শীতফ্যাশনে সোয়েটার by শান্তা তাওহিদা
‘শীতপোশাকের ফ্যাশনটা এবার সোয়েটারের। বর্ণে, বৈচিত্র্যে বেশ জমকালো করেই সেজেছে সোয়েটারগুলো। কাটছাঁট আর বুননে এখনকার সোয়েটারগুলো যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি নকশায় ও রঙে বর্ণাঢ্যও বটে। উষ্ণতা দেওয়ার পাশাপাশি সোয়েটার এখন হয়ে উঠেছে ছেলেমেয়েদের অন্যতম ফ্যাশন অনুষঙ্গ।
’ এভাবেই বললেন ফ্যাশন হাউস একস্ট্যাসির প্রধান ডিজাইনার তানজীম হক। মেনজ ক্লাবের নির্বাহী প্রধান মাহমুদুল হেলাল বলেন, ‘পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বাহারি রং আর কাটের অ্যানগোরা উলের সোয়েটার, এমব্রয়ডারি, বাটন ও জিপারযুক্ত সোয়েটারগুলো আবার ফিরে এসেছে নতুন ঢঙে। সোয়েটার মানেই এখন উলের ভারী কোনো পোশাক নয়। শীতের প্রকোপভেদে হালকা, ভারী, ফরমাল, ক্যাজুয়াল, ফ্যাশনেবল—বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার এখন তৈরি করা হচ্ছে।’
‘আমাদের দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বাহারি সব সোয়েটার। নিট, অ্যাক্রেলিক, উল, সুতি, নাইলন দিয়ে তৈরি দেশীয় সোয়েটারগুলো বিদেশি সোয়েটার থেকে কোনো অংশে কম বাহারি নয়। এগুলো এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিদেশেও।’ এভাবেই বলেন ওয়েসটেকস বসুন্ধরা সিটি শাখার প্রধান রুহুল আমিন।
তবে দেশিগুলোর পাশাপাশি থাইল্যান্ড থেকে আসা সোয়েটারের কদর বেশ বলে জানালেন ঢাকার বসুন্ধরা সিটির ফ্রিল্যান্ডের ম্যানেজার মো. মিরাজ খান।
এবার আঁটসাঁট, চাপা—দুই ধরনের সোয়েটারই নজর কাড়বে। লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি, বেগুনি, কমলাসহ রঙিন সব নকশা ও বুননও আপনার চোখে পড়বে। সাদা, কালো, ছাই, বাদামি রংগুলো তো আছেই। এবারের সোয়েটারগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর কাটছাঁট; বড় কলার আর বোতামের ফ্যাশন। সোয়েটারেরকলারগুলো যেন কিছুটা শার্ট, ব্লেজার ও কোট কলার ধাঁচের। এর সঙ্গে ভি ও গোল আকৃতি এবং বন্ধ গলা তো রয়েছেই। ফুলহাতা সোয়েটারের ধারায়ও এবার বৈচিত্র্য এসেছে। কোনোটি ঝোলা আলখাল্লা ঘরানার, আবার কোনোটি কোমর ও হাতের কাছে চাপা। কোনোটিতে আবার বেল্ট ব্যবহার হয়েছে, কোনোটি ট্রেঞ্চকোট কাটের।
পোশাকের ওপর সোয়েটারখানি চাপানোর পর এবার আর পোশাক ঢেকে পড়ার দুঃখ থাকার কথা নয়। সোয়েটারটাই যে দারুণ ফ্যাশনেবল।
যাঁরা পাশ্চাত্য পোশাকে অভ্যস্ত, তাঁরা যেমন ইচ্ছেমতো বেছে নিতে পারেন পছন্দের শীতপোশাকটি, তেমনি দেশীয় পোশাকের সঙ্গেও সহজে মানিয়ে যাবে এসব সোয়েটার। টি-শার্ট ও শার্টের ওপর হালকা শীতে যেমন পরতে পারেন হাতাকাটা সোয়েটার, তেমনি শীতের প্রকোপ বেশি হলে বেছে নিতে পারেন স্ট্রাইপ ও চেকের ফ্যাশনেবল ফুলহাতা সোয়েটারও। যাঁদের সারা দিন আনুষ্ঠানিক (ফরমাল) পরিবেশে থাকতে হয়, তাঁরাও কোট, ব্লেজারের পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন জ্যাকেট, কোট ও ব্লেজার ধাঁচের নকশার সোয়েটারগুলো।
তরুণীদের আঁটসাঁট সোয়েটারের পাশাপাশি একটু ঘের দেওয়া ঢোলা সোয়েটারেও খারাপ লাগবে না। চুড়িদার হাতা আর লম্বা ঝুলের সোয়েটারও বেছে নিতে পারেন। ওভারকোট কাটের হাতাকাটা সোয়েটারের নিচে পরতে পারেন পাতলা কোনো হাতাসহ সোয়েটার আর রঙিন মাফলার। যাঁরা ভাবছেন, শীত প্রায় শেষের দিকে অথবা যাঁদের শীত অনুভূতি অন্যদের তুলনায় কিঞ্চিৎ কম, তাঁরা হালকা ধরনের গাউন সোয়েটারও বেছে নিতে পারেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে টি-শার্ট, জ্যাকেটের পরিবর্তে স্ট্রাইপ ও চেকসহ ‘ভি’ আকৃতির সোয়েটারগুলো ফ্যাশনে যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা।
দরদাম
বাজার ঘুরে দেখা গেল, একস্ট্যাসিতে ছেলে ও মেয়েদের ফ্যাশনেবল সোয়েটার মিলবে ৭৮০ থেকে এক হাজার ৩৮০ টাকার মধ্যে। ফ্রিল্যান্ডে পাবেন হাতাকাটা, হাতাসহ সোয়েটার ৭৮০ থেকে এক হাজার ২৮০ টাকায়; সোয়েটারের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন মাফলার ও বেল্ট ৯৮০ থেকে এক হাজার ৪৮০ টাকায়; ওয়েসটেকসে সোয়েটার পাবেন ৭৮০ থেকে এক হাজার ২৮০ টাকায় ও মেনজ ক্লাবে ৯৮০ থেকে এক হাজার ১৫০ টাকায়।
এ ছাড়া ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতেও মিলে যেতে পারে আপনার পছন্দের রঙিন সোয়েটারটি ৩০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়।
সোয়েটারটি যেখান থেকেই কিনুন না কেন, খেয়াল রাখুন, তাতে কোনো খুঁত রয়ে গেছে কি না এবং সেটি আপনার মাপমতো হচ্ছে কি না।
‘আমাদের দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বাহারি সব সোয়েটার। নিট, অ্যাক্রেলিক, উল, সুতি, নাইলন দিয়ে তৈরি দেশীয় সোয়েটারগুলো বিদেশি সোয়েটার থেকে কোনো অংশে কম বাহারি নয়। এগুলো এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিদেশেও।’ এভাবেই বলেন ওয়েসটেকস বসুন্ধরা সিটি শাখার প্রধান রুহুল আমিন।
তবে দেশিগুলোর পাশাপাশি থাইল্যান্ড থেকে আসা সোয়েটারের কদর বেশ বলে জানালেন ঢাকার বসুন্ধরা সিটির ফ্রিল্যান্ডের ম্যানেজার মো. মিরাজ খান।
এবার আঁটসাঁট, চাপা—দুই ধরনের সোয়েটারই নজর কাড়বে। লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি, বেগুনি, কমলাসহ রঙিন সব নকশা ও বুননও আপনার চোখে পড়বে। সাদা, কালো, ছাই, বাদামি রংগুলো তো আছেই। এবারের সোয়েটারগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর কাটছাঁট; বড় কলার আর বোতামের ফ্যাশন। সোয়েটারেরকলারগুলো যেন কিছুটা শার্ট, ব্লেজার ও কোট কলার ধাঁচের। এর সঙ্গে ভি ও গোল আকৃতি এবং বন্ধ গলা তো রয়েছেই। ফুলহাতা সোয়েটারের ধারায়ও এবার বৈচিত্র্য এসেছে। কোনোটি ঝোলা আলখাল্লা ঘরানার, আবার কোনোটি কোমর ও হাতের কাছে চাপা। কোনোটিতে আবার বেল্ট ব্যবহার হয়েছে, কোনোটি ট্রেঞ্চকোট কাটের।
পোশাকের ওপর সোয়েটারখানি চাপানোর পর এবার আর পোশাক ঢেকে পড়ার দুঃখ থাকার কথা নয়। সোয়েটারটাই যে দারুণ ফ্যাশনেবল।
যাঁরা পাশ্চাত্য পোশাকে অভ্যস্ত, তাঁরা যেমন ইচ্ছেমতো বেছে নিতে পারেন পছন্দের শীতপোশাকটি, তেমনি দেশীয় পোশাকের সঙ্গেও সহজে মানিয়ে যাবে এসব সোয়েটার। টি-শার্ট ও শার্টের ওপর হালকা শীতে যেমন পরতে পারেন হাতাকাটা সোয়েটার, তেমনি শীতের প্রকোপ বেশি হলে বেছে নিতে পারেন স্ট্রাইপ ও চেকের ফ্যাশনেবল ফুলহাতা সোয়েটারও। যাঁদের সারা দিন আনুষ্ঠানিক (ফরমাল) পরিবেশে থাকতে হয়, তাঁরাও কোট, ব্লেজারের পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন জ্যাকেট, কোট ও ব্লেজার ধাঁচের নকশার সোয়েটারগুলো।
তরুণীদের আঁটসাঁট সোয়েটারের পাশাপাশি একটু ঘের দেওয়া ঢোলা সোয়েটারেও খারাপ লাগবে না। চুড়িদার হাতা আর লম্বা ঝুলের সোয়েটারও বেছে নিতে পারেন। ওভারকোট কাটের হাতাকাটা সোয়েটারের নিচে পরতে পারেন পাতলা কোনো হাতাসহ সোয়েটার আর রঙিন মাফলার। যাঁরা ভাবছেন, শীত প্রায় শেষের দিকে অথবা যাঁদের শীত অনুভূতি অন্যদের তুলনায় কিঞ্চিৎ কম, তাঁরা হালকা ধরনের গাউন সোয়েটারও বেছে নিতে পারেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে টি-শার্ট, জ্যাকেটের পরিবর্তে স্ট্রাইপ ও চেকসহ ‘ভি’ আকৃতির সোয়েটারগুলো ফ্যাশনে যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা।
দরদাম
বাজার ঘুরে দেখা গেল, একস্ট্যাসিতে ছেলে ও মেয়েদের ফ্যাশনেবল সোয়েটার মিলবে ৭৮০ থেকে এক হাজার ৩৮০ টাকার মধ্যে। ফ্রিল্যান্ডে পাবেন হাতাকাটা, হাতাসহ সোয়েটার ৭৮০ থেকে এক হাজার ২৮০ টাকায়; সোয়েটারের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন মাফলার ও বেল্ট ৯৮০ থেকে এক হাজার ৪৮০ টাকায়; ওয়েসটেকসে সোয়েটার পাবেন ৭৮০ থেকে এক হাজার ২৮০ টাকায় ও মেনজ ক্লাবে ৯৮০ থেকে এক হাজার ১৫০ টাকায়।
এ ছাড়া ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতেও মিলে যেতে পারে আপনার পছন্দের রঙিন সোয়েটারটি ৩০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়।
সোয়েটারটি যেখান থেকেই কিনুন না কেন, খেয়াল রাখুন, তাতে কোনো খুঁত রয়ে গেছে কি না এবং সেটি আপনার মাপমতো হচ্ছে কি না।
No comments