স্বাস্থ্যসেবার চিত্র-মানুষের অধিকার নিয়ে হেলাফেলা নয়
যে দেশের সিংহভাগ মানুষ দারিদ্র্যপীড়িত, সে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের বিষয়টি আরো বেশি গুরুত্বের সঙ্গেই সামনে আসে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এ দেশের স্বাস্থ্যসেবার চিত্র বড় বেশি বিবর্ণ; এবং দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এক ভয়াবহ পীড়াদায়ক বিড়ম্বনার ক্ষেত্র। ৬ আগস্ট কালের কণ্ঠের শীর্ষ প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যসেবাসংক্রান্ত যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা চরম উদ্বেগজনক এবং যুগপৎ প্রশ্নবোধক।
অসহায় রোগীরা কিভাবে সেবাবঞ্চিত, অর্থাৎ ন্যায্য অধিকার ভোগ থেকে বঞ্চিত, এরই প্রতিফলন ঘটেছে প্রতিবেদনটিতে। চিকিৎসক নেতারা নিজেদের দায়বদ্ধতার পাট চুকিয়ে স্বাচিপ নামক সংগঠনের ছায়াতলে থেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে কতটা উদাসীন, তারও সাক্ষ্য মেলে ওই প্রতিবেদনে। অতীতে ড্যাব নামক চিকিৎসক সংগঠনের যেসব নেতিবাচক চিত্র সাধারণ মানুষকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্পর্শ করেছিল, বর্তমানে স্বাচিপের ক্ষেত্রেও তা-ই পরিলক্ষিত হচ্ছে। সিংহভাগ চিকিৎসকের দলবাজির কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোর সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বড় বেশি ক্রমবিবর্ণ হচ্ছে। আর এর মাসুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ দারিদ্র্যপীড়িত মানুষকে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার সব পথই কি রুদ্ধ?
প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বারবার চিকিৎসকদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো। তিনি বহুবার এও বলেছেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের গাফিলতি চলবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক চিকিৎসক তাঁর এসব সতর্কবার্তা আমলে নিচ্ছেন না। দেশের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুরু করে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যমান নানাবিধ অসংগতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং কতিপয় স্বেচ্ছাচারীর স্বেচ্ছাচারিতাসহ অনভিপ্রেত অনেক কিছু গোটা স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। দলবাজি শুধু চিকিৎসকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোর স্তরে স্তরে প্রকট রূপ ধারণ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এখনো দায়বদ্ধ, কর্তব্যপরায়ণ ও নিষ্ঠাবান চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের অঙ্গীকার ভুলে যাননি। কিন্তু সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও দাঁড়ায়, তাঁদের সংখ্যা কত? কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনেই এর উত্তর মেলে। বেসরকারি খাতে দেশের চিকিৎসাক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত হয়েছে এবং দক্ষতার স্বাক্ষরও রয়েছে। কিন্তু কয়জন মানুষের সেসব ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারের সংগতি-সামর্থ্য রয়েছে, এটা অবশ্যই বড় প্রশ্ন।
নাগরিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার দায় রাষ্ট্রের। সরকার মানুষের কাছে এসব ব্যাপারে সাংবিধানিকভাবেই বাধ্য। কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা চিকিৎসকদের দলাদলির ব্যাপারে তাঁর অপছন্দের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করলেও তিনি বলেছেন, এমনটি নাকি এখন বাস্তবতায়ই পরিণত হয়েছে। আমরা আশা করি, এই নেতিবাচক বাস্তবতার ডালপালা ছেঁটে ফেলাই নয়, বরং তা একদম সমূলে উৎপাটন করে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাস্থ্যসেবার আধুনিকায়নের সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে এই বিভাগের ক্ষতগুলো চিহ্নিত করে সর্বাগ্রে এ জন্য দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে কালক্ষেপণ না করে। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট তথা বাঁচা-মরার প্রসঙ্গে কোনো রকম 'তবে', 'কিন্তু' নয়, দলবাজির জটাজাল ছিন্ন করতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা আমলে নিয়ে সবাইকে যথাযথ দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠাবান ও আন্তরিক হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বারবার চিকিৎসকদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো। তিনি বহুবার এও বলেছেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের গাফিলতি চলবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক চিকিৎসক তাঁর এসব সতর্কবার্তা আমলে নিচ্ছেন না। দেশের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুরু করে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যমান নানাবিধ অসংগতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং কতিপয় স্বেচ্ছাচারীর স্বেচ্ছাচারিতাসহ অনভিপ্রেত অনেক কিছু গোটা স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। দলবাজি শুধু চিকিৎসকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোর স্তরে স্তরে প্রকট রূপ ধারণ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এখনো দায়বদ্ধ, কর্তব্যপরায়ণ ও নিষ্ঠাবান চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের অঙ্গীকার ভুলে যাননি। কিন্তু সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও দাঁড়ায়, তাঁদের সংখ্যা কত? কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনেই এর উত্তর মেলে। বেসরকারি খাতে দেশের চিকিৎসাক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত হয়েছে এবং দক্ষতার স্বাক্ষরও রয়েছে। কিন্তু কয়জন মানুষের সেসব ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারের সংগতি-সামর্থ্য রয়েছে, এটা অবশ্যই বড় প্রশ্ন।
নাগরিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার দায় রাষ্ট্রের। সরকার মানুষের কাছে এসব ব্যাপারে সাংবিধানিকভাবেই বাধ্য। কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা চিকিৎসকদের দলাদলির ব্যাপারে তাঁর অপছন্দের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করলেও তিনি বলেছেন, এমনটি নাকি এখন বাস্তবতায়ই পরিণত হয়েছে। আমরা আশা করি, এই নেতিবাচক বাস্তবতার ডালপালা ছেঁটে ফেলাই নয়, বরং তা একদম সমূলে উৎপাটন করে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাস্থ্যসেবার আধুনিকায়নের সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে এই বিভাগের ক্ষতগুলো চিহ্নিত করে সর্বাগ্রে এ জন্য দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে কালক্ষেপণ না করে। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট তথা বাঁচা-মরার প্রসঙ্গে কোনো রকম 'তবে', 'কিন্তু' নয়, দলবাজির জটাজাল ছিন্ন করতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা আমলে নিয়ে সবাইকে যথাযথ দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠাবান ও আন্তরিক হতে হবে।
No comments