্যে এই রূপরেখা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
আবার মার্চ মাসে ই-পেমেন্ট সিস্টেম বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির রাজস্ব পরিশোধব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ইতিমধ্যে করদাতাদের কর পরিপালনের লক্ষ্যে নিবিড় পরিবীক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে এনবিআর।
এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকের রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে আয়কর খাতে। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। পুরো অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯১ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
এনবিআর সদস্য এম এ কাদের সরকার সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি না হলে এবারও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এ ছাড়া রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য এনবিআর বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
কাদের আরও জানান, চলতি অর্থবছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হলে বেশ কিছু টাকা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের কাছেও বড় অঙ্কের বকেয়া রয়েছে। এসব বকেয়া আদায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্যসংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক, টার্ন ওভার ট্যাক্সসহ মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৪ হাজার ৪০৫ কোটি তিন লাখ টাকা।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এসব খাতে আদায় হয়েছিল ১২ হাজার ৬৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় এক হাজার ৭৬৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, অগ্রিম আয়করসহ মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৪ হাজার ২১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ১২ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা।
জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে আয়কর আদায় হয়েছে ১০ হাজার ১৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর আগের বছর ছয় মাসে আয়কর আদায় হয়েছিল আট হাজার ৪২ কোটি ১০ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দুই হাজার ৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এবার সার্বিক প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। কিন্তু গত অর্থবছর ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে রাজস্ব আদায়ে। তাই পরপর দুই বছর রাজস্ব আদায়ে উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা কঠিন।
তবে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে এনবিআর বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) প্রথা চালু করা হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে।
এ ছাড়া আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কর কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে একটি স্বতন্ত্র ইউনিট করা হবে। ইতিমধ্যে এই রূপরেখা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
আবার মার্চ মাসে ই-পেমেন্ট সিস্টেম বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির রাজস্ব পরিশোধব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ইতিমধ্যে করদাতাদের কর পরিপালনের লক্ষ্যে নিবিড় পরিবীক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে এনবিআর।
No comments